প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার সফরে এসে রেললাইনসহ যে ১৪ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন তার মধ্যে দৃষ্টিনন্দন কস্তুরাঘাট-খুরুশকুল সংযোগ সেতু অন্যতম।
সন্ধ্যা হলে পুরো সেতুটি অন্ধকার হয়ে যায় দৃষ্টিনন্দন সেতু দুপাশে সারি সারি বাতির ব্যবস্থা থাকলেও জ্বলে না একটি বাতিও। সন্ধ্যা হলে নেমে আসে ঘুর অন্ধকার বেপরোয়া হতে পারে ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ীরা।
দৃষ্টিনন্দন সেতু রাতে দেখতে আসা স্থানীয় রহমত উল্লাহ জানান উদ্ভোধন পর থেকে একদিনের জন্য বাতি জ্বলতে দেখেনি, কক্সবাজারে স্থানীরা এখানে হাটতে আসে রাতে বেলায় কিন্তু অন্ধকারে ছিনতাইকারীদের ভয়ে তেমন যাতায়াত কেউ তেমন করে না।
মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার-খুরুশকুল সংযোগ সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেতুর বাতিগুলো জ্বলে না।
সেখানে বাদাম বিক্রেতা রাসেল বলেন, উদ্বোধনের পর সেতুটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তখন থেকে আছরের পর থেকে এখানে বাদাম বিক্রি করি এখন পর্যন্ত সন্ধ্যা পর বাতি জ্বলতে দেখনি।
এ বিষয়ে এলজিইডির কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন খান’র সাথে মুঠোফোনে কল করলে কল রিসিভ করেন নি।
উল্লেখ্য, ২৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৯৬ মিটার দৈর্ঘ্যের দৃষ্টিনন্দন এই সেতু গত শনিবার (১১ নভেম্বর) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কক্সবাজার শহর থেকে বাঁকখালী নদীর উত্তর পাড়ে খুরুশকুলের আশ্রয়ণ প্রকল্পে যাতায়াতের জন্য বাঁকখালী নদীর ওপর এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। ২৯ই ডিসেম্বর গাড়ী চলাচলের জন্য স্থায়ীভাবে খুলে দেওয়া হয়।