১২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় শিশুদের কান্না করার মতো শক্তিও নেই

দীর্ঘ পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলার সঙ্গে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলা ও অবরোধের কারণে সেখানে দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা বিরাজ করছে। না খেতে পেয়ে ফিলিস্তিনি শিশুরা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে, অনাহারে শিশুদের গায়ে কান্না করার মতো শক্তিও নেই। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এমন ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।
রোববার (১৭ মার্চ) ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল মার্কিন টিভি নেটওয়ার্ক সিবিএস নিউজকে বলেছেন, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ১৩ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। আরও হাজার হাজার শিশু আহত হয়েছে। অথবা এসব শিশু কোথায় আছে তা-ও আমরা নির্ধারণ করতে পারছি না। তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকতে পারে। আমরা বিশ্বের অন্য কোনো সংঘাতে শিশুদের এত মৃত্যুর হার দেখিনি।
তিনি বলেন, আমি শিশুদের ওয়ার্ডে ছিলাম। তারা মারাত্মক রক্তস্বল্পতাজনিত অপুষ্টিতে ভুগছে। অথচ পুরো ওয়ার্ড একেবারে নীরব। কারণ শিশুদের গায়ে কান্না করার মতো শক্তিও নেই।
রাসেল বলেন, ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষের শিকার হয়েছেন। কিন্তু ইসরায়েলের ‘গণহত্যা’ যুদ্ধের কারণে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক বড় ধরনের আমলাতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
এর আগে গত শনিবার (১৬ মার্চ) অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের প্রধান ত্রাণসহায়তাবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে শিশুদের মধ্যে দ্রুত তীব্র অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে দুজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।
ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, গাজায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং সেটি নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমনকি অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে শিশুদের মৃত্যুর খবর আসছে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

গাজায় শিশুদের কান্না করার মতো শক্তিও নেই

প্রকাশিত সময় : ০৭:৫৬:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

দীর্ঘ পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলার সঙ্গে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলা ও অবরোধের কারণে সেখানে দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা বিরাজ করছে। না খেতে পেয়ে ফিলিস্তিনি শিশুরা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে, অনাহারে শিশুদের গায়ে কান্না করার মতো শক্তিও নেই। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এমন ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।
রোববার (১৭ মার্চ) ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল মার্কিন টিভি নেটওয়ার্ক সিবিএস নিউজকে বলেছেন, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ১৩ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। আরও হাজার হাজার শিশু আহত হয়েছে। অথবা এসব শিশু কোথায় আছে তা-ও আমরা নির্ধারণ করতে পারছি না। তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকতে পারে। আমরা বিশ্বের অন্য কোনো সংঘাতে শিশুদের এত মৃত্যুর হার দেখিনি।
তিনি বলেন, আমি শিশুদের ওয়ার্ডে ছিলাম। তারা মারাত্মক রক্তস্বল্পতাজনিত অপুষ্টিতে ভুগছে। অথচ পুরো ওয়ার্ড একেবারে নীরব। কারণ শিশুদের গায়ে কান্না করার মতো শক্তিও নেই।
রাসেল বলেন, ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষের শিকার হয়েছেন। কিন্তু ইসরায়েলের ‘গণহত্যা’ যুদ্ধের কারণে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক বড় ধরনের আমলাতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
এর আগে গত শনিবার (১৬ মার্চ) অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের প্রধান ত্রাণসহায়তাবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে শিশুদের মধ্যে দ্রুত তীব্র অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে দুজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।
ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, গাজায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং সেটি নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমনকি অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে শিশুদের মৃত্যুর খবর আসছে।