১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের আয়রন ডোমে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

লেবানন-ভিত্তিক হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী দাবি করেছে যে, তারা ইসরায়েলের আয়রন ডোম বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের ‍উত্তরাঞ্চলে ওই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অবস্থান। একটি ফুটেজে দেখা গেছে যে, একটি ক্ষেপণাস্ত্র আয়রন ডোমে আঘাত হানছে। উত্তর ইসরায়েলের রামোত নাফতালি শহরের কাছেই আয়রন ডোম অবস্থিত।

টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কিছু জানায়নি ইসরায়েলি বাহিনী।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে। নারী, পুরুষ এমনকি ছোট ছোট শিশুরাও এসব হামলা থেকে বাঁচতে পারছে না। গাজায় কোনো স্থানই এখন আর বসবাসের যোগ্য নেই। প্রায় সব স্থানেই হামলা চালিয়ে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাকে যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে প্রায় ৮ মাস ধরে চলা সংঘাতে ৩৬ হাজার ৫৮৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৩ হাজার ৭৪ জন। গাজায় সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এভাবে সংঘাত চলতে থাকলে আরও কয়েক হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাবে।

গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলে হিজবুল্লাহ এবং হুথিদের হামলা বেড়ে গেছে। একই সঙ্গে হিজবুল্লাহ এবং হুথিদের বিরুদ্ধেও ইসরায়েল থেকে হামলার খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে গত এপ্রিলে ইরান থেকেও ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়। সে সময় মুহুর্মুহু আক্রমণ আর সেসব আক্রমণ প্রতিহত করার সময়টাতে আলোর ঝলকানি রাতের আকাশকে আলোকিত করে তুলছিল। ইসরায়েলের মিত্ররাও অবশ্য সক্রিয় ছিল।

১৭০টি ড্রোন ও ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। সেগুলোর কোনোটিই অবশ্য ইসরায়েলি সীমানায় প্রবেশ করতে পারেনি। একইসঙ্গে ১০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েও হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে অল্প কিছু ইসরায়েল অব্দি পৌঁছায়।

তবে ইসরায়েলের আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তৎপরতাও চোখে পড়েছে। আয়রন ডোম ব্যবস্থাটি রাডার ব্যবহার করে রকেট শনাক্ত করতে সক্ষম। আগত রকেটের মধ্যে কোনগুলো নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে আঘাত করবে আর কোনগুলো করবে না সেটাও আলাদা করতে পারে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

যেসব রকেট জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানবে বলে প্রতীয়মান হয় সেগুলোকে ঠেকাতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় আয়রন ডোম থেকে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

ইসরায়েলের আয়রন ডোমে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

প্রকাশিত সময় : ০৮:৫৯:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

লেবানন-ভিত্তিক হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী দাবি করেছে যে, তারা ইসরায়েলের আয়রন ডোম বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের ‍উত্তরাঞ্চলে ওই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অবস্থান। একটি ফুটেজে দেখা গেছে যে, একটি ক্ষেপণাস্ত্র আয়রন ডোমে আঘাত হানছে। উত্তর ইসরায়েলের রামোত নাফতালি শহরের কাছেই আয়রন ডোম অবস্থিত।

টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কিছু জানায়নি ইসরায়েলি বাহিনী।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে। নারী, পুরুষ এমনকি ছোট ছোট শিশুরাও এসব হামলা থেকে বাঁচতে পারছে না। গাজায় কোনো স্থানই এখন আর বসবাসের যোগ্য নেই। প্রায় সব স্থানেই হামলা চালিয়ে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাকে যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে প্রায় ৮ মাস ধরে চলা সংঘাতে ৩৬ হাজার ৫৮৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৩ হাজার ৭৪ জন। গাজায় সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এভাবে সংঘাত চলতে থাকলে আরও কয়েক হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাবে।

গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলে হিজবুল্লাহ এবং হুথিদের হামলা বেড়ে গেছে। একই সঙ্গে হিজবুল্লাহ এবং হুথিদের বিরুদ্ধেও ইসরায়েল থেকে হামলার খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে গত এপ্রিলে ইরান থেকেও ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়। সে সময় মুহুর্মুহু আক্রমণ আর সেসব আক্রমণ প্রতিহত করার সময়টাতে আলোর ঝলকানি রাতের আকাশকে আলোকিত করে তুলছিল। ইসরায়েলের মিত্ররাও অবশ্য সক্রিয় ছিল।

১৭০টি ড্রোন ও ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। সেগুলোর কোনোটিই অবশ্য ইসরায়েলি সীমানায় প্রবেশ করতে পারেনি। একইসঙ্গে ১০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েও হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে অল্প কিছু ইসরায়েল অব্দি পৌঁছায়।

তবে ইসরায়েলের আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তৎপরতাও চোখে পড়েছে। আয়রন ডোম ব্যবস্থাটি রাডার ব্যবহার করে রকেট শনাক্ত করতে সক্ষম। আগত রকেটের মধ্যে কোনগুলো নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে আঘাত করবে আর কোনগুলো করবে না সেটাও আলাদা করতে পারে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

যেসব রকেট জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানবে বলে প্রতীয়মান হয় সেগুলোকে ঠেকাতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় আয়রন ডোম থেকে।