পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে কক্সবাজারে থাকা সম্পদ দেখভাল করবে জেলা প্রশাসন। সংস্থাটিকে রিসিভার নিয়োগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত সোমবার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে (ডিসি) চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দুদক উপরিচালক সুবেল আহমেদ এ চিঠি দেন। পত্রের সঙ্গে আদালতের আদেশে জব্দ হওয়া কক্সবাজারে বেনজীর পরিবারের সম্পদের তালিকাও সরবরাহ করা হয়েছে।
দুদকের তথ্য বলছে, কক্সবাজারে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সম্পদ আছে বিভিন্ন স্থানে। এর মধ্যে টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেনজীরের নামে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ২২ শতাংশ জমি। ১২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ৪৪ শতাংশ, ১০ লাখ ৭ হাজার টাকার ৩৫ শতাংশ, ১৩ লাখ টাকার ৪৫ শতাংশ, ১২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ২৯ শতাংশ জমি আছে। এ ছাড়া উখিয়া উপজেলার ইনানী মৌজায় বেনজীরের তিন মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর, তাহসিন রাইশা বিনতে বেনজীর ও জারা জেরিন বিনতে বেনজীরের নামে ২৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার ১৫ শতাংশ জমি আছে। বেনজীরের স্ত্রী জীশান মির্জার নামে ১৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকার ১০ শতাংশ জমি। জীশান মির্জার নামে ৫ লাখ টাকা মূল্যের ৪০ শতাংশ এবং ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার ৭ শতাংশ জমি রয়েছে।
দুদকের চিঠি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান সমকালকে বলেন, আদালত থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে কক্সবাজারে থাকা স্থাবর সম্পদ দেখভাল করবে জেলা প্রশাসন।
দায়িত্ব বুঝে নিলেন বেনজীরের রিসোর্টের রিসিভাররা
দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের রিসিভাররা। আদালতের নির্দেশে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদ ক্রোক করার পর সেগুলো দেখভালের জন্য এই রিসিভারদের নিয়োগ দেওয়া হয়। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে গতকাল পার্ক পরিদর্শন করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
নিয়োগ পাওয়া রিসিভার জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপপরিচালক আবদুল কাদের সরদার ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজন কুমার নন্দী গতকাল সকালে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন।
সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক গোপালগঞ্জে হলেও এর বর্ধিতাংশ মাদারীপুর জেলায় বিস্তৃত। সে হিসেবে অপর অংশ দেখভাল করবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন। গত ৮ জুন এই পুরো সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণ নেয় উভয় জেলা প্রশাসন। পার্কটি আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবে আদালতের নির্দেশনা নিয়ে শিগগিরই চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন কাজী মাহবুবুল আলম।