০৮:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উখিয়ার নুরুল হুদা-সালাহ উদ্দিন চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ হচ্ছেন!

দীর্ঘ সময় অনুপস্থিত থাকার কারণে সেবা বঞ্চিত জন সাধারণ। দ্রুত সময়ে বিকল্প ব্যবস্থায় ফিরতে অপসারণ করা হচ্ছে উখিয়া উপজেলার ২নং রত্নাপালং ও ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই চেয়ারম্যানকে।

এ-সংক্রান্ত স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি প্রেরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর হোসেন। অনুপস্থিতিজনিত কারণ দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের বিকল্প চেয়ে এ চিঠি প্রেরণ করা হয়।সূত্রমতে, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. সালাউদ্দিনের পরিবর্তে একজন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে।

অপরদিকে রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদার পরিবর্তে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে ১নং প্যানেল চেয়ারম্যানকে।রাজনীতির ময়দানে নুরুল হুদা উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মো. সালাউদ্দিন হলেন রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বসেননি আওয়ামী লীগের পদধারী এই দুই ইউপি চেয়ারম্যান।ফলে দীর্ঘ এক মাস ধরে সেবাবঞ্চিত দুই ইউনিয়নের হাজারো সেবাপ্রত্যাশী নাগরিক।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর হোসেন বলেন, চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতির কারণে ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক ও প্রশাসনিকসহ যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের জনসেবাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। স্থানীয় জনগণ নাগরিকসেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।ইউএনও বলেন, এমতাবস্থায় উদ্ভূত অসুবিধাসমূহ দূরীকরণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম সচল রাখতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দেশনা চেয়ে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে সংশ্লিষ্ট দুই ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

গ্রেপ্তারের আতঙ্কে তারা গাঁ ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।প্রসঙ্গত, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ২০২১ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রত্নাপালং থেকে নির্বাচিত হন নুরুল হুদা। অপরদিকে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে একই সঙ্গে নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন এই বছরের ২৮ এপ্রিল। ফলে, ওই শূন্য পদে প্রাধান্যের ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন।ইতিপূর্বেই উপজেলা পরিষদ থেকে অপসারিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।বর্তমানে, আওয়ামী লীগের এসব নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। সেসব মামলায় গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আসামী হয়ে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

হারানো বিজ্ঞপ্তি 

উখিয়ার নুরুল হুদা-সালাহ উদ্দিন চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ হচ্ছেন!

প্রকাশিত সময় : ০৯:৪২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

দীর্ঘ সময় অনুপস্থিত থাকার কারণে সেবা বঞ্চিত জন সাধারণ। দ্রুত সময়ে বিকল্প ব্যবস্থায় ফিরতে অপসারণ করা হচ্ছে উখিয়া উপজেলার ২নং রত্নাপালং ও ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই চেয়ারম্যানকে।

এ-সংক্রান্ত স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি প্রেরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর হোসেন। অনুপস্থিতিজনিত কারণ দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের বিকল্প চেয়ে এ চিঠি প্রেরণ করা হয়।সূত্রমতে, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. সালাউদ্দিনের পরিবর্তে একজন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে।

অপরদিকে রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদার পরিবর্তে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে ১নং প্যানেল চেয়ারম্যানকে।রাজনীতির ময়দানে নুরুল হুদা উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মো. সালাউদ্দিন হলেন রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বসেননি আওয়ামী লীগের পদধারী এই দুই ইউপি চেয়ারম্যান।ফলে দীর্ঘ এক মাস ধরে সেবাবঞ্চিত দুই ইউনিয়নের হাজারো সেবাপ্রত্যাশী নাগরিক।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর হোসেন বলেন, চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতির কারণে ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক ও প্রশাসনিকসহ যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের জনসেবাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। স্থানীয় জনগণ নাগরিকসেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।ইউএনও বলেন, এমতাবস্থায় উদ্ভূত অসুবিধাসমূহ দূরীকরণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম সচল রাখতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দেশনা চেয়ে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে সংশ্লিষ্ট দুই ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

গ্রেপ্তারের আতঙ্কে তারা গাঁ ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।প্রসঙ্গত, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ২০২১ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রত্নাপালং থেকে নির্বাচিত হন নুরুল হুদা। অপরদিকে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে একই সঙ্গে নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন এই বছরের ২৮ এপ্রিল। ফলে, ওই শূন্য পদে প্রাধান্যের ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন।ইতিপূর্বেই উপজেলা পরিষদ থেকে অপসারিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।বর্তমানে, আওয়ামী লীগের এসব নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। সেসব মামলায় গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আসামী হয়ে।