বাংলাদেশ জাতীয সংসদে হুইপ সাইমুম সরওযার কমলের বক্তব্য আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সেনানিবাস না থাকলে কক্সবাজার এলাকা আরাকান আর্মি দখল করে নিতো বলে মন্তব্য করেছেন কক্সবাজার-৩ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল। নিজ নির্বাচনি এলাকা মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিয়ানমারের আরাকান আর্মি সশস্ত্র লড়াই করছে। আমার নির্বাচনি এলাকা থেকে মাত্র দুই কিলোমিটারের মধ্যে তাদের অবস্থান। প্রধানমন্ত্রী সেনানিবাস না দিলে আজ কক্সবাজার অনিরাপদ হয়ে যেত। এতদিনে তারা দখল করে ফেলতো।
রবিবার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন কক্সবাজার সদর, রামু ও ঈদগাঁও আসনের সংসদ সদস্য কমল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে সেনানিবাসের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। আমাদের সুরক্ষিত করেছেন।
বাংলাদেশে অবস্থান করা মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়ে সাইমুম সরওয়ার বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা নিয়ে একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিষদ গঠন করা হলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাড়বে, ভারতের নিরাপত্তা বাড়বে।
মসজিদের ইমামদের চাকরি সরকারি করার দাবি জানান কমল।
কক্সবাজারের হাজার হাজার মানুষ বিদেশের বিভিন্ন কারাগারে আছে দাবি করে তিনি বলেন, মিয়ানমারের কারাগারে আটক অনেককে ফেরত আনা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশে আটক বাংলাদেশিদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ফেরত আনার দাবি করছি। কক্সবাজার জেলার যেসব প্রবাসী সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ আরব উপসাগরীয় দ্বীপে থাকেন, তারা যখন বিভিন্ন মিশনে (কূটনৈতিক মিশন) পাসপোর্ট নবায়ন করতে যান, মিশনে থাকা কর্মকর্তারা তাদের চেনেন না। বলে তোমরা রোহিঙ্গা। তারা বোঝেন না কক্সবাজার ও রোহিঙ্গাদের ভাষার মধ্যে তফাৎ। তিনি সংশ্লিষ্ট মিশনগুলোতে কক্সবাজারের ভাষা বোঝেন এমন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান। কমল বলেন, কক্সবাজারের মানুষকে যাতে হয়রানি করা না হয়।