উখিয়া উপজেলার কোর্টবাজার স্টেশনে সড়কের ফুটপাত দখল করে থাকা অস্থায়ী ঝুপড়ি দোকান থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। উপজেলার ব্যস্ততম ও জনবহুল স্টেশন হওয়ায় সড়কের দুইপাশে সারি সারি ঝুঁপড়ি দোকান ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করতে দেখা যায়। সরেজমিনে, কয়েকটি ঝুঁপড়ি দোকানে হরেক রকমের নাস্তা ও তরমুজ বিক্রির দৃশ্য দেখা যায়। এসব ঝুঁপড়ি দোকান সড়কের উপর অস্থায়ীভাবে বসানো হলেও প্রতিনিয়ত কোর্টবাজার চৌধুরী টাওয়ার, চৌধুরী মার্কেটের প্রতিটি মালিকের নাম ভাঙিয়ে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করেন কেয়ারটেকার আব্দুর রহিম, কাশেম ও ছৈয়দ সহ আরও অনেকে।
সরকারিভাবে বাজার ইজারা হলেও সড়কের উপর অস্থায়ী ঝুপড়ি দোকান বসিয়ে প্রতিমাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী , সড়কের উপর বসে তরমুজ, বাদাম সহ ঝুঁপড়ি দোকানের নাস্তা বিক্রি করা হলেও ইজারাদারের অর্থ পরিশোধ ছাড়াও দৈনিক দুই থেকে তিনশত টাকা দিতে হয় আব্দুর রহিম, কাশেম ও ছৈয়দ সহ নাম না জানা আরও কয়েকজনকে। টাকা দিতে না চাইলে সড়কের উপর দোকান না বসানোর জন্য নানা হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
এদিকে,কোর্টবাজার স্টেশন এমনিতে ব্যস্ততম ও জনবহুল স্টেশন তার মাঝে যত্রতত্র পার্কিং ও ঝুঁপড়ি দোকান বসানোর পেছনে কারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।
অভিযুক্ত আব্দুল রহিম সাথে মুটো ফোন যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি কোনো দোকান থেকে টাকা নিয়ে না, সবকিছু মিথ্যা অস্বীকার করেন তিনি। পরে তার মালিকের সাথেই কথা বলতে বলে ফোন কেটে দেয়। এবিষয়ে উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি),
সালেহ আহমেদ বলেন,কোর্টবাজার, কুতুপালং সহ বিভিন্ন বাজারে আমরা উচ্ছেদ কার্যক্রম অনেকবার চালিয়েছি। উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরেই আবারো এই ধরনের দোকান খুলে বসে যায়। তবে স্পেসিফিক কারো বিরুদ্ধে কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।