কক্সবাজারের কলাতলী এলাকায় পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর করে দোকান লুটের অভিযোগ উঠেছে নূর হাকিম (৪৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) বিকাল ৩ টার সময় দোকানের বাকী টাকা চাইতে গিয়ে হামলার শিকার হন কৃষ্ট দে (৪২) নামে এক পান ব্যবসায়ী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কলাতলী বাজারে দীর্ঘদিন ধরে পানের ব্যবসা করে আসছেন কৃষ্ট দে। সেই সুবাদে গত এক মাস আগে ওই দোকানে ৫ হাজার ৫০০ টাকার পণ্য একদিন পরে দাম দেওয়ার কথা বলে বাকিতে ক্রয় করেন নূর হাকিম। কিন্তু সেই টাকা দিনের পর মাস গড়ালেও পরিশোধ করেননি নূর হাকিম।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে সেই পাওনা টাকা চাইতে গেলে নূর হাকিম রাগান্বিত হয়ে কৃষ্ট দে'র সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে নূর হাকিম তার ছেলে রফিক (২৩) কে ফোন করে ডেকে নিয়ে আসে। রফিক ১০/১২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে এসে বাজারের মানুষের সামনে প্রকাশ্যেই কৃষ্ট দে'কে বাশঁ ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন কৃষ্ট দে'কে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা আশংকা জনক বলে জানায়।
নাম প্রকাশ না করা এক স্থানীয় ব্যবসায়ী জানান,'নূর হাকিম একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তার ছেলে রফিককে ব্যবহার করে নূর হাকিম কলাতলী বাজারে ত্রাসের রাজত্য চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ভয়ে কেও মুখ খুলতে পারে না। বাকীতে পণ্য না দিলেই শুরু হয় মারধর। তাদের এমন সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ড থেকে আমরা কলাতলী বাজারের ব্যবসায়ীরা মুক্তি চায়।'
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নূর হাকিম ও তার ছেলে রফিকের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী কৃষ্ট দে।
কৃষ্ট দে জানান, 'আমি বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন নাগরিক, অন্যদিকে নূর হাকিম একজন আইন অমান্য কারী সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তার এবং তার ছেলের অত্যাচারে আমরা কলাতলী বাজারের ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। বাকীতে পন্য না দিলেই শুরু হয় মারধর, বাকীতে পণ্য দিলে আবার সেই টাকা চাইতে গেলে আবারও শুরু হয় মারধর। আমাকে মারার পর আমার ও আমার ছেলে অভির পকেট থেকে ২৫ হাজার টাকা ও একটি ৩৬ হাজার টাকা মূল্যের বিভো মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায় রফিক। আমি পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আমার প্রতি ঘটে যাওয়া এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনার সঠিক বিচার দাবী করি আমি।'
ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত নূর হাকিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।