পর্যটন শহর কক্সবাজারকে পর্যটক বান্ধব ও নিরাপদ চলাচল এবং অপরাধ মুক্ত করতে টমটম গাড়ীকে লাইসেন্স এর আওতায় এনে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করেন পৌরসভা।সেই রাজস্বের টাকা দিয়ে করা হয় পৌরবাসীর উন্নয়ন।সেই উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ করার প্রয়াসে,প্রয়াত স্বৈরাচার সরকারের ধূসরেরা কিছু নিরীহ শ্রমিকদের উস্কে দিয়ে লাইসেন্স বাতিলের নামে অযুক্তিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন লাইসেন্স মালিকগণ।
তারা বলেন,পৌরসভা কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স মালিকদের সাথে দপায় দপায় বৈঠকের পর পৌর প্রশাসক কিছু শর্ত সাপেক্ষে লাইসেন্স নবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। সেটাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন লাইসেন্স মালিকসহ সচেতন মহল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার মানসে কক্সবাজার টমটম মালিক ও শ্রমিক চালক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সরকারকে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে অননুমোদিত অবৈধ মিশুক গাড়ীর ব্যবসায়ী চালক ও গ্যারেজ মালিকদের সাথে নিয়ে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য ও শান্ত শহরকে অশান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এসব দুষ্কৃতিকারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন লাইসেন্স মালিকসহ সুধীজনেরা।
তারা আরও বলেন,হাজার হাজার পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস এই লাইসেন্স।হাজারো পরিবারের পেটে লাথি মারার চেষ্টাকারী চক্ররা প্রশাসনের কাছ থেকে সুবিধা নিতে না পেরে লাইসেন্স বাতিলের নামে অযুক্তি দাবি নিয়ে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা জেলা প্রশাসক,পৌর পরিষদ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছেন তারা হলো দেশদ্রোহী। যারা আন্দোলনে সাথে জড়িত তাদের অতীত ইতিহাস খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য দেশের সকল গোয়েন্দা বিভাগের প্রতি দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। একাধিক লাইসেন্স মালিকের দাবি মূলত অবৈধ লাইসেন্স বিহীন টমটম গাড়ী এবং অননুমোদিত মিশুক নামক অটোরিকশাকে বৈধতা দিতে আন্দোলনের নামে মরিয়া হয়ে উঠেছে অবৈধ গ্যারেজ ও অটোরিকশার ব্যবসায়ীরা। যারা এসব অবৈধ গাড়ীর চাকল তারা অধিকাংশ রোহিঙ্গা। যারা প্রতিনিয়ত লাইসেন্স বিহীন গাড়ী নিয়ে পর্যটক হয়রানিসহ চুরি ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। সকল রোহিঙ্গা শ্রমিকদের প্রতিহত করে সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ শহর গড়তে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন বৈধ টমটম লাইসেন্স মালিকেরা।