০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইয়াবা ও টাকাসহ চার পাচারকারীকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে রামু থানা পুলিশ! 

কক্সবাজারের রামু থানার এস আই সুনয়ন বড়ুয়ার নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ দশ হাজার ইয়াবা ও নগদ দুই লক্ষ টাকা নিয়ে কোন ধরনের মামলা না দিয়ে চার মাদক পাচারকারীকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।এ পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টি প্রতিবেদকের কাছে প্রথমে স্বীকার করলেও পরে ফোনে কার সাথে কথা বলার পর মোড় ঘুরে যায়৷ 

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ অক্টোবর (রবিবার)  সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে রামু রাজারকুল ইউনিয়নের পঞ্জেগানা রাস্তার মাথায়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত রবিবার সন্ধ্যায় সোনাইছড়ি – পঞ্জেগানা সড়কে সাদা পোশাকে ডিউটি করছিলেন রামু থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক সুনয়ন বড়ুয়ার নেতৃত্বে একটি টিম।সঙ্গীয় ফোর্স হিসাবে ছিলো কনস্টেবল হাসান ও কনস্টেবল তুহিন।  এসময় পঞ্জেগানা রাস্তার মাথায় চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করছিল। তখন দু’জন আরোহী নিয়ে একটি মোটরসাইকেল আসলে সেটাকে সিগন্যাল দিয়ে দুই যুবককে আটক করে হ্যান্ডক্যাপ পড়িয়ে তাদেরকে সিএনজি গাড়ীতে বসিয়ে রাখে।এসময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনগুলো কেড়ে নেওয়া হয়। মিনিট পাঁচেক পর দুইজন আরোহী নিয়ে আরও একটি মোটরসাইকেল আসে। তখন তাদেরকে থামিয়ে হাতে হ্যান্ডক্যাপ পড়িয়ে আটকের স্থান থেকে একটু নিরিবিলি স্থানে এনে তাদের দেহ তল্লাশি করে দশ হাজার ইয়াবা ও দুই লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার করে। এসময় আটককৃতরা চেচামেচি করলে সেনাবাহিনীতে কর্মরত এক পথচারী সাইকেল থামিয়ে এখানে কি হচ্ছে জানতে চাইলে এসআই সুনয়ন বড়ুয়া তার পরিচয় পত্র দেখালে ওই পথচারী সেনা সদস্য চলে যায়।ওই সময় তাদের চারজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়।পরে কনস্টেবল তুহিন দুই জনকে হাতকড়া পরিয়ে মোটরসাইকেল এ করে এবং এসআই সুনয়ন বড়ুয়া ও কনস্টেবল হাসান বাকী দু’জনকে নিয়ে রামুর দিকে চলে যায়।পরবর্তীতে থানার কাছাকাছি আসলে চারজনকে একই সিএনজিতে করে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ভবিষ্যতে এসব কথা কাউকে না জানানো এবং এরকম আরও বেশকটি মাদকের চালান ধরিয়ে দেওয়ার শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন মাদক পাচারকারিদের সিমসহ একটি বাটন মোবাইল ফোন পুলিশের হাতে রেখে দেয় কারন পরবর্তীতে ওই মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন,এশারের নামাজের আগে পঞ্জেগানা রাস্তার মাথায় সাদা পোশাক পড়া তিনজন পুলিশ একটি মোটরসাইকেল আটক করে এবং সেখানে দুইজন লোক ছিলো, কিছুক্ষণ পর আরও একটি মোটরসাইকেল আসলে সেখানেও দুইজন লোক ছিলো। তাদের হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যেতে দেখেছি পরে তাদের কি করেছে জানি না। 

আটক হওয়া প্রথম মোটরসাইকেলের আরোহী মোঃ সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হালিমের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা বলেন,মোটরসাইকেল যোগে আমরা দু’জন সোনাইছড়ি থেকে রামু আসছিলাম। পথিমধ্যে পঞ্জেগানা রাস্তার মাথা আসলে সাদা পোশাকে কয়েকজন লোক আমাদের গাড়ীকে থামায়। তখন তারা আমাদের দু’জনের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে কোন কিছু বুঝে উঠার আগে হাতকড়া পড়িয়ে সিএনজিতে পর্দা টেনে বসিয়ে রাখেন। তারা আরও বলেন,কিছুক্ষণ পর আরও একটি মোটরসাইকেল আসলে সেখানেও দুইজন লোককে হাড়কড়া পড়িয়ে একটু অন্ধকার জায়গায় নিয়ে তাদের দেহ তল্লাশি করে দশ হাজার ইয়াবা ও দু’লক্ষ টাকা পায়।একজন হলো আমান উল্লাহ অপরজন রহিম উল্লাহ।তাদের কাছ থেকে ইয়াবা ও টাকা নিয়ে ফেলে এবং সবাইকে প্রচুর মারধর করে। এরপর চার জনকে একই সিএনজিতে করে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করার পর আমান উল্লাহ ও রহিম উল্লাহকে বেশকটি শর্ত দিয়ে সবাইকে ছেড়ে দেয়। তবে সবার নাম ঠিকানা লিখে নেয়। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ভিড়িও রেকর্ড এ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে অভিযুক্ত কনস্টেবল তুহিন ও হাসানের মোবাইল নাম্বারে ২১ অক্টোবর রাত সাড় আটটার দিকে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তারা কিছুই জানেন না,তারা ডিউটিতে আছেন। সব স্যারে জানেন বলে ফোনের লাইন কেটে দেয়। 

সরাসরি দেখা করে সহকারী পুলিশ পরিদর্শক সুনয়ন বড়ুয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে মাদক উদ্ধার ও আটকের বিষয়টি স্বীকার করে এবং টাকার অংকটা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন,এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মাদক উদ্ধার এর বিষয়টি এ প্রতিবেদকের কাছে যথাযথ প্রমাণ আছে বলার পর তিনি বলেন, এখন তারা বললে আমার করা কি আছে।পরে প্রতিবেদককে চা নাস্তার খরচ দেওয়া হবে বিষয়টি নিয়ে ঘাটাঘাটি না করার অনুরোধ করেন।

উল্লেখ্য যে,এ পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে আরও বেশকটি মাদককের চালান উদ্ধার করে মোটা অংকের টাকায় মাদক কারবারিকে ছেড়ে দেওয়া এবং টাকার বিনিময়ে মামলার মিথ্যা রিপোর্ট দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। খোদ থানা পুলিশের অনেক কর্মকর্তা বলেন, ওসি স্যারের কাছের লোক হওয়ার সুবাদে বহু অপকর্ম চাপা পড়ে আছে বলে স্বীকার করেন। 

উপরোক্ত বিষয়ে রামু থানার অফিসার্স ইনচার্জ ইমন কান্তি চৌধুরীকে অবগত করে তার বক্তব্য চাওয়া হলে তিনি বলেন,আমি রামু থানায় যোগ দেওয়ার পর থেকে মাদক, অস্ত্র, ওয়ারেন্ট আসামিসহ নানা অপরাধ নির্মুলে কাজ করছি।সাধারণ মানুষকে ভালো সেবাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি।ঘটনার সঠিক অনুসন্ধান করে যদি সত্যতা থাকে তা হলে নিউজ করেন। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।সত্যতা পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাত

ইয়াবা ও টাকাসহ চার পাচারকারীকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে রামু থানা পুলিশ! 

প্রকাশিত সময় : ০৬:১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

কক্সবাজারের রামু থানার এস আই সুনয়ন বড়ুয়ার নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ দশ হাজার ইয়াবা ও নগদ দুই লক্ষ টাকা নিয়ে কোন ধরনের মামলা না দিয়ে চার মাদক পাচারকারীকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।এ পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টি প্রতিবেদকের কাছে প্রথমে স্বীকার করলেও পরে ফোনে কার সাথে কথা বলার পর মোড় ঘুরে যায়৷ 

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ অক্টোবর (রবিবার)  সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে রামু রাজারকুল ইউনিয়নের পঞ্জেগানা রাস্তার মাথায়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত রবিবার সন্ধ্যায় সোনাইছড়ি – পঞ্জেগানা সড়কে সাদা পোশাকে ডিউটি করছিলেন রামু থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক সুনয়ন বড়ুয়ার নেতৃত্বে একটি টিম।সঙ্গীয় ফোর্স হিসাবে ছিলো কনস্টেবল হাসান ও কনস্টেবল তুহিন।  এসময় পঞ্জেগানা রাস্তার মাথায় চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করছিল। তখন দু’জন আরোহী নিয়ে একটি মোটরসাইকেল আসলে সেটাকে সিগন্যাল দিয়ে দুই যুবককে আটক করে হ্যান্ডক্যাপ পড়িয়ে তাদেরকে সিএনজি গাড়ীতে বসিয়ে রাখে।এসময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনগুলো কেড়ে নেওয়া হয়। মিনিট পাঁচেক পর দুইজন আরোহী নিয়ে আরও একটি মোটরসাইকেল আসে। তখন তাদেরকে থামিয়ে হাতে হ্যান্ডক্যাপ পড়িয়ে আটকের স্থান থেকে একটু নিরিবিলি স্থানে এনে তাদের দেহ তল্লাশি করে দশ হাজার ইয়াবা ও দুই লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার করে। এসময় আটককৃতরা চেচামেচি করলে সেনাবাহিনীতে কর্মরত এক পথচারী সাইকেল থামিয়ে এখানে কি হচ্ছে জানতে চাইলে এসআই সুনয়ন বড়ুয়া তার পরিচয় পত্র দেখালে ওই পথচারী সেনা সদস্য চলে যায়।ওই সময় তাদের চারজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়।পরে কনস্টেবল তুহিন দুই জনকে হাতকড়া পরিয়ে মোটরসাইকেল এ করে এবং এসআই সুনয়ন বড়ুয়া ও কনস্টেবল হাসান বাকী দু’জনকে নিয়ে রামুর দিকে চলে যায়।পরবর্তীতে থানার কাছাকাছি আসলে চারজনকে একই সিএনজিতে করে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ভবিষ্যতে এসব কথা কাউকে না জানানো এবং এরকম আরও বেশকটি মাদকের চালান ধরিয়ে দেওয়ার শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন মাদক পাচারকারিদের সিমসহ একটি বাটন মোবাইল ফোন পুলিশের হাতে রেখে দেয় কারন পরবর্তীতে ওই মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন,এশারের নামাজের আগে পঞ্জেগানা রাস্তার মাথায় সাদা পোশাক পড়া তিনজন পুলিশ একটি মোটরসাইকেল আটক করে এবং সেখানে দুইজন লোক ছিলো, কিছুক্ষণ পর আরও একটি মোটরসাইকেল আসলে সেখানেও দুইজন লোক ছিলো। তাদের হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যেতে দেখেছি পরে তাদের কি করেছে জানি না। 

আটক হওয়া প্রথম মোটরসাইকেলের আরোহী মোঃ সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হালিমের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা বলেন,মোটরসাইকেল যোগে আমরা দু’জন সোনাইছড়ি থেকে রামু আসছিলাম। পথিমধ্যে পঞ্জেগানা রাস্তার মাথা আসলে সাদা পোশাকে কয়েকজন লোক আমাদের গাড়ীকে থামায়। তখন তারা আমাদের দু’জনের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে কোন কিছু বুঝে উঠার আগে হাতকড়া পড়িয়ে সিএনজিতে পর্দা টেনে বসিয়ে রাখেন। তারা আরও বলেন,কিছুক্ষণ পর আরও একটি মোটরসাইকেল আসলে সেখানেও দুইজন লোককে হাড়কড়া পড়িয়ে একটু অন্ধকার জায়গায় নিয়ে তাদের দেহ তল্লাশি করে দশ হাজার ইয়াবা ও দু’লক্ষ টাকা পায়।একজন হলো আমান উল্লাহ অপরজন রহিম উল্লাহ।তাদের কাছ থেকে ইয়াবা ও টাকা নিয়ে ফেলে এবং সবাইকে প্রচুর মারধর করে। এরপর চার জনকে একই সিএনজিতে করে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করার পর আমান উল্লাহ ও রহিম উল্লাহকে বেশকটি শর্ত দিয়ে সবাইকে ছেড়ে দেয়। তবে সবার নাম ঠিকানা লিখে নেয়। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ভিড়িও রেকর্ড এ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে অভিযুক্ত কনস্টেবল তুহিন ও হাসানের মোবাইল নাম্বারে ২১ অক্টোবর রাত সাড় আটটার দিকে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তারা কিছুই জানেন না,তারা ডিউটিতে আছেন। সব স্যারে জানেন বলে ফোনের লাইন কেটে দেয়। 

সরাসরি দেখা করে সহকারী পুলিশ পরিদর্শক সুনয়ন বড়ুয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে মাদক উদ্ধার ও আটকের বিষয়টি স্বীকার করে এবং টাকার অংকটা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন,এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মাদক উদ্ধার এর বিষয়টি এ প্রতিবেদকের কাছে যথাযথ প্রমাণ আছে বলার পর তিনি বলেন, এখন তারা বললে আমার করা কি আছে।পরে প্রতিবেদককে চা নাস্তার খরচ দেওয়া হবে বিষয়টি নিয়ে ঘাটাঘাটি না করার অনুরোধ করেন।

উল্লেখ্য যে,এ পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে আরও বেশকটি মাদককের চালান উদ্ধার করে মোটা অংকের টাকায় মাদক কারবারিকে ছেড়ে দেওয়া এবং টাকার বিনিময়ে মামলার মিথ্যা রিপোর্ট দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। খোদ থানা পুলিশের অনেক কর্মকর্তা বলেন, ওসি স্যারের কাছের লোক হওয়ার সুবাদে বহু অপকর্ম চাপা পড়ে আছে বলে স্বীকার করেন। 

উপরোক্ত বিষয়ে রামু থানার অফিসার্স ইনচার্জ ইমন কান্তি চৌধুরীকে অবগত করে তার বক্তব্য চাওয়া হলে তিনি বলেন,আমি রামু থানায় যোগ দেওয়ার পর থেকে মাদক, অস্ত্র, ওয়ারেন্ট আসামিসহ নানা অপরাধ নির্মুলে কাজ করছি।সাধারণ মানুষকে ভালো সেবাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি।ঘটনার সঠিক অনুসন্ধান করে যদি সত্যতা থাকে তা হলে নিউজ করেন। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।সত্যতা পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।