সম্প্রতি সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলার ভবনে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ইরানের সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অন্তত সাত সদস্য রয়েছেন। এ ঘটনার পরই ইরানের পক্ষ থেকে প্রতিশোধের হুমকি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ইসরালের লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। তবে এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে তেহরান। বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুর ফাঁদে পা না দিতে।
এক লিখিত বার্তায় ওয়াশিংটনকে ইরান জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ফাঁদে পা না দিতে ও আঘাত এড়াতে হলে দূরে সরে থাকতে।
তবে এর জবাবে তেহরানকে যুক্তরাষ্ট্রের অবকাঠামোতে হামলা করতে নিষেধ করেছে মার্কিন প্রশাসন।
ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক বিষয়ক ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে ইরানের প্রতিশোধের ভয়ে এরই মধ্যে নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে দখলদার ইসরায়েল।
সেনাবাহিনীর সব যুদ্ধ ইউনিটের ছুটি বাতিল করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। পাশাপাশি রিজার্ভ সেনাদেরও তলব করছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সেনাবাহিনীর সব যুদ্ধ ইউনিটের ছুটি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে আইডিএফ। আইডিএফ এরই মধ্যে একটি যুদ্ধে (গাজা সংঘাত) রয়েছে। তবে প্রয়োজন অনুসারে দেশের অভ্যন্তরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়টি নিয়মিতভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।