০৫:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারে পাহাড় ধ্বসে মুয়াজ্জিন দম্পতির মৃত্যু

  • এম এ সাত্তার
  • প্রকাশিত সময় : ০৭:১৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪
  • ১৫৩ ভিউ

কক্সবাজারে পাহাড় ধ্বসে মৃত্যুর মিছিলে লাশের সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে কক্সবাজার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড বাদশাঘোনা এলাকায় পাহাড় ধ্বসে মারা গেছেন এক মোয়াজ্জিন (সহকারী ইমাম) দম্পতি। গত তিন দিন আগে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে মারা গেছেন ১০ জন।

নিহতেরা হলেন বাদশাঘোনা এলাকার ওমর ফারুক জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন আনোয়ার হোসেন ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মাইমুনা আকতার।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাদের এলাকায় খুবই বৃষ্টি হচ্ছিল। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে তারা একটি আওয়াজ শুনতে পায়। কিছুক্ষণ পরে জানতে পারেন মোয়াজ্জিন আনোয়ারের ঘরে পাহাড় ধসের ঘটনা। এসময় স্থানীয়রা ৪০/৫০ মিনিট চেষ্টা করে তাদের দুইজনের নিথর দেহ উদ্ধার করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন জানান, ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সরকারি/ বেসরকারিভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষকে সচেতন করলেও তারা বাড়িঘর ছেড়ে অন্য কোথাও সড়ে যায় না, সব সময় থাকেন উদাসীন। যার কারণে দিন দিন এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা দেখতে হচ্ছে সবাইকে। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার পৌরসভার অন্তত দশ হাজার মানুষ পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে আছে। গেল তিন দিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দশজন এবং কক্সবাজার পৌরসভার বাদশাঘোনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

কক্সবাজারে পাহাড় ধ্বসে মুয়াজ্জিন দম্পতির মৃত্যু

প্রকাশিত সময় : ০৭:১৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪

কক্সবাজারে পাহাড় ধ্বসে মৃত্যুর মিছিলে লাশের সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে কক্সবাজার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড বাদশাঘোনা এলাকায় পাহাড় ধ্বসে মারা গেছেন এক মোয়াজ্জিন (সহকারী ইমাম) দম্পতি। গত তিন দিন আগে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে মারা গেছেন ১০ জন।

নিহতেরা হলেন বাদশাঘোনা এলাকার ওমর ফারুক জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন আনোয়ার হোসেন ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মাইমুনা আকতার।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাদের এলাকায় খুবই বৃষ্টি হচ্ছিল। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে তারা একটি আওয়াজ শুনতে পায়। কিছুক্ষণ পরে জানতে পারেন মোয়াজ্জিন আনোয়ারের ঘরে পাহাড় ধসের ঘটনা। এসময় স্থানীয়রা ৪০/৫০ মিনিট চেষ্টা করে তাদের দুইজনের নিথর দেহ উদ্ধার করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন জানান, ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সরকারি/ বেসরকারিভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষকে সচেতন করলেও তারা বাড়িঘর ছেড়ে অন্য কোথাও সড়ে যায় না, সব সময় থাকেন উদাসীন। যার কারণে দিন দিন এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা দেখতে হচ্ছে সবাইকে। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার পৌরসভার অন্তত দশ হাজার মানুষ পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে আছে। গেল তিন দিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দশজন এবং কক্সবাজার পৌরসভার বাদশাঘোনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।