০৪:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলকে কড়া ভাষায় তিরস্কার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে আসছে দেশটির অন্যতম ইউরোপীয় মিত্র যুক্তরাজ্য। তবে সম্প্রতি অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নির্বিচার বোমা হামলা ও গণহত্যার সম্ভাবনায় এই সমর্থন অনেকটাই ফিকে হয়ে আসছে। এরই মধ্যে তেল আবিবের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে অভ্যন্তরীণ চাপে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সর্বশেষ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।

একটি সংবাদপত্রের কলামে সাবেক এ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন বলেন, ইসরায়েলের প্রতি ব্রিটেনের সমর্থন নির্ভর করে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার ওপর। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন ব্রিটিশসহ সাত ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনার কয়েক দিন পর সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে কথা বললেন।

রোববার দ্য সানডে টাইমসে লেখা কলামে ক্যামেরন লেখেন, ইসরায়েলের প্রতি ব্রিটিশ সমর্থন শর্তহীন নয়। যুক্তরাজ্য আশা করে, এ ধরনের গর্বিত ও সফল গণতান্ত্রিক দেশ আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলবে, এমনকি চ্যালেঞ্জের মুখেও। গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলার পর থেকেই ব্রিটিশ সরকার ইসরায়েলের কট্টর মিত্র। তবে ফিলিস্তিনি উপত্যকাটির ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই ক্যামেরন শক্ত কথা বলছেন।

রোববার তিনি সতর্ক করে বলেন, দুর্ভিক্ষের শঙ্কা বাস্তব। এরই মধ্যে রয়্যাল নেভির একটি জাহাজ একটি সামুদ্রিক সহায়তা করিডোর স্থাপনে সহায়তা করার জন্য ভূমধ্যসাগরের দিকে রওনা হয়েছে। ক্যামেরন বলেন, দ্রুত ও নিরাপদে ত্রাণ পরিবহনে যুক্তরাষ্ট্র, সাইপ্রাস এবং অন্যদের সঙ্গে মিলে ব্রিটেন গাজা উপকূলে নতুন একটি বন্দর স্থাপনে কাজ করছে।

গাজা যুদ্ধের ছয় মাসপূর্তীতে রোববার এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিন ব্রিটিশ নাগরিকসহ সাতজন ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার জন্য ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন সুনাক।

দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি জরিপ অনুসারে, ব্রিটেনের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে। জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ১৭ শতাংশ ব্রিটিশ ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রির পক্ষে মত দিয়েছেন অন্যদিকে ৫৬ শতাংশ মানুষ নিষেধাজ্ঞার পক্ষে। বাকিরা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

‘স্টেপ ডাউন ইউনুস’পোস্ট করে আটক হলেন যুবক!

ইসরায়েলকে কড়া ভাষায় তিরস্কার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশিত সময় : ০১:৪০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে আসছে দেশটির অন্যতম ইউরোপীয় মিত্র যুক্তরাজ্য। তবে সম্প্রতি অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নির্বিচার বোমা হামলা ও গণহত্যার সম্ভাবনায় এই সমর্থন অনেকটাই ফিকে হয়ে আসছে। এরই মধ্যে তেল আবিবের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে অভ্যন্তরীণ চাপে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সর্বশেষ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।

একটি সংবাদপত্রের কলামে সাবেক এ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন বলেন, ইসরায়েলের প্রতি ব্রিটেনের সমর্থন নির্ভর করে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার ওপর। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন ব্রিটিশসহ সাত ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনার কয়েক দিন পর সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে কথা বললেন।

রোববার দ্য সানডে টাইমসে লেখা কলামে ক্যামেরন লেখেন, ইসরায়েলের প্রতি ব্রিটিশ সমর্থন শর্তহীন নয়। যুক্তরাজ্য আশা করে, এ ধরনের গর্বিত ও সফল গণতান্ত্রিক দেশ আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলবে, এমনকি চ্যালেঞ্জের মুখেও। গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলার পর থেকেই ব্রিটিশ সরকার ইসরায়েলের কট্টর মিত্র। তবে ফিলিস্তিনি উপত্যকাটির ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই ক্যামেরন শক্ত কথা বলছেন।

রোববার তিনি সতর্ক করে বলেন, দুর্ভিক্ষের শঙ্কা বাস্তব। এরই মধ্যে রয়্যাল নেভির একটি জাহাজ একটি সামুদ্রিক সহায়তা করিডোর স্থাপনে সহায়তা করার জন্য ভূমধ্যসাগরের দিকে রওনা হয়েছে। ক্যামেরন বলেন, দ্রুত ও নিরাপদে ত্রাণ পরিবহনে যুক্তরাষ্ট্র, সাইপ্রাস এবং অন্যদের সঙ্গে মিলে ব্রিটেন গাজা উপকূলে নতুন একটি বন্দর স্থাপনে কাজ করছে।

গাজা যুদ্ধের ছয় মাসপূর্তীতে রোববার এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিন ব্রিটিশ নাগরিকসহ সাতজন ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার জন্য ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন সুনাক।

দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি জরিপ অনুসারে, ব্রিটেনের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে। জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ১৭ শতাংশ ব্রিটিশ ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রির পক্ষে মত দিয়েছেন অন্যদিকে ৫৬ শতাংশ মানুষ নিষেধাজ্ঞার পক্ষে। বাকিরা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।