নির্বাসিত জীবন থেকে দীর্ঘ ৯ বছর আপন ভুমিতে ফিরেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ। ৯ বছর আগে ‘নিখোঁজ’ হওয়ার পর নিজেকে আবিষ্কার করেছিলেন ভারতের শিলংয়ে। এরপর থেকে তিনি ভারতেই অবস্থান করছিলেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান,রবিবার (১১ আগস্ট) দুপুর সোয়া ২টার দিকে দিল্লি থেকে ঢাকায় এসেছেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ।সালাহ উদ্দিন আহমেদ বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট দিয়ে বের হন। ভিআইপি লাউঞ্জে বিএনপি ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও মিসেস সালাহ উদ্দিন আহমেদস,উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী
সহ কেন্দ্রীয় নেতারা তাকে অভ্যর্থনা জানান। পরে দলের নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন এবং তাকে বরণ করে নেন।এরপর মোটর শোভাযাত্রায় তিনি নিজ জেলা কক্সবাজারের পেকুয়ায় বাড়িতে রওয়ানা হওয়ার কথা জানান।
এর আগে, রবিবার (১১ আগস্ট) বেলা ১১টায় তাকে বহনকারী বিমানটি ভারতের দিল্লি এয়ারপোর্ট থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়।
২০১৫ সালের মার্চে ঢাকা থেকে ‘উধাও’ হন বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ। দুই মাস পর ২০১৫ সালের ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে সালাহ উদ্দিনের খোঁজ পাওয়া যায়। সে সময় বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাকে বাংলাদেশ থেকে অপহরণ করা হয়েছিল এবং কোন পথে কীভাবে তিনি শিলংয়ে পৌঁছেছেন তা কারও জানা নেই।ভারতীয় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা দায়ের করে। ২০১৫ সালের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফরেনার অ্যাক্ট, ১৯৪৬ এর ধারা ১৪ এর অধীনে তার বিরুদ্ধে ভারতে (শিলং) কাগজপত্র ছাড়া অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।