০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উখিয়ায় ক্যাম্পে দুই সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের সংঘর্ষ: স্থানীয় সহ অন্তত ১০ জন আহত

  • শ.ম.গফুর:
  • প্রকাশিত সময় : ০৫:৫২:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • ২০ ভিউ

উখিয়ার ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা ও আরএসও’র দুই গ্রুপের সংর্ঘষ আর গোলাগুলিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে।এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।এতে এক স্থানীয় বাংলাদেশী সহ ১০ জন কমবেশী আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিনভর উখিয়ার ১৪ এবং ১৫ নং ক্যাম্পে দুই পক্ষের ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা চলে। ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত এপিবিএন পুলিশ ৩জনের গুলিবিদ্ধের খবর নিশ্চিত করেছে। তাঁদের মধ্যে ‘আমান’ এনজিওর এক কর্মীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট এনজিওসূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকেই ক্যাস্প-১৫ এবং ১৪ তে গোলাগুলি চলছিলো, এর মধ্যে এনজিও আমান’র কর্মকর্তা বেলাল ক্যাম্প-১৫ তে তাঁদের পরিচালিত একটি লার্নিং সেন্টারে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। খাবার খাওয়ার সময় লার্নিং সেন্টারের বেঁড়াবেধ করে গুলির একটি খোসা বেলালের মুখে এসে লাগে। পরে তাঁর সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বেলালকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।বেলালের বাড়ি উখিয়ার বালুখালী এলাকায়। তাঁর বাবার নাম ওমর হাকিম। তিনি আমান নামক এনজিওর শিক্ষা প্রকল্পে কর্মরত বলে জানা গেছে।
৮ এপিবিএন’র অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর, বিষয়টি নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, ক্যাম্প ১৪ এবং ১৫ তে রোহিঙ্গাদের দুই সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা এবং আরএসও’র গোলাগুলিতে ৩জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন, এর মধ্যে একজন বাংলাদেশীও রয়েছেন।ঘটনাস্থলে এপিবিএন পুলিশের সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আমির জাফর।
এদিকে গোলাগুলির বিষয়ে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনায় বাংলাদেশী একজন আহত হয়েছেন।তাছাড়া ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বসবাস করা বাংলাদেশী বাসিন্দারা বেশ আতঙ্কে আছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, গোলাগুলির কারণে আতঙ্কিত স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তাছাড়া তাঁরা ঘর থেকে জরুরী কাজ ছাড়া বের হচ্ছেননা বলেও জানিয়েছেন।রোহিঙ্গাদের দুই সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা এবং আরএসওর সংঘর্ষ নতুন নয়, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কড়া তৎপরতায় আরসা ক্যাম্পে কিছুটা নিস্ক্রিয় ছিলো।গত কয়েকমাস ধরে ক্যাম্পে আরসা আবারো তাঁদের তৎপরতা বাড়িয়েছে, ফলে রোহিঙ্গাদের মাঝেও নতুন করে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা আর শংকা।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাত

উখিয়ায় ক্যাম্পে দুই সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের সংঘর্ষ: স্থানীয় সহ অন্তত ১০ জন আহত

প্রকাশিত সময় : ০৫:৫২:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

উখিয়ার ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা ও আরএসও’র দুই গ্রুপের সংর্ঘষ আর গোলাগুলিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে।এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।এতে এক স্থানীয় বাংলাদেশী সহ ১০ জন কমবেশী আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিনভর উখিয়ার ১৪ এবং ১৫ নং ক্যাম্পে দুই পক্ষের ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা চলে। ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত এপিবিএন পুলিশ ৩জনের গুলিবিদ্ধের খবর নিশ্চিত করেছে। তাঁদের মধ্যে ‘আমান’ এনজিওর এক কর্মীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট এনজিওসূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকেই ক্যাস্প-১৫ এবং ১৪ তে গোলাগুলি চলছিলো, এর মধ্যে এনজিও আমান’র কর্মকর্তা বেলাল ক্যাম্প-১৫ তে তাঁদের পরিচালিত একটি লার্নিং সেন্টারে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। খাবার খাওয়ার সময় লার্নিং সেন্টারের বেঁড়াবেধ করে গুলির একটি খোসা বেলালের মুখে এসে লাগে। পরে তাঁর সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বেলালকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।বেলালের বাড়ি উখিয়ার বালুখালী এলাকায়। তাঁর বাবার নাম ওমর হাকিম। তিনি আমান নামক এনজিওর শিক্ষা প্রকল্পে কর্মরত বলে জানা গেছে।
৮ এপিবিএন’র অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর, বিষয়টি নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, ক্যাম্প ১৪ এবং ১৫ তে রোহিঙ্গাদের দুই সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা এবং আরএসও’র গোলাগুলিতে ৩জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন, এর মধ্যে একজন বাংলাদেশীও রয়েছেন।ঘটনাস্থলে এপিবিএন পুলিশের সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আমির জাফর।
এদিকে গোলাগুলির বিষয়ে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনায় বাংলাদেশী একজন আহত হয়েছেন।তাছাড়া ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বসবাস করা বাংলাদেশী বাসিন্দারা বেশ আতঙ্কে আছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, গোলাগুলির কারণে আতঙ্কিত স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তাছাড়া তাঁরা ঘর থেকে জরুরী কাজ ছাড়া বের হচ্ছেননা বলেও জানিয়েছেন।রোহিঙ্গাদের দুই সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা এবং আরএসওর সংঘর্ষ নতুন নয়, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কড়া তৎপরতায় আরসা ক্যাম্পে কিছুটা নিস্ক্রিয় ছিলো।গত কয়েকমাস ধরে ক্যাম্পে আরসা আবারো তাঁদের তৎপরতা বাড়িয়েছে, ফলে রোহিঙ্গাদের মাঝেও নতুন করে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা আর শংকা।