ইসরায়েলের একটি সামরিক ব্যারাকসহ বিভিন্ন স্থানে সিরিজ হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। স্থানীয় সময় বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে এসব হামলা চালানো হয়। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১৫ মিনিট থেকে ৭টা ২০ মিনিট পর্যন্ত তিন দফা হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর বিবিসির।
বুধবার সকালে হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শতুলা এবং মাসকাফ আফ বসতিতে ইসরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া শোমেরা ব্যারাকেও ইসরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে।
লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীটির দাবি, তারা ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে সরাসরি এবং নির্ভুলভাবে হামলা চালিয়েছে। তবে এসব হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। এর আগে গত মঙ্গলবার তেল আবিবে ১৮০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এর জেরে ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আর ওয়াশিংটন বলেছে, দীর্ঘদিনের মিত্র ইসরায়েলের সঙ্গে তারা এমনভাবে কাজ করবে, যাতে মঙ্গলবারের হামলার জন্য ইরানকে চরম পরিণতি ভোগ করতে হয়।
ইসরায়েলের ওপর ইরানের এই হামলা ছিল তেল আবিবে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় আক্রমণ। হামলার পর ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বেজে ওঠে। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে অনেক এলাকা।
হামলা থেকে বাঁচতে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। হামলায় ইসরায়েলে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে দখলকৃত পশ্চিম তীরে একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইরান বলছে, গাজা ও লেবাননে ভয়াবহ হামলার পাশাপাশি হামাস, হিজবুল্লাহ ও ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের নেতাদের হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে। তবে আপাতত ইসরায়েলে আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা না চালানোর ঘোষণা দিয়েছে তেহরান।
স্থানীয় সময় বুধবার (২ অক্টোবর) ভোরে তেহরান জানিয়েছে, পরবর্তী সময়ে কোনো উসকানি না এলে ইসরায়েলের ওপর আর হামলা চালানো হবে না। অন্যদিকে, তেহরানের হামলার জবাবে প্রতিশোধের অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, নতুন করে ইসরায়েল কোনো উসকানি না দিলে ইরান আর হামলা করবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি বলেছেন, আমাদের কর্মসূচি আপাতত শেষ। তবে ইসরায়েল যদি আবারও প্রতিশোধ নিয়ে যায়, তাহলে আমরা উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানাবো, যা হবে আরও শক্তিশালী।