* স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের মাসোহারা দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতেন
চট্টগ্রাম মহানগরীর মুরাদপুরে গতকাল ১০ আগস্ট (শনিবার) রাত ১২টার সময় ট্রাকে নকল পণ্য লোড করার সময় নজরে আসে আনসার সদস্য ওয়াহিদুজ্জামানের। তিনি তৎক্ষণাত কারখানার মালিককে আটক করে।
পরে পাঁচলাইশ থানা এরিয়ায় দায়িত্বরত সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। খবর পেয়ে মেজর আশরাফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টহল টিম উক্ত কারখানায় অভিযান শুরু করে। কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ নকল পণ্য সামগ্রী জব্দ করে।
আনসার সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান জানান, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ডিউটি করার সময় উত্তরা মটরসের ৩য় তলায় নকল পণ্যের কারখানা থেকে একটি ট্রাক লোড করতে দেখি। তখন ছাত্রদের সাথে নিয়ে কারখানার মালিক বাবুলকে (৩৬) আটক করি।
পরে সেনা বাহিনীকে খবর দিলে তাঁরা এসে কারখানায় অভিযান চালায়। নকল চিনিগুড়া চাউল, চা পাতা, মশলা, হালিম মিক্স, তেল, ঘি, বিস্কুট, আতর, ঔষধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের ভেজাল পণ্য পাওয়া যায়। সেগুলো জব্দ করে এবং কারখানাটি তালাবদ্ধ করেন।
মেজর আশরাফ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ধারাবাহিকথায় সেনাবাহিনী কতৃক যে টহল পরিচালনা করে আসছিলো তারই অংশ হিসেবে আমরা রাত পৌনে ১১টার সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে নকল পণ্য বোঝাই লোডেড একটি ট্রাক ও কারখানার মালিককে আটক করতে সক্ষম হই। এখানে যে ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরণের পণ্য ভেজাল ভাবে তৈরি করা হচ্ছে, এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ এ ভেজাল পণ্য তৈরি করে আসছিলো। ধন্যবাদ জানাই আনসার সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান ও ছাত্রদের, তাদের কারণে আমারা এগুলো ধরতে সক্ষম হয়েছি।
এদিকে আটককৃত কারখানা মালিক বাবুলের দাবি, তিনি দীর্ঘদিন স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের মাসোহারা দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। কাকে কত টাকা মাসোহারা দিয়েছেন তার একটি হিসাবের ডায়েরিও জব্দ করেছে সেনাবাহিনীর অভিযানিক দল।