কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাব ষ্টেশন ঘূর্নিঝড়ের দোহাই দিয়ে ১৮ ঘন্টা যাবৎ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে ৩ উপজেলার ৫৮ হাজার গ্রাহক দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন৷ পাশাপাশি ঈদগাঁও উপজেলায় অবস্হিত দেশের বৃহত্তম লবণ শিল্প এলাকা ও পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষংছড়ি উপজেলার বাইশারী রাবার জোনে প্রত্যহিক উৎপাদন থমকে গেছে। অথচ ঈদগাঁও উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের কোন প্রভাব পড়েনি অথবা তেমন কোন ঝড়ো ও দমকা হাওয়াও বয়ে যায়নি। উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের বিদ্যুৎ গ্রাহক সাবিত জানান, ঘূর্ণিঝড়জনিত কোন দুর্যোগ না থাকলেও সোমবার ভোররাত ১ টা থেকে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে বাসাবাড়ি অন্ধকারে ডুবে আছে। দেশের বৃহত্তম লবণ শিল্প জোন ইসলামপুর শিল্প এলাকার কারখানা মালিকরা জানান, সোমবার সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকায় প্রায় দৈনিক ৬ হাজার টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন অর্ধ শতাধিক লবণ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা বন্ধ ছিল।
এতে দশ সহস্রাধিক শ্রমিক কাজে এসে ফিরে গেছে। জেলার বৃহত্তম বাণিজ্য কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী নেতা কামাল উদ্দীন সওদাগর জানান, বাজারে সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবসা বাণিজ্য ও ব্যাংকিং কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। ঈদগাঁও উপজেলা প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক সেলিম উদ্দীন বলেন, দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ল্যাপটপ ও এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে প্রয়োজনীয় সংবাদ লিখা ও প্রেরণ করা যায়নি।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন ঈদগাঁও জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাজন পাল বলেন, লাইনে ফল্ট থাকায় সরবরাহ স্বাভাবিক করা যাচ্ছেনা। লাইন ক্লিয়ার করে বিদ্যুৎ চালু করা হবে।