উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশেপাশের সর্বত্র ভয়াবহ নেট ওয়ার্কের (অনলাইন জুয়া)ওয়ানএক্স বিট'র আসক্তে হাজারও ছাত্র, যুবক সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ফতুর হচ্ছে।এসবের খপ্পরে ফেলতে জাল বিছিয়েছে মাষ্টার এজেন্ট রোহিঙ্গা ক্যাসিনো সম্রাট কুতুপালং ক্যাম্প-১'রজি ব্লকের মুহাম্মদ উল্লাহর দুই ছেলে আনাস খাঁন ও ছোট ইমরান খাঁন।
তাদের নিয়ন্ত্রণে উখিয়া উপজেলা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক অনলাইন ক্যাসিনো জুয়া খেলে ফতুর হয়েছে বহু ব্যবসায়ী, যুবক সহ নানা পেশার মানুষ।এসবের এজেন্ট হিসেবে পুরো টাকার লেনদেন করছেন রোহিঙ্গা আনাস খান ও তার ভাই ইমরান খানতাদের মাধ্যমে একাধিক সাব এজেন্ট রয়েছে।এসব এজেন্ট'র টাকা লেনদেন করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
এই অনলাইন জুয়া খেলার প্রভাব পড়েছে অর্থনৈতিক বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর। জুয়া খেলার টাকা যোগাড় করতে গিয়ে নানান অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে আসক্তি রোহিঙ্গারা ও স্থানীয়রা।আবার কেউ- কেউ টাকা জোগাড় করতে গিয়ে জড়িয়ে পড়ছে অপহরণ,খুন,চুরি, ছিনতাই,ডাকাতি সহ অপরাধমুলক কর্মকান্ডে।যাসত্যিই দুঃখজনক বলে অনেকেই মন্তব্য করছেন। এই অনলাইন জুয়ার মাষ্টার এজেন্ট রোহিঙ্গা আনাস খাঁন(২৭)'কে গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন উখিয়ার সুশীল সমাজ।
এক অনলাইন জুয়ার খেলোয়াড় জানান, অনলাইন জুয়াড় মাষ্টার এজেন্ট রোহিঙ্গা আনাস খানের কাছ থেকে আমরা টাকা দিয়ে আইডি রিচার্জ করি।তার হোয়াটসআপে নাম্বার দিয়ে টাকা পাঠালে বিকাশের মাধ্যমে পাঠালে সে আমাদের টাকা লোড করে দেন। আর আমরা যদি খেলে টাকা পাই তাহলে তার এজেন্টের মাধ্যমে তুলতে হয়।তার দেওয়া টাকা বিকাশ কিংবা নগদে ভরে দেন।
অন্যদিকে স্থানীয় এক কলেজ পড়ুয়া ছেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে বলেন, অনলাইন ক্যাসিনো সম্রাট রোহিঙ্গা আনাস খান এখন ক্যাসিনো সম্রাট হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্টা করে ফেলেছে।জমননে এখন একটাই প্রশ্ন একজন রোহিঙ্গা যুবক হয়ে সে এভাবে মানুষ'কে পথে বসাবে ভাবতে অবাক লাগে।সে মানুষ'কে অর্থনৈতিক ভাবে ফতুর করার দুঃসাহস কেমনে পায়?তিনি আরো বলেন, অনলাইন ক্যাসিনো সম্রাট আনাস খান'কে গ্রেফতার করার জন্য র্যাব ও থানা পুলিশের কাছে জোর দাবী জানান।
অভিযুক্ত আনাস খানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে, সে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।ক্যাম্প প্রশাসনের এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান,আনাস খানের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।