খুলনা থেকে রাজশাহী যাওয়ার পথে আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনে এক ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন স্বর্ণা আক্তার নামে এক নারী। আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ট্রেনটি ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে পৌঁছালে ট্রেনের মধ্যেই ওই প্রসূতি সন্তানের জন্ম দেন।
বর্তমানে মা ও শিশুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ট্রেনে সন্তান জন্মদানকারী প্রসূতি স্বর্ণা ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের হুগরি পান্তাপাড়া গ্রামের ইয়াসিন আরাফাতের স্ত্রী।
আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের কর্তব্যরত খুলনার ট্রেন পরিচালক (গার্ড) ইলিয়াস কবীর সেলিম বলেন, সোমবার খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি সকাল সোয়া নয়টার দিকে দর্শনা রেলস্টেশনে পৌঁছালে ওই প্রসূতি নারী তার পরিবারসহ দর্শনা রেলস্টেশন থেকে ‘ঙ’ নম্বর বগিতে ওঠেন। ট্রেনটি বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভেরামারা রেলস্টেশনে এলে ওই নারীর প্রসব বেদনা ওঠে।
এ সময় ট্রেনের কন্টাক্টর ট্রেন পরিচালক (গার্ড) তাপস কুমার আমাকে বিষয়টি জানান, ‘ঙ’ নাম্বার বগিতে এক নারীর প্রসব বেদনা উঠেছে। তখন আমি মাইকিং করে ট্রেনে কোনো ডাক্তার আছে কি না বলি? ঘোষণা করলে ট্রেনযাত্রী ঢাকাস্থ বেসরকারি হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোছাম্মৎ নাজনীন আক্তার এসে সহায়তা করেন। দুপুর ১২টার দিকে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে এলে ওই প্রসূতি নবজাতক একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।
ট্রেনের যাত্রী, নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোছাম্মৎ নাজনীন আক্তার বলেন, আমি ট্রেনে আলমডাঙ্গা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলাম। মাইকিং শোনার পর আমি ‘ঙ’ বগিতে যাই। সেখানে কাপড় টাঙিয়ে তিন সিটের একটি চেয়ারে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। জন্ম নেওয়া বাচ্চাটি স্বাভাবিক ডেলিভারিতে বেশ সুস্থভাবেই জন্ম হয়েছে। কোনো সমস্যা হয়নি। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ জানান, ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছে।