১০:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারো চালু হলো চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ‘স্পেশাল ট্রেন’

ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে স্পেশাল ট্রেন র্দীঘদিন বন্ধ থাকার পরও আবার চলাচল শুরু করেছে। বুধবার ১২ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত এ স্পেশাল ট্রেনটি চালু রাখবে বলে জানা যায়। কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ স্পেশাল ট্রেনটি সকাল ৭ টায় চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী নিয়ে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে কক্সবাজার পৌঁছাবে এবং সন্ধ্যা ৭টায় আবার যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন। যা রাত ১০ টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রামে গিয়ে পৌঁছবেন। এই স্পেশাল ট্রেন ঈদের পরবর্তী এক সপ্তাহে বা ২৪ জুন পযর্ন্ত চলাচল করবে।

এর আগে গত এপ্রিল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে স্পেশাল ট্রেনটি চালু করেছিল রেল বিভাগ। যা গত ২৯ জুন এসে বন্ধ করে দেয়া হয়। ইঞ্জিন ও লোকো মাস্টার সংকটকে এই ট্রেন বন্ধের কারণ হিসাবে দেখিয়ে ছিল কর্তৃপক্ষ। যাত্রীরা জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যাতায়াতে জন্য ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল সড়ক পথ। তবে ট্রেন চালুর পর থেকে সময় ও অর্থ সাশ্রয়, নিরাপদ এবং আরামদায়ক এই বিবেচনা বাসের তুলনায় ট্রেনের সার্ভিসটি জনপ্রিয়তা পায়। সড়কপথে ১৪৫ কিলোমিটার দুরত্ব।

সেখানে বাসে সময় লাগে ৫-৬ ঘন্টার কাছাকাছি। এতদিন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক পথের বাস গুলোতে নন এসি বাসে ৪২০টাকা, এসি বাসে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হতো। তবে ট্রেনের দাপটে বাস মালিক‘রা ৪২০ টাকার পরবর্তীতে ১০০ টাকা কমিয়ে ৩২০ টাকা ভাড়া ধার্য করতে বাধ্য হন। রেল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ঢাকা-কক্সবাজার চালু থাকা দুইটি ট্রেনে চট্টগ্রামের জন্য বরাদ্দ মাত্র ২৩০টি সিট। অর্থাৎ প্রতিদিন চট্টগ্রামের ২৩০ যাত্রী দুটি ট্রেনে যাতায়তের সুযোগ পেয়ে ছিল।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন চালু হলে যাত্রীদের জন্য ট্রেনটিতে ৭০৫টি সিট রয়েছে। আরো জানা যায়, এই ট্রেনটি ছিল লাভজনক। ৮ এপ্রিল চালু হওয়া এই ট্রেন থেকে ৫মে পর্যন্ত মোট ২৫ দিনে ৫১ লাখ ২৫ হাজার ৩৬২ টাকার রাজস্ব আয় হয়। যা প্রতিদিনের ২ লাখ বেশি। এই নিয়ে আলোচনার-সমালোচনার মধ্যেই ১২দিন পর আবারও স্পেশাল ট্রেন চালু হয়েছে।

এটি বন্ধ না করে ধারাবাহিক করার দাবি যাত্রীদের। কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের মাস্টার মো. গোলাম রব্বানি বলেন, ভবিষ্যতে আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। এ ছাড়া ট্রেনে সংখ্যা বাড়তেও পারে। যাত্রী সেবারমান কীভাবে বাড়ানো যাবে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ বেশ আন্তরিক রয়েছে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আইন শৃঙ্খলা, দ্রব্যমুল্য, সংস্কার বিষয়ে সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ- ধর্ম উপদেষ্টা

আবারো চালু হলো চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ‘স্পেশাল ট্রেন’

প্রকাশিত সময় : ০৩:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে স্পেশাল ট্রেন র্দীঘদিন বন্ধ থাকার পরও আবার চলাচল শুরু করেছে। বুধবার ১২ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত এ স্পেশাল ট্রেনটি চালু রাখবে বলে জানা যায়। কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ স্পেশাল ট্রেনটি সকাল ৭ টায় চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী নিয়ে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে কক্সবাজার পৌঁছাবে এবং সন্ধ্যা ৭টায় আবার যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন। যা রাত ১০ টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রামে গিয়ে পৌঁছবেন। এই স্পেশাল ট্রেন ঈদের পরবর্তী এক সপ্তাহে বা ২৪ জুন পযর্ন্ত চলাচল করবে।

এর আগে গত এপ্রিল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে স্পেশাল ট্রেনটি চালু করেছিল রেল বিভাগ। যা গত ২৯ জুন এসে বন্ধ করে দেয়া হয়। ইঞ্জিন ও লোকো মাস্টার সংকটকে এই ট্রেন বন্ধের কারণ হিসাবে দেখিয়ে ছিল কর্তৃপক্ষ। যাত্রীরা জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যাতায়াতে জন্য ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল সড়ক পথ। তবে ট্রেন চালুর পর থেকে সময় ও অর্থ সাশ্রয়, নিরাপদ এবং আরামদায়ক এই বিবেচনা বাসের তুলনায় ট্রেনের সার্ভিসটি জনপ্রিয়তা পায়। সড়কপথে ১৪৫ কিলোমিটার দুরত্ব।

সেখানে বাসে সময় লাগে ৫-৬ ঘন্টার কাছাকাছি। এতদিন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক পথের বাস গুলোতে নন এসি বাসে ৪২০টাকা, এসি বাসে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হতো। তবে ট্রেনের দাপটে বাস মালিক‘রা ৪২০ টাকার পরবর্তীতে ১০০ টাকা কমিয়ে ৩২০ টাকা ভাড়া ধার্য করতে বাধ্য হন। রেল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ঢাকা-কক্সবাজার চালু থাকা দুইটি ট্রেনে চট্টগ্রামের জন্য বরাদ্দ মাত্র ২৩০টি সিট। অর্থাৎ প্রতিদিন চট্টগ্রামের ২৩০ যাত্রী দুটি ট্রেনে যাতায়তের সুযোগ পেয়ে ছিল।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন চালু হলে যাত্রীদের জন্য ট্রেনটিতে ৭০৫টি সিট রয়েছে। আরো জানা যায়, এই ট্রেনটি ছিল লাভজনক। ৮ এপ্রিল চালু হওয়া এই ট্রেন থেকে ৫মে পর্যন্ত মোট ২৫ দিনে ৫১ লাখ ২৫ হাজার ৩৬২ টাকার রাজস্ব আয় হয়। যা প্রতিদিনের ২ লাখ বেশি। এই নিয়ে আলোচনার-সমালোচনার মধ্যেই ১২দিন পর আবারও স্পেশাল ট্রেন চালু হয়েছে।

এটি বন্ধ না করে ধারাবাহিক করার দাবি যাত্রীদের। কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের মাস্টার মো. গোলাম রব্বানি বলেন, ভবিষ্যতে আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। এ ছাড়া ট্রেনে সংখ্যা বাড়তেও পারে। যাত্রী সেবারমান কীভাবে বাড়ানো যাবে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ বেশ আন্তরিক রয়েছে।