১২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উখিয়া ৫শত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক প্রনোদনা পাচ্ছেন জেলায় মোট ১২ হাজার কৃষক প্রনোদনাভুক্ত

কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অতিবৃষ্টি, বন্যা ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাজারো কৃষকের শীতকালীন সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা কর্মসূচির আওতায় খরিপ-২ মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত জেলার ৯ উপজেলার ১২ হাজার কৃষককে শীতকালীন সবজি চাষের জন্য বীজ, সারসহ নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। এতে কিছুটা হলেও কষ্ট লাঘব হবে কৃষকদের।  জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়ার তিন হাজার ৫০০, পেকুয়ার দুই হাজার, সদরের এক হাজার ৫০০, রামুর এক হাজার ৫০০, টেকনাফের এক হাজার, মহেশখালীর এক হাজার, ঈদগাঁওয়ের ৫০০, কুতুবদিয়ার ৫০০ ও উখিয়ায় ৫০০ কৃষককে দেওয়া হবে বিশেষ এই প্রণোদনা। এর মধ্যে আট ধরনের শীতকালীন সবজি যথাক্রমে- টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, মরিচ, ব্রকলি, বেগুন, ফুলকপি ও বাঁধাকপির বীজ দেওয়া হবে। পাশাপাশি তালিকাভুক্ত প্রতি একজন উপকারভোগী কৃষককে এক বিঘা জায়গার জন্য উপকরণ ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।জেলায় এই প্রণোদনা কার্যক্রম বাস্তবায়নে তিন কোটি ৮৬ লাখ ৪১ হাজার ২০০ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. বিমল কুমার প্রামাণিক।  তিনি বলেন, ‘বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কক্সবাজারে নানা প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। আশা করছি, কৃষকরা প্রণোদনা কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন। এ ছাড়া উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে এক পরিবার থেকে একের অধিক যেন কেউ অন্তর্ভুক্ত না হয়, সেক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ উখিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়ন করার কাজ চলছে। শিগগিরই উখিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা বিতরণ করা হবে।’ টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রণোদনার পাশাপাশি শীতকালীন সবজির বীজ রোপণ ও ফসল কর্তনের সময় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উপকারভোগীদের সার্বিক সহায়তা দেওয়া হবে।’ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এবার কম-বেশি দেশের ২৭ জেলা বন্যার কবলে পড়েছে। যার মধ্যে কক্সবাজারসহ ২৩টি জেলার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবারের বন্যায় মোট তিন লাখ ৭২ হাজার ৭৩৩ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত জমির মধ্যে ফসলি জমির পরিমাণ দুই লাখ ৮ হাজার ৫৭৩ হেক্টর। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা কর্মসূচির ওপর জোর দিয়েছে সরকার। শুধু অগ্রাধিকারই নয়, নগদ অর্থ ও উপকরণ সহায়তা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

কক্সবাজারের প্রধান সড়কে রিকশাভ্যানে ভ্রাম্যমাণ দোকান, যাতায়াতে ভোগান্তি

উখিয়া ৫শত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক প্রনোদনা পাচ্ছেন জেলায় মোট ১২ হাজার কৃষক প্রনোদনাভুক্ত

প্রকাশিত সময় : ১১:১১:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অতিবৃষ্টি, বন্যা ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাজারো কৃষকের শীতকালীন সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা কর্মসূচির আওতায় খরিপ-২ মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত জেলার ৯ উপজেলার ১২ হাজার কৃষককে শীতকালীন সবজি চাষের জন্য বীজ, সারসহ নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। এতে কিছুটা হলেও কষ্ট লাঘব হবে কৃষকদের।  জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়ার তিন হাজার ৫০০, পেকুয়ার দুই হাজার, সদরের এক হাজার ৫০০, রামুর এক হাজার ৫০০, টেকনাফের এক হাজার, মহেশখালীর এক হাজার, ঈদগাঁওয়ের ৫০০, কুতুবদিয়ার ৫০০ ও উখিয়ায় ৫০০ কৃষককে দেওয়া হবে বিশেষ এই প্রণোদনা। এর মধ্যে আট ধরনের শীতকালীন সবজি যথাক্রমে- টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, মরিচ, ব্রকলি, বেগুন, ফুলকপি ও বাঁধাকপির বীজ দেওয়া হবে। পাশাপাশি তালিকাভুক্ত প্রতি একজন উপকারভোগী কৃষককে এক বিঘা জায়গার জন্য উপকরণ ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।জেলায় এই প্রণোদনা কার্যক্রম বাস্তবায়নে তিন কোটি ৮৬ লাখ ৪১ হাজার ২০০ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. বিমল কুমার প্রামাণিক।  তিনি বলেন, ‘বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কক্সবাজারে নানা প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। আশা করছি, কৃষকরা প্রণোদনা কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন। এ ছাড়া উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে এক পরিবার থেকে একের অধিক যেন কেউ অন্তর্ভুক্ত না হয়, সেক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ উখিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়ন করার কাজ চলছে। শিগগিরই উখিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা বিতরণ করা হবে।’ টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রণোদনার পাশাপাশি শীতকালীন সবজির বীজ রোপণ ও ফসল কর্তনের সময় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উপকারভোগীদের সার্বিক সহায়তা দেওয়া হবে।’ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এবার কম-বেশি দেশের ২৭ জেলা বন্যার কবলে পড়েছে। যার মধ্যে কক্সবাজারসহ ২৩টি জেলার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবারের বন্যায় মোট তিন লাখ ৭২ হাজার ৭৩৩ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত জমির মধ্যে ফসলি জমির পরিমাণ দুই লাখ ৮ হাজার ৫৭৩ হেক্টর। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা কর্মসূচির ওপর জোর দিয়েছে সরকার। শুধু অগ্রাধিকারই নয়, নগদ অর্থ ও উপকরণ সহায়তা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।