গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এই সরকারকে বিদায় নিতেই হবে। এটা এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। এই সময়টা যদি আমরা সঠিভাবে আন্দোলন করতে পারি, নিজেদের মধ্যে বিভেদ না রাখি, তবে সরকার পালানোরও পথ পাবে না।’
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সরকার পালানোর পথ পাবে না বলে মনে করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বুধবার দুপুরে সিলেট নগরের রেজিস্ট্রি মাঠে বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এই সরকারকে বিদায় নিতেই হবে। এটা এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। এই সময়টা যদি আমরা সঠিভাবে আন্দোলন করতে পারি, নিজেদের মধ্যে বিভেদ না রাখি, তবে সরকার পালানোরও পথ পাবে না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার পতনের পর জনগণের তোপের মুখে আওয়ামী লীগের লোকজন দেশে থাকতে পারবে না। বিদেশেও তাদের ঠাঁই হবে না। বিদেশিরাও তাদের কর্মকাণ্ডে ক্ষেপে আছে। ফলে কেউ আশ্রয় দেবে না।’
তবে তারা যদি অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়ে জনতার কাতারে আসে তাহলে এ দেশে থাকতে পারেন বলে মন্তব্য করেন বিএনপর এই নেতা।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকার ফ্যাসিবাদের যত উপকরণ আছে সব জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। শেয়ার মার্কেট, স্বাস্থ্যখাত, বিদ্যুৎখাত সকল দেশের সব খাতে ব্যাপক হাতে চুরি হয়েছে। পদ্মাসেতুসহ উন্নয়ন প্রকল্পের নামে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
‘দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। দেশ আজ বির্পস্ত। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র চায়না। তারা শুধু ক্ষমতা চায়। এ অবস্থায় আমাদের ১০ দফা দাবি আদায় করে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে হবে।’
এ সময় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রস্তাবের প্রতিবাদে ও বিএনপির ১০ দফা দাবি আদায়ে ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ-সমাবেশেরও ঘোষণা দেন তিনি।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকির সভাপতিত্বে এবং জেলা সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগরের সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, নির্বাহী সদস্য জিকে গৌছ, সাবেক এমপি নজির হোসেন, নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান, জেলার সাবেক সভাপতি আবুল কাহের শামীম প্রমুখ।
গণ অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘গরু, ছাগল চুরি থেকে শুরু করে রিজার্ভ চুরি সঙ্গেও আওয়ামী লীগ জড়িত। আওয়ামী লীগ এখন সব চোরের নিরাপদ আশ্রয়স্থল।