পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত হলো কক্সবাজার জেলা।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলার ৩টি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ২৬১টি গৃহ উদ্বোধন করে এই ঘোষণা প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এইসময় কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ভাদিতলা আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকারভোগীদের সাথে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৭০ টি পরিবারকে প্রথম ঘর করে দিই। সেখানে জমির অভাব থাকায় ব্যারাক হাউস করে প্রত্যেকের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করেছিলাম এবং ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করেছিলাম।
কক্সবাজারজেলার ৯ উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন নিরূপণ করা হয়েছিল ৪ হাজার ৯২৫ পরিবারকে। এর মধ্যের এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৬৪টি পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিন অবশিষ্ট ২৬১টি গৃহ উদ্বোধন ও হস্তান্তর করা হয় নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় ১৪৬, সদর উপজেলা ৭৫ এবং মহেশখালী উপজেলায় ৪০ টিসহ মোট ২৬১ টি পরিবারের মাঝে।
এতে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার পাকা ঘর ও ২ শতক জমির চাবি-দলিল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও ও মহেশখালী উপজেলায় হালনাগাদ তালিকা অনুযায়ী আর কোন ভূমিহীন পরিবার অবশিষ্ট না থাকায় উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভায় উল্লিখিত ৩টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে ভূমির মালিকানাসহ গৃহ প্রদানের পাশাপাশি নির্মিত গৃহে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ ও সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গৃহ বরাদ্দের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর যৌথনামে বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে। এতে করে সরকার নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, গ্রামেই শহরের সুযোগ-সুবিধা, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে মানবসম্পদ ও পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে পুনর্বাসিত মানুষের জীবন-মানোন্নয়নে কাজ করছে।
কক্সবাজার জেলায় এ পর্যন্ত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে বিনামূল্যের ১০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে। পরিবার প্রতি ২ শতাংশ করে বন্দোবস্ত করা হয়েছে ১২০ একরের বেশি জমি। এর ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার জেলায় আর কোন গৃহহীন ও ভূমিহীন না থাকায় গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয় কক্সবাজার জেলাকে।