০৮:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওসি ১০ হাজার টাকা, এএসআই ১০ হাজার টাকা !

কক্সবাজার টেকনাফে পরোয়ানার এক আসামিকে ২২ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টেকনাফ থানার (এএসআই) মুস্তাফিজের বিরুদ্ধে। সরকার পতনের পর পুলিশের ফিরিস্তি উঠে আসতেছে।

আসামি মোঃ আলম টেকনাফ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি পৌরসভার সামনে সুপারি ব্যবসা করেন। মোঃ আলম বলেন, ‘আমার আমার একটি মাদক মামলা ছিল। কিন্তু আমি জামিনে ছিলাম।গত ১০ জুলাই সন্ধায় ওই মামলার পরোয়ানা আছে বলে আমাকে গ্রেপ্তার করতে আসেন এএসআই মুস্তাফিজ। আমি জামিনের কাগজ দেখালে এটা ভূয়া বলে। ২২ হাজার টাকা দাবি করেন। অন্যথায় অন্য মামলায় দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। পরে ২২ হাজার টাকা দিয়ে আমাকে মুক্তি দেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে (এএসআই) মুস্তাফিজ টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা ছিল ।সে জামিনে ছিল এটা মিথ্যা কথা। আমি ২২ হাজার টাকার বিনিময়ে টাকা ছেড়ে দিয়।এ টাকা আমি পুরোপুরি নেয়নি। আমি ১০ হাজার টাকা নিছি আর ওসি স্যারকে দিছি ১০ হাজার টাকা।বাকি ২ হাজার টাকা কনেস্টেবলকে দেওয়া হয়েছে।আপনারা জানেন সব টাকা আমরা খাই না। পরে নিউজ না করার জন্য এ প্রতিবেদকের কাছে বিভিন্নভাবে তদবির করার চেষ্টা করেন তিনি।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গণিকে একাধিকবার কল দিলে নম্বর রেসিব করে নাই।

কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ সঙ্গে সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এ ঘটনায় জড়িত থাকলে এএসআই এবং ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

চকরিয়ায় বসতভিটা ও দোকান দখলের জন্য হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট: আহত ৫

ওসি ১০ হাজার টাকা, এএসআই ১০ হাজার টাকা !

প্রকাশিত সময় : ০৮:২৮:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

কক্সবাজার টেকনাফে পরোয়ানার এক আসামিকে ২২ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টেকনাফ থানার (এএসআই) মুস্তাফিজের বিরুদ্ধে। সরকার পতনের পর পুলিশের ফিরিস্তি উঠে আসতেছে।

আসামি মোঃ আলম টেকনাফ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি পৌরসভার সামনে সুপারি ব্যবসা করেন। মোঃ আলম বলেন, ‘আমার আমার একটি মাদক মামলা ছিল। কিন্তু আমি জামিনে ছিলাম।গত ১০ জুলাই সন্ধায় ওই মামলার পরোয়ানা আছে বলে আমাকে গ্রেপ্তার করতে আসেন এএসআই মুস্তাফিজ। আমি জামিনের কাগজ দেখালে এটা ভূয়া বলে। ২২ হাজার টাকা দাবি করেন। অন্যথায় অন্য মামলায় দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। পরে ২২ হাজার টাকা দিয়ে আমাকে মুক্তি দেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে (এএসআই) মুস্তাফিজ টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা ছিল ।সে জামিনে ছিল এটা মিথ্যা কথা। আমি ২২ হাজার টাকার বিনিময়ে টাকা ছেড়ে দিয়।এ টাকা আমি পুরোপুরি নেয়নি। আমি ১০ হাজার টাকা নিছি আর ওসি স্যারকে দিছি ১০ হাজার টাকা।বাকি ২ হাজার টাকা কনেস্টেবলকে দেওয়া হয়েছে।আপনারা জানেন সব টাকা আমরা খাই না। পরে নিউজ না করার জন্য এ প্রতিবেদকের কাছে বিভিন্নভাবে তদবির করার চেষ্টা করেন তিনি।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গণিকে একাধিকবার কল দিলে নম্বর রেসিব করে নাই।

কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ সঙ্গে সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এ ঘটনায় জড়িত থাকলে এএসআই এবং ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।