উখিয়ার কুতুপালং এলাকার বাসিন্দা এড.ছমি উদ্দিন কর্তৃক মিথ্যা মামলা দায়ের ও নিরীহ লোকজনের খতিয়ানভুক্ত জায়গা-জমি জবর দখল পাঁয়তারার গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন একাধিক পরিবার।ছমি উদ্দিন নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন মিথ্যা মামলা-মোকাদ্দমায় ফাঁসানো।তারই ধারাবাহিকতায় কুতুপালং এলাকার মৃত মীর কাসেমের ছেলে কবির আহমদ ও জানে আলমের নামে মিথ্যা মামলা রুজু ও মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে তাদের পিতা মীর কাসেমের নামীয় রেকর্ডিয় বিএস ২৩০,বিএস ৭৮২ এবং বিএস ১৭০৩ নং খতিয়ানের (চুড়ান্ত পর্যায়) জায়গা জবর দখলের উদ্দেশ্য হয়রানী করে যাচ্ছেন।কুতুপালং চৌধুরী ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন ওবায়দুর রহমান গংয়ের জায়গা জোর পুর্বক দখল করে ভোগ করে আসছেন ছমি উদ্দিন।কুতুপালং কমিউনিটি ক্লিনিক স্থীত জায়গা দখলে নিতে ক্লিনিকের চিকিৎসক অজিত বড়ুয়া গংদের নামে মামলা রুজু করেছেন।গত ২২ সেপ্টেম্বর দৈনিক আজকের দেশবিদেশ পত্রিকায় ছমি উদ্দিনের মিথ্যা মামলার শিকার কবির আহমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য সৃজিত সংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন।
কবির আহমদ জানান,মুলত আইনজীবী পরিচয় দেওয়া ছমি উদ্দিন একজন মিথ্যা মামলাবাজ,
জবর দখল প্রকৃতির লোক।যিনি নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে বিচার পরিপন্থি কাজ করছেন।তার মিথ্যা মামলা থেকে সংখ্যালঘু পরিবারও রেহাই পায়নি।রেহাই পায়নি রক্তের আত্মীয়স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীও।ছমি উদ্দিন নিজের এলাকায় মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন বা আইনী সহযোগিতা দিয়ে ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করেছেন এমন কোন নজির নেই।
শুধু মিথ্যা মামলার বাদী হওয়া,মিথ্যা মামলার বাদী সাজানো,অন্যের জায়গা-জমি দখল-বেদখলের ঘটনায় খ্যাতি আছে নিজের এলাকায়।
সে আইনজীবী সেজে চট্টগ্রাম কোর্টে বিচারকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আসামী জামিন করানোর জনশ্রুতি রয়েছে। তার প্রতিবেশী দূরতম আত্মীয় কুতুপালং এলাকার শুধু নয়, পুরো জেলার কৃতিসন্তান কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা.আলী হোসাইন সুমনের নামে একের পর এক অন্তত ১৭ টি মামলা রুজু করে হয়রানী করে আসছেন।শুধু প্রাপ্ত জমি না দিয়ে হয়রানী এবং এলাকায় না ফেরার জন্য এসব মামলায় ফাঁসিয়েছেন।।সংখ্যালঘু বজেন্দ্র বড়ুয়া গংয়ের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন।ওই মামলায় মিলন বড়ুয়া নামের একজন জেল খেটেছেন।কবির আহমদ ২০০০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কুয়েত প্রবাসী ছিলেন।দীর্ঘ ২০ বছরের প্রবাস জীবনে যথেষ্ট অর্থ ও সম্পদ অর্জন করেছেন।সেখানে কারো জমি দখল হাস্যকর বলে কবির আহমদ জানান।ছমি উদ্দিন কবির আহমদের ভাই জানে আলমের নাম বিকৃত করে ডাকাত বলেছেন।শিক্ষিত মানুষ ছমি উদ্দিনের এই আচরণে সংক্ষুদ্ধ হন।
প্রবাস ফেরত কবির আহমদের নামে ১৯৯৮, ২০১২ সালে পৃথক দুটি মামলা করেন,দীর্ঘ কয়েক বছর মামলা পরিচালনা করেন।ওইসব মামলায় বেকসুর খালাস দেয় আদালত।২০২৩ সালে আরেকটি মামলা আদালত খারিজ করে দেন।চলতি বর্ষে ৫ সেপ্টেম্বর ছমি উদ্দিন বাদী হয়ে কবির আহমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য সৃজিত আরোও একটি মামলা দায়ের করেন, আইন-আদালতের প্রতি সম্মান রেখে আত্মসমর্পণ পুর্বক জামিন নিয়েছেন কবির আহমদ।কবিরের ভগ্নিপতি ওবায়দূর রহমান,তার ভাই সিরাজ সওদাগর ও আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল গত আওয়ামীলীগ সরকার আমলে।সেই মামলাও মিথ্যা।অথচ ছমি উদ্দিন নিজেকে আইনজীবী এবং আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে বহু কু-কৃর্তির জন্ম দিয়েছেন।গত আওয়ামীলীগ সরকার আমলে তৎকালিন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি বাগিয়ে নেন এবং বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাত দেখিয়ে তহবিল তছরুপের কারণে এলাকাবাসী গণমিছিল, প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেছিল। তখন সভাপতি পদ থেকে অপসারিত হন ছমি উদ্দিন।
উখিয়ার প্রভাবশালী এক আওয়ামীলীগ নেতার ছত্রছায়ায় আওয়ামীলীগ সরকার আমলে কুতুপালং এলাকায় তার চেয়ে বড় আওয়ামীলীগ নেতা ছিল না বলে প্রচার করতেন। নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে উখিয়ার প্রভাবশালী এক আওয়ামীলীগ নেতার ছত্রছায়ায় কুতুপালং বাজার এলাকায় দখল-বেদখলের জন্ম দিয়েছেন। ডজন-ডজন মিথ্যা মামলা করে এলাকার নিরীহ মানুষজনকে হয়রানী করে গেছেন।আবার অনেকজনকে মিথ্যা মামলার বাদীও সাজানোতেও দক্ষ ছমি উদ্দিন।তিনি কুতুপালং পালং বাজারে যে দুটি মার্কেট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন,উক্ত মার্কেটে ডা.সুমন,ওবায়দুর,সিরাজ ও কাসেম গং সহ বিভিন্ন জনের প্রাপ্ত অংশী জায়গা রয়েছে।ওই সময় তিনি জাদরেল আওয়ামীলীগ নেতা ছিলেন, তার মামলার ব্যবসা ও জমি দখল প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করতেন উখিয়ার এক প্রভাবশালী প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতার শক্তি।তিনি কুতুপালংয়ের আমজনতার চিকিৎসার ভরসাস্থল 'কুতুপালং কমিউনিটি ক্লিনিকে' ছমি উদ্দিনের জায়গা রয়েছে মর্মে অজুহাত তুলে ওই কমিউনিটি হাসপাতালের চিকিৎসক অজিত বড়ুয়া সহ দুইজনের নামে মামলা দায়ের করে কমিউনিটি ক্লিনিক দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।চিকিৎসা সেবাই আঘাত করা যেনো তাহার আরেকটি গুণ।
কবির আহমদ'র আনিত এসব অভিযোগ'র বিষয়ে এড.ছমি উদ্দিনের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি,তবে তাহার ঘনিষ্ট পক্ষের দাবী,ছমি উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা এবং তিনি তাহার জায়গা-জমির বিষয়ে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছেন।