আমেরিকা প্রবাসীর নাম ব্যবহার করে কোম্পানি গঠন, ব্যাংক হতে কোটি কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ, ফ্ল্যাট বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের মামলায় সিটি স্ক্যাপ প্ল্যানার্স কোম্পানির এমডি মো. মোমেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলমের আদালত এ আদেশ দেন। মোমেন আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন। তিনি সন্দ্বীপ থানার মুসাপুর চাদেঁরগো বাড়ির প্রয়াত আবদুল বাতেনের ছেলে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফয়সাল নূর জানান, সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা ও আমেরিকা প্রবাসী মোহাম্মদ বাবুল মিয়ার (৬৭) দায়ের করা প্রতারণার মামলায় পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই মামলায় আদালত ১৪ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তাদের একজন আসামি মো. মোমেন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী বাবুল মিয়া দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে স্থায়ীভাবে আমেরিকায় বসবাস করছেন। তার অনুপস্থিতিতে আসামিরা তার নাম ব্যবহার করে এ কোম্পানি ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সৃজন করে কয়েকটি অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান হতে কোটি কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেন।
আসামিরা দেশের বিভিন্ন স্থানে জমি ক্রয়-বিক্রয় এবং জমিতে উচ্চ ইমারত নির্মাণের পরিকল্পনা করে ফ্ল্যাট বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে বিক্রয়ের লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করে। তারা প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। আসামিরা বাবুল মিয়াকে এ কোম্পানির কখনো চেয়ারম্যান, কখনো ব্যবস্থাপনা পরিচালক বানিয়েছেন। বাদী দেশে বেড়াতে আসলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয় জানতে পেরে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পিবিআই তদন্ত শেষে ৭০৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল করে। সেখানে আমেরিকা প্রবাসীর সঙ্গে প্রতারণার ঘটনায় পাওয়ায় ১৪ আসামিকে অভিযুক্ত করে।