০৮:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরমে ডাবের পানিতে মিলছে স্বস্তি, দাম চড়া

বৈশাখের তীব্র গরমে এক গ্লাস ডাবের পানি যেন নিমিষেই প্রশান্তি এনে দেয় দেহ—মনে। সুমিষ্ট এই পানি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে সবার কপালে জুটছে না ডাবের পানি।কক্সবাজার শহরে ডাবের দোকানগুলোতে বেশ চড়া ডাবের দাম।

রোববার (২১ এপ্রিল) হাসপাতাল রোড, কলাতলী, সুগন্ধা, লাবনী পয়েন্টসহ শহরে বিভিন্ন  জায়গা ঘুরে দেখা যায়,ছোট সাইজের প্রতি পিস ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০—১২০ টাকায়। আর মাঝারি ও বড় সাইজের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা বলেন, তীব্র গরমে বেড়ে গেছে ডাবের চাহিদা। তাই সরবরাহ থাকার পরও দাম বাড়ছে। কলাতালী বীচের ডাব বিক্রেতা সাহাব উদ্দিন বলেন, গ্রাম অঞ্চলে ডাবের কোনো সংকট নেই। তবে সরবরাহের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি। তাই দামও কিছুটা বেড়েছে। কক্সবাজারে পর্যটক বাড়লে দাম আরও বেড়ে যায়। আড়ত পর্যায়ে একশ ডাবের দাম প্রায় এক থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কদিন আগেও একশ ডাব কিনেছি ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকায়।

বর্তমানে সেটি কিনতে হচ্ছে ১০ হাজার থেকে ১১ হাজার টাকায়। ছোট সাইজের ডাব হলে হয়তো কিছু কমে মিলছে। সদর হাসপাতাল রোডের ডাব বিক্রেতা ফরহাদ বলেন, প্রতি বছর বৈশাখ মাসে এমনিতেই বাড়ে ডাবের দাম। তবে এ বছর তীব্র গরম পড়ায় সেটি আরও বেশি বেড়েছে। আগের তুলনায় এখন ডাবের চাহিদা বেশি মানুষের।

আমাদের কক্সবাজারে স্থানীদের চেয়ে পর্যটকের চাহিদা বেশি থাকে। গ্রাম অঞ্চলে গিয়ে ব্যবসায়ীরা ডাব সংগ্রহ করে নিয়ে আসে শহরে। তবে বাড়িতে গিয়ে কিনে আনলে দাম একটু কম দিয়ে পাওয়া যায়। প্রতি পিচ ডাব দাম ৪০—৫০ টাকা দিতে হয় আমাদের। গাড়ি ভাড়া নিজের খরচ সবকিছু মিলিয়ে ৮০ টাকা খরচ চলে যায় একটা ডাবের প্রতি। দোকান ভাড়া সবকিছু মিলিয়ে লাভ থাকে ২০—৩০ টাকা মত। পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা বলছেন, চাহিদার তুলনায় ডাব অনেক কম। পাশাপাশি বেড়েছে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের সংখ্যা। এতে ডাবের দাম আরও বাড়নে বলে জানান বিক্রেতারা।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

জমে উঠেছে বৃহত্তর বাদশাঘোনা সমাজ পরিচালনা কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা

গরমে ডাবের পানিতে মিলছে স্বস্তি, দাম চড়া

প্রকাশিত সময় : ০৮:১২:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

বৈশাখের তীব্র গরমে এক গ্লাস ডাবের পানি যেন নিমিষেই প্রশান্তি এনে দেয় দেহ—মনে। সুমিষ্ট এই পানি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে সবার কপালে জুটছে না ডাবের পানি।কক্সবাজার শহরে ডাবের দোকানগুলোতে বেশ চড়া ডাবের দাম।

রোববার (২১ এপ্রিল) হাসপাতাল রোড, কলাতলী, সুগন্ধা, লাবনী পয়েন্টসহ শহরে বিভিন্ন  জায়গা ঘুরে দেখা যায়,ছোট সাইজের প্রতি পিস ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০—১২০ টাকায়। আর মাঝারি ও বড় সাইজের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা বলেন, তীব্র গরমে বেড়ে গেছে ডাবের চাহিদা। তাই সরবরাহ থাকার পরও দাম বাড়ছে। কলাতালী বীচের ডাব বিক্রেতা সাহাব উদ্দিন বলেন, গ্রাম অঞ্চলে ডাবের কোনো সংকট নেই। তবে সরবরাহের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি। তাই দামও কিছুটা বেড়েছে। কক্সবাজারে পর্যটক বাড়লে দাম আরও বেড়ে যায়। আড়ত পর্যায়ে একশ ডাবের দাম প্রায় এক থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কদিন আগেও একশ ডাব কিনেছি ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকায়।

বর্তমানে সেটি কিনতে হচ্ছে ১০ হাজার থেকে ১১ হাজার টাকায়। ছোট সাইজের ডাব হলে হয়তো কিছু কমে মিলছে। সদর হাসপাতাল রোডের ডাব বিক্রেতা ফরহাদ বলেন, প্রতি বছর বৈশাখ মাসে এমনিতেই বাড়ে ডাবের দাম। তবে এ বছর তীব্র গরম পড়ায় সেটি আরও বেশি বেড়েছে। আগের তুলনায় এখন ডাবের চাহিদা বেশি মানুষের।

আমাদের কক্সবাজারে স্থানীদের চেয়ে পর্যটকের চাহিদা বেশি থাকে। গ্রাম অঞ্চলে গিয়ে ব্যবসায়ীরা ডাব সংগ্রহ করে নিয়ে আসে শহরে। তবে বাড়িতে গিয়ে কিনে আনলে দাম একটু কম দিয়ে পাওয়া যায়। প্রতি পিচ ডাব দাম ৪০—৫০ টাকা দিতে হয় আমাদের। গাড়ি ভাড়া নিজের খরচ সবকিছু মিলিয়ে ৮০ টাকা খরচ চলে যায় একটা ডাবের প্রতি। দোকান ভাড়া সবকিছু মিলিয়ে লাভ থাকে ২০—৩০ টাকা মত। পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা বলছেন, চাহিদার তুলনায় ডাব অনেক কম। পাশাপাশি বেড়েছে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের সংখ্যা। এতে ডাবের দাম আরও বাড়নে বলে জানান বিক্রেতারা।