০২:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে বৈঠক শেষে এরদোয়ানের বার্তা

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোয়ান। শনিবার (২০ এপ্রিল) ইস্তাম্বুলের দলমাবাচ অফিসে এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে তুরস্ক ও হামাসের প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। খবর ডেইলি সাবাহর।

বৈঠকে তারা মূলত গাজা ও ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা, গাজায় পর্যাপ্ত ও নিরবচ্ছিন্ন মানবিক ত্রাণসহায়তা প্রদান এবং মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এটাই হবে ইসরায়েলের প্রতি তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী জবাব। ইসরায়েলি অপপ্রচার ঠেকিয়ে ফিলিস্তিনিদের সম্পর্কে সত্য ও তাদের ন্যায্য অধিকার সম্পর্কে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরও বেশি করে জানাতে হবে।

এর আগে শনিবার এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ইস্তাম্বুল আসেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় অভিযান শুরু করার পর এটিই হামাস প্রধানের প্রথম ইস্তাম্বুল সফর। এ ছাড়া তিনি এমন এক সময়ে তুরস্ক সফর করছেন যখন পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হলেও গাজায় ইসরায়েলের হামলার কট্টর সমালোচক মুসলিম দেশ তুরস্ক। গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বেশ শক্তভাবে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এরদোয়ান। এ ছাড়া প্রায় প্রতিদিন ইসরায়েল ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তুলাধুনা করছেন তিনি। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে নিঃশর্ত সমর্থনের জন্য পশ্চিমাদের নিন্দা করেছেন তিনি। পাশাপাশি তেল আবিবের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আঙ্কারা।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

‘স্টেপ ডাউন ইউনুস’পোস্ট করে আটক হলেন যুবক!

ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে বৈঠক শেষে এরদোয়ানের বার্তা

প্রকাশিত সময় : ১২:৪৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোয়ান। শনিবার (২০ এপ্রিল) ইস্তাম্বুলের দলমাবাচ অফিসে এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে তুরস্ক ও হামাসের প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। খবর ডেইলি সাবাহর।

বৈঠকে তারা মূলত গাজা ও ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা, গাজায় পর্যাপ্ত ও নিরবচ্ছিন্ন মানবিক ত্রাণসহায়তা প্রদান এবং মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এটাই হবে ইসরায়েলের প্রতি তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী জবাব। ইসরায়েলি অপপ্রচার ঠেকিয়ে ফিলিস্তিনিদের সম্পর্কে সত্য ও তাদের ন্যায্য অধিকার সম্পর্কে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরও বেশি করে জানাতে হবে।

এর আগে শনিবার এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ইস্তাম্বুল আসেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় অভিযান শুরু করার পর এটিই হামাস প্রধানের প্রথম ইস্তাম্বুল সফর। এ ছাড়া তিনি এমন এক সময়ে তুরস্ক সফর করছেন যখন পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হলেও গাজায় ইসরায়েলের হামলার কট্টর সমালোচক মুসলিম দেশ তুরস্ক। গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বেশ শক্তভাবে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এরদোয়ান। এ ছাড়া প্রায় প্রতিদিন ইসরায়েল ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তুলাধুনা করছেন তিনি। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে নিঃশর্ত সমর্থনের জন্য পশ্চিমাদের নিন্দা করেছেন তিনি। পাশাপাশি তেল আবিবের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আঙ্কারা।