একদিনেই গাজায় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় কমপক্ষে ১১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বেশ কিছু মেডিক্যাল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে গাজায় গণহত্যার গণহত্যার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। খবর আল জাজিরার।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে দখলদার বাহিনী।
এখন পর্যন্ত সেখানে কমপক্ষে ৪৩ হাজার ৮৪৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৩ হাজার ৭৪০ জন। অপরদিকে হামাস ইসরায়েলে আক্রমণের সময় নিহত হয় ১ হাজার ১৩৯ জন এবং দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের হামলায় মোহাম্মদ আফিফ নামে হিজবুল্লাহর এক মুখপাত্র নিহত হয়েছেন। তিনি হিজবুল্লার মিডিয়া রিলেশন অফিসার ও স্থানীয় গণমাধ্যমে খুব পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাধারণত লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের শহরতলিতে হামলা চালায় ইসরায়েল। কিন্তু এই হামলা সেখানে হয়নি। বৈরুতের রাস আল-নাবা নাম স্থান ও তার আশেপাশে হামলা চালায় ইসরায়েল। এই অঞ্চলে হিজবুল্লাহ সদস্যদের উপস্থিতি কম। মূলত এটি খ্রিষ্টান অধ্যুষিত এলাকা।
নতুন ওই হামলা বৈরুতের প্রশাসনিক কেন্দ্রের কাছে চালানো হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল হিজবুল্লাহর অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক সব ফ্রন্টের সক্ষমতা হ্রাস করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাইছে।