০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরাইলকে আর কতোদিন নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখবে যুক্তরাষ্ট্র?

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশিত সময় : ০৮:০২:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • ১০৫ ভিউ

ইসরাইলকে একের পর এক দৃঢ় সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে পুরো পৃথিবীজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। কোন কোন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এই দৃঢ় সমর্থনের ব্যাপারে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। গত শনিবার রাতে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই পাল্টা হামলা করে তেহরান।

সোমবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান বলেছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব দেবে তার দেশ। যদিও মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধ এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা জবাব দেওয়া থেকে বিরত থাকতে তেল আবিবকে চাপ দিয়ে আসছে।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও দাবি করা হয়, ইসরায়েলে হামলায় ব্যবহারের জন্য শতাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। যে কোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল।

এখন প্রশ্ন হলো যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে এভাবে দৃঢ় সমর্থন আর কতোদিন দিবে। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। মুসলিম শাসিত অঞ্চলের মধ্যে জোর পূর্বক যুক্তরাষ্ট্রের একক সহযোগিতায় ইসরাইল নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। এতে তারা এখনও স্বীকৃতি পাইনি। ইউরোপের কয়েকটি দেশ স্বীকৃতি দিলেও অধিকাংশ রাষ্ট্রই তাকে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। কেউ কেউ ফিলিস্তিন-ইসরাইলকে দ্বিরাষ্ট্র গঠনের জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে আসছে। এদিকে ফিলিস্তিনকে ইউরোপের ৪ দেশ স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তাই ইসরাইলের একের পর এক যুক্তরাষ্ট্রের বলে বলিয়ান হয়ে আর কতোদিন ঠিকে থাকবে এ ইহুদী রাষ্ট্র?

অনেকেই মতপ্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এমন অযৌক্তিক সমর্থনের কারণে যেকোন সময় ভাঙতে পারে ন্যাটো। একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অন্যদিকে ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধের কারণে এমনিতেই টালমাটাল অবস্থায় ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশগুলো। অন্যদিকে কোরীয় উপদ্বীপের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র উত্তর কুরিয়ার যুদ্ধপ্রস্তুতি আবার চীন-তাইওয়ানের যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশংকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উদ্বিগ্ন। তাই বিশ্বের যেমন রাজনৈতিক অস্থিরতা, তেমনি কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় যুদ্ধ বেঁধে দিতে সরাসরি সমর্থন সহ উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আসছে। এতে করে কাকে কি পরিমাণ সহযোগিতা দিয়ে রক্ষা করবে এটাই এখন বিশ্ব রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

ইসরাইলকে আর কতোদিন নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখবে যুক্তরাষ্ট্র?

প্রকাশিত সময় : ০৮:০২:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

ইসরাইলকে একের পর এক দৃঢ় সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে পুরো পৃথিবীজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। কোন কোন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এই দৃঢ় সমর্থনের ব্যাপারে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। গত শনিবার রাতে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই পাল্টা হামলা করে তেহরান।

সোমবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান বলেছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব দেবে তার দেশ। যদিও মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধ এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা জবাব দেওয়া থেকে বিরত থাকতে তেল আবিবকে চাপ দিয়ে আসছে।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও দাবি করা হয়, ইসরায়েলে হামলায় ব্যবহারের জন্য শতাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। যে কোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল।

এখন প্রশ্ন হলো যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে এভাবে দৃঢ় সমর্থন আর কতোদিন দিবে। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। মুসলিম শাসিত অঞ্চলের মধ্যে জোর পূর্বক যুক্তরাষ্ট্রের একক সহযোগিতায় ইসরাইল নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। এতে তারা এখনও স্বীকৃতি পাইনি। ইউরোপের কয়েকটি দেশ স্বীকৃতি দিলেও অধিকাংশ রাষ্ট্রই তাকে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। কেউ কেউ ফিলিস্তিন-ইসরাইলকে দ্বিরাষ্ট্র গঠনের জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে আসছে। এদিকে ফিলিস্তিনকে ইউরোপের ৪ দেশ স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তাই ইসরাইলের একের পর এক যুক্তরাষ্ট্রের বলে বলিয়ান হয়ে আর কতোদিন ঠিকে থাকবে এ ইহুদী রাষ্ট্র?

অনেকেই মতপ্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এমন অযৌক্তিক সমর্থনের কারণে যেকোন সময় ভাঙতে পারে ন্যাটো। একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অন্যদিকে ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধের কারণে এমনিতেই টালমাটাল অবস্থায় ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশগুলো। অন্যদিকে কোরীয় উপদ্বীপের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র উত্তর কুরিয়ার যুদ্ধপ্রস্তুতি আবার চীন-তাইওয়ানের যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশংকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উদ্বিগ্ন। তাই বিশ্বের যেমন রাজনৈতিক অস্থিরতা, তেমনি কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় যুদ্ধ বেঁধে দিতে সরাসরি সমর্থন সহ উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আসছে। এতে করে কাকে কি পরিমাণ সহযোগিতা দিয়ে রক্ষা করবে এটাই এখন বিশ্ব রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন।