বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মিকারী সোমালিয়ার জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় নেই বলে জানিয়েছে পান্টল্যান্ড পুলিশ। জাহাজটিতে থাকা দস্যুদের ভূমির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধে অভিযান শুরু করা হয়েছে।
সোমালিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ডের নুগাল পুলিশ বিভাগের কমান্ডারের বরাত দিয়ে শুক্রবার এ খবর দিয়েছে বিবিসি সোমালিয়া।
পুলিশ কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ মারদুউফ বলেন, ‘এমভি আবদুল্লাহ এখন আছে জিফলের উপকূলীয় এলাকায়। জলদস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আমরা পূর্বাঞ্চলে একটি অভিযান শুরু করেছি, যাতে তারা এই এলাকার ভূমি থেকে আর কোনো সহযোগিতা না পায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন তীরে আছি। আমাদের পরিকল্পনা হলো, জলদস্যুরা যাতে নিজেদের সংগঠিত করতে না পারে এবং এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে যারা আছে, তারা যাতে তীর থেকে আর কোনো সাহায্য না পায়। সমুদ্রের অংশে তারা আন্তর্জাতিক বাহিনীর ঘেরাওয়ের মধ্যে আছে। তাই সেদিক থেকেও তারা বিচ্ছিন্ন।’
এরইমধ্যে জাহাজটিতে থাকা দস্যুদের জন্য ‘খাত’ নামের এক ধরনের মাদক সরবরাহের চেষ্টাকালে দুইজনকে এরইমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পান্টল্যান্ড পুলিশ।
এদিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহর কাছেই একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী অপারেশন আটলান্টা। তাদের টুইটারে পোস্ট করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এমভি আবদুল্লার পাশে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন রয়েছে। জাহাজটির ওপর দিয়ে চক্কর কাটছে একটি নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার।
পান্টল্যান্ড পুলিশ বলছে, জাহাজে থাকা জলদস্যুদের হাতে এখন দুটি বিকল্প আছে। হয় তাদের পান্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করে কৃতকর্মের জন্য শাস্তি ভোগ করবে, অথবা আগের জাহাজ, অর্থাৎ বিদেশি বাহিনী যেমন এমভি রুয়েন থেকে জলদস্যুদের ধরে নিয়ে গেছে, সেই পরিণতি ভোগ করতে হবে।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরের সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ নাবিকের সবাইকে জিম্মি করে। নাবিকরা সবাই বাংলাদেশি।