০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ বিশ্ব সমুদ্র দিবস

শনিবার ৮ জুন, বিশ্ব সমুদ্র দিবস। গ্রহ মহাসাগর: জোয়ার পরিবর্তন হচ্ছে এই প্রতিপাদ্যে এ বছর উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব সমুদ্র দিবস-২০২৪।
পৃথিবীর মোট ৭০ শতাংশেরও বেশি অংশ জুড়ে রয়েছে মহাসাগর। মানুষের অক্সিজেনের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা হলো এসব সাগর আর মহাসাগর। সাগর-মহাসাগরকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস। সমুদ্রের এই অবদান, আবেদন, প্রয়োজনীয়তা আর উপকারিতাকে স্বতন্ত্রভাবে বিশ্বের সবার সামনে তুলে ধরতে প্রতি বছর ৮ জুন পালন করা হয় বিশ্ব সমুদ্র দিবস। দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো, সাগর-মহাসাগর সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বাড়িয়ে তোলা। নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, ১৯৯২-এ ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোয় প্রকৃতি ও উন্নয়ন নিয়ে তাদের একটি কনফারেন্স হয়। তারপর থেকে প্রতি বছর নানা দেশে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব মহাসাগর দিবস। ২০০৮-এ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ঠিক করে, ২০০৯-এর ৮ জুন দিনটি বিশ্ব মহাসাগর দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেবে তারা। এরপর থেকে বিশ্ববাসী ৮ জুন বিশ্ব মহাসাগর দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে মহাসাগরের বিরাট গুরুত্ব যার তুলনা নেই। আন্তর্জাতিক মহাসাগর দিবসে যাতে আমরা মহাসাগরের গুরুত্ব আরো বেশি করে উপলব্ধি করতে পারি সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার একটি বিশেষ দিন।

গোটা বিশ্বে সমুদ্র ও উপকূলবর্তী এলাকার উদ্ভিদ ও প্রাণিজগত আজ বিপন্ন প্রায়। অথচ পৃথিবীতে মানব জাতির টিকে থাকার অন্যতম চাবিকাঠি হল সাগর। খাদ্য, ওষুধসহ বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে আমাদের বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের একটি বড় অংশ আসে মহাসাগর থেকে। তাছাড়া মহাসাগরগুলো বায়ুমণ্ডলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে আছে। কিন্তু মানুষের নানাবিধ কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি জলবায়ুর বৈরী থাবায় মহাসাগরগুলোর প্রতিবেশ ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে এর জীববৈচিত্র্য।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

আজ বিশ্ব সমুদ্র দিবস

প্রকাশিত সময় : ০৮:০০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

শনিবার ৮ জুন, বিশ্ব সমুদ্র দিবস। গ্রহ মহাসাগর: জোয়ার পরিবর্তন হচ্ছে এই প্রতিপাদ্যে এ বছর উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব সমুদ্র দিবস-২০২৪।
পৃথিবীর মোট ৭০ শতাংশেরও বেশি অংশ জুড়ে রয়েছে মহাসাগর। মানুষের অক্সিজেনের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা হলো এসব সাগর আর মহাসাগর। সাগর-মহাসাগরকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস। সমুদ্রের এই অবদান, আবেদন, প্রয়োজনীয়তা আর উপকারিতাকে স্বতন্ত্রভাবে বিশ্বের সবার সামনে তুলে ধরতে প্রতি বছর ৮ জুন পালন করা হয় বিশ্ব সমুদ্র দিবস। দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো, সাগর-মহাসাগর সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বাড়িয়ে তোলা। নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, ১৯৯২-এ ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোয় প্রকৃতি ও উন্নয়ন নিয়ে তাদের একটি কনফারেন্স হয়। তারপর থেকে প্রতি বছর নানা দেশে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব মহাসাগর দিবস। ২০০৮-এ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ঠিক করে, ২০০৯-এর ৮ জুন দিনটি বিশ্ব মহাসাগর দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেবে তারা। এরপর থেকে বিশ্ববাসী ৮ জুন বিশ্ব মহাসাগর দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে মহাসাগরের বিরাট গুরুত্ব যার তুলনা নেই। আন্তর্জাতিক মহাসাগর দিবসে যাতে আমরা মহাসাগরের গুরুত্ব আরো বেশি করে উপলব্ধি করতে পারি সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার একটি বিশেষ দিন।

গোটা বিশ্বে সমুদ্র ও উপকূলবর্তী এলাকার উদ্ভিদ ও প্রাণিজগত আজ বিপন্ন প্রায়। অথচ পৃথিবীতে মানব জাতির টিকে থাকার অন্যতম চাবিকাঠি হল সাগর। খাদ্য, ওষুধসহ বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে আমাদের বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের একটি বড় অংশ আসে মহাসাগর থেকে। তাছাড়া মহাসাগরগুলো বায়ুমণ্ডলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে আছে। কিন্তু মানুষের নানাবিধ কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি জলবায়ুর বৈরী থাবায় মহাসাগরগুলোর প্রতিবেশ ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে এর জীববৈচিত্র্য।