১২:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার স্কুলশিক্ষককে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

 

কক্সবাজারের টেকনাফে এবার অপহরণের শিকার হয়েছেন রবিউল আলম নামে এক স্কুলশিক্ষক। রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি।

ওসি বলেন, ‘আমরা পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি উদ্ধার করতে পারবো। রবিউল আলমের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’

শনিবার রাত ৮টার দিকে বাড়ি যাওয়ার সময় টমটমের গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রবিউলকে পাহাড় নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।

রবিউল টেকনাফের দমদমিয়া আলোর পাঠশালা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

অপহরণের শিকার রবিউল আলমের স্ত্রী বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে আমার স্বামীর মোবাইল ফোন নম্বর থেকে কল দিয়ে অপহরণকারীরা ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এত টাকা আমি কোথায় পাবো? টাকা না দিলে ওরা আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।’

অপহৃত রবিউলের ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সর্বশেষ সকালে ফোন করে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে ডাকাতরা। না হলে আমার ভাইকে মেরে ফেলা হবে বলে জানিয়েছে।’

দমদমিয়া আলোর পাঠশালা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী রাজেশ কুমার কানন বলেন, ‘ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষদের। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা। এভাবে তো চলতে পারে না।’

এদিকে, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১১৬ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ জন স্থানীয়। বাকিরা আশ্রিত রোহিঙ্গা। ভুক্তভোগীদের পরিবারের তথ্যমতে, অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে ৫১ জনকে ছাড়াতে মুক্তিপণ দিতে হয়েছে।

 

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আইন শৃঙ্খলা, দ্রব্যমুল্য, সংস্কার বিষয়ে সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ- ধর্ম উপদেষ্টা

এবার স্কুলশিক্ষককে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

প্রকাশিত সময় : ০২:৩১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

 

কক্সবাজারের টেকনাফে এবার অপহরণের শিকার হয়েছেন রবিউল আলম নামে এক স্কুলশিক্ষক। রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি।

ওসি বলেন, ‘আমরা পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি উদ্ধার করতে পারবো। রবিউল আলমের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’

শনিবার রাত ৮টার দিকে বাড়ি যাওয়ার সময় টমটমের গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রবিউলকে পাহাড় নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।

রবিউল টেকনাফের দমদমিয়া আলোর পাঠশালা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

অপহরণের শিকার রবিউল আলমের স্ত্রী বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে আমার স্বামীর মোবাইল ফোন নম্বর থেকে কল দিয়ে অপহরণকারীরা ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এত টাকা আমি কোথায় পাবো? টাকা না দিলে ওরা আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।’

অপহৃত রবিউলের ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সর্বশেষ সকালে ফোন করে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে ডাকাতরা। না হলে আমার ভাইকে মেরে ফেলা হবে বলে জানিয়েছে।’

দমদমিয়া আলোর পাঠশালা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী রাজেশ কুমার কানন বলেন, ‘ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষদের। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা। এভাবে তো চলতে পারে না।’

এদিকে, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১১৬ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ জন স্থানীয়। বাকিরা আশ্রিত রোহিঙ্গা। ভুক্তভোগীদের পরিবারের তথ্যমতে, অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে ৫১ জনকে ছাড়াতে মুক্তিপণ দিতে হয়েছে।