০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারের এক দালালসহ তালাশ টিমের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা

 

ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের অনুসন্ধানী মূলক অনুষ্ঠান তালাশ টিমের সদস্যদের বিরুদ্ধে এশিয়ান টিভি, দৈনিক ভোরের পাতা, ও সিএনআই কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি ইমাম হোছাইন শফিক ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন। রোববার (৪ এপ্রিল) কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং সি আর ৩৭৩/২৪ ইং।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য কক্সবাজার জেলা তথ্য অফিসার কে নির্দেশ প্রদান করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, “হোটেলে অবৈধ অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক ব্যবসার পাহারাদার খ্যাত কক্সবাজারের চিহ্নিত কিছু দালাল ঘটনার পরপরই মোটা অংকের চাঁদা নিয়ে সাজিমের সাথে যোগসাজস করে তার পক্ষ নিয়ে তালাশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমে পড়েন” আখ্যা দিয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেভিশনের অনুসন্ধান মূলক অনুষ্ঠান “তালাশ” এর ২৬২ নং পর্বে “কক্সবাজারের ক্রাইম জোন” শীর্ষক শিরোনামে ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বহীনভাবে ছবির উপর সাংবাদিক শফিকসহ আরও ৫জন সাংবাদিক এর নাম উল্লেখ করে প্রচার করে। উক্ত সাংঘাতিক মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ এর বিরুদ্ধে কক্সবাজারের মহেশখালী কালামারছড়ার এলাকার একজন দালাল ও সোর্সসহ ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন, নাজমুল সাইদ,সিনিয়র রিপোর্টার তালাশ টিম,আবদুল্লাহ আল রাফি প্রকাশ শাকিল, উপস্থাপক এবং ইনচার্জ তালাশ টিম, কাজী মোহাম্মদ ইসলাম চিত্র সাংবাদিক তালাশ টিম ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন।

বোরহান উদ্দিন রব্বানী, পিতাঃ রমজান আলী, সাং- কালামারছড়া, মহেশখালী। এদিকে তালাশের এই প্রতিবেদনে কোন তথ্যপ্রাপ্ত ও আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়া সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নাম উল্লেখ করে ছবি ব্যবহার করায় কক্সবাজার কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। তাঁরা বলছেন ঢাকা থেকে এসে কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকদের এভাবেই অপমান ও মানহানি করা এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নই। এছাড়া তাঁরা কার মিশন বাস্তবায়ন করতে কক্সবাজারে এসেছে এটাও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন। এছাড়া সাংবাদিক শফিক দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর সততা, নিষ্ঠা, সুনাম ও আপোষহীন সহিত এই পেশায় কর্মরত আছেন।

তিনি বর্তমানে— “কক্সবাজার সিটি প্রেসক্লাব” এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পেশাগত জীবনে কোন থানায় মামলা কিংবা একটা অভিযোগ পর্যন্ত নেই। পাশাপাশি তিনি একজন সামাজিক ব্যক্তিত্ব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী সাংবাদিক শফিক জানান ” গত ২২ মার্চ রাত ১১টার দিকে মামলার সাক্ষী ও একই ঘটনার ভিকটিম এর পক্ষ থেকে আমি জানতে পারি রাত আনুমানিক ৯.৩০ এর দিকে ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান তালাশ নামক একটি প্রোগ্রামে আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদ প্রচার হয় । যা দেখে আমি রীতিমতো হতবাক হই।

কেননা, তালাশের ওই ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না এবং ওই রিপোর্টারদের ও চিনতাম না। এমনকি তালাশের ওই রিপোর্টারদের সাথে আমার কখনোই কথা ও দেখা হয়নি। মূলত আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই একটি চক্র ষড়যন্ত্রমমূলকভাবে আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি এই বানোয়াট ও মিথ্যা নিউজ পরিবেশেন ও শেয়ার কারীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইবুনালে আমার একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং প্রয়োজনে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবীতে আরও উচ্চ আদালতে যাবো”। উল্লেখ্য একই ঘটনায় তালাশ টিমের বিরুদ্ধে এই পর্যন্ত ৩টি মামলা হয়েছে এবং একটি মামলা সাইবার ট্রাইবুনালে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া তথ্য সূত্রে জানা গেছে আরও কয়েকটি মামলা হচ্ছে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

কক্সবাজারের এক দালালসহ তালাশ টিমের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা

প্রকাশিত সময় : ০৭:৪৬:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

 

ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের অনুসন্ধানী মূলক অনুষ্ঠান তালাশ টিমের সদস্যদের বিরুদ্ধে এশিয়ান টিভি, দৈনিক ভোরের পাতা, ও সিএনআই কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি ইমাম হোছাইন শফিক ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন। রোববার (৪ এপ্রিল) কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং সি আর ৩৭৩/২৪ ইং।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য কক্সবাজার জেলা তথ্য অফিসার কে নির্দেশ প্রদান করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, “হোটেলে অবৈধ অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক ব্যবসার পাহারাদার খ্যাত কক্সবাজারের চিহ্নিত কিছু দালাল ঘটনার পরপরই মোটা অংকের চাঁদা নিয়ে সাজিমের সাথে যোগসাজস করে তার পক্ষ নিয়ে তালাশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমে পড়েন” আখ্যা দিয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেভিশনের অনুসন্ধান মূলক অনুষ্ঠান “তালাশ” এর ২৬২ নং পর্বে “কক্সবাজারের ক্রাইম জোন” শীর্ষক শিরোনামে ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বহীনভাবে ছবির উপর সাংবাদিক শফিকসহ আরও ৫জন সাংবাদিক এর নাম উল্লেখ করে প্রচার করে। উক্ত সাংঘাতিক মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ এর বিরুদ্ধে কক্সবাজারের মহেশখালী কালামারছড়ার এলাকার একজন দালাল ও সোর্সসহ ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন, নাজমুল সাইদ,সিনিয়র রিপোর্টার তালাশ টিম,আবদুল্লাহ আল রাফি প্রকাশ শাকিল, উপস্থাপক এবং ইনচার্জ তালাশ টিম, কাজী মোহাম্মদ ইসলাম চিত্র সাংবাদিক তালাশ টিম ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন।

বোরহান উদ্দিন রব্বানী, পিতাঃ রমজান আলী, সাং- কালামারছড়া, মহেশখালী। এদিকে তালাশের এই প্রতিবেদনে কোন তথ্যপ্রাপ্ত ও আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়া সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নাম উল্লেখ করে ছবি ব্যবহার করায় কক্সবাজার কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। তাঁরা বলছেন ঢাকা থেকে এসে কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকদের এভাবেই অপমান ও মানহানি করা এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নই। এছাড়া তাঁরা কার মিশন বাস্তবায়ন করতে কক্সবাজারে এসেছে এটাও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন। এছাড়া সাংবাদিক শফিক দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর সততা, নিষ্ঠা, সুনাম ও আপোষহীন সহিত এই পেশায় কর্মরত আছেন।

তিনি বর্তমানে— “কক্সবাজার সিটি প্রেসক্লাব” এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পেশাগত জীবনে কোন থানায় মামলা কিংবা একটা অভিযোগ পর্যন্ত নেই। পাশাপাশি তিনি একজন সামাজিক ব্যক্তিত্ব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী সাংবাদিক শফিক জানান ” গত ২২ মার্চ রাত ১১টার দিকে মামলার সাক্ষী ও একই ঘটনার ভিকটিম এর পক্ষ থেকে আমি জানতে পারি রাত আনুমানিক ৯.৩০ এর দিকে ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান তালাশ নামক একটি প্রোগ্রামে আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদ প্রচার হয় । যা দেখে আমি রীতিমতো হতবাক হই।

কেননা, তালাশের ওই ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না এবং ওই রিপোর্টারদের ও চিনতাম না। এমনকি তালাশের ওই রিপোর্টারদের সাথে আমার কখনোই কথা ও দেখা হয়নি। মূলত আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই একটি চক্র ষড়যন্ত্রমমূলকভাবে আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি এই বানোয়াট ও মিথ্যা নিউজ পরিবেশেন ও শেয়ার কারীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইবুনালে আমার একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং প্রয়োজনে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবীতে আরও উচ্চ আদালতে যাবো”। উল্লেখ্য একই ঘটনায় তালাশ টিমের বিরুদ্ধে এই পর্যন্ত ৩টি মামলা হয়েছে এবং একটি মামলা সাইবার ট্রাইবুনালে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া তথ্য সূত্রে জানা গেছে আরও কয়েকটি মামলা হচ্ছে।