জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আরো অনেক মহামারির মুখোমুখি হবে পৃথিবী। আগামী ৫ দশকে বিভিন্ন প্রজাতির ভাইরাসে অন্তত ১৫ হাজার সংক্রমণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে সতর্ক করছেন গবেষকরা। বিজ্ঞানভিত্তিক পত্রিকা ন্যাচারে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসে এসব তথ্য।
জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা এরইমধ্যে প্রত্যক্ষ করছে পৃথিবী। আগামী দশকগুলোতে এই বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি কেবলমাত্র পরিবেশের ক্ষতি নয়, ভাইরাসের বিস্তারেরও বড় কারণ।
সম্প্রতি ব্রিটিশ জার্নাল ন্যাচারে প্রকাশিত ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এক প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীতে ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি’ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন বাস্তুতন্ত্রের মূলে আঘাত হেনেছে। বরফ ও অরণ্যের সুপ্ত জীবাণুরা খুঁজে পাচ্ছে নিঃসরণের পথ।
গবেষণা বলছে, ২০৭০ সাল নাগাদ ৩ হাজারের বেশি প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী তার আবাসস্থল পরিবর্তনে বাধ্য হবে, সঙ্গে নিয়ে আসবে বিভিন্ন ধরনের পরজীবী ও জীবানু। অনকূল পরিবেশ পেলে এসব ভাইরাস এক প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীতে সংক্রমিত হবে।
এরমধ্যে কমপক্ষে ১০ হাজার প্রজাতির ভাইরাস এখন বন্য প্রাণীর মধ্যে সুপ্ত থাকলেও, উষ্ণতা বাড়লে সংক্রমিত হতে পারে মানুষের শরীরে।
উচ্চতাপে জীবন ধারণ ও দূর পাল্লার ভ্রমণে সক্ষম বাদুড়ের মতো প্রাণী সংক্রমণে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
ঝুঁকির তালিকায় শীর্ষে এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলো। সঠিক ও ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণের অভাবে ওইসব অঞ্চলে ভাইরাসের গতিবিধি নির্ণয় করাও কঠিন বলে মত গবেষকদের।
এ অবস্থায় মানুষ ও প্রাণী- উভয়ের জন্য প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও সমতাভিত্তিক জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন গবেষকরা।