০৪:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় ৬০ শতাংশের বেশি বাড়ি-ঘর ধ্বংস করেছে ইসরায়েল

গাজায় সংঘাত শেষ হলেও অনেকেই আর নিজেদের বাড়ি-ঘরে ফিরতে পারবেন না। কারণ সেখানকার বেশিরভাগ বাড়ি-ঘর এবং স্থাপনাই ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার এমন কোনো স্থান নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী আগ্রাসন চালায়নি। ফলে সেখানকার কোনো স্থানই এখন আর নিরাপদ নয়। খবর আল জাজিরার।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার অনেক মানুষেরই ফিরে যাওয়ার জন্য আর কোনো নিরাপদ স্থান থাকবে না। সেখানকার ৬২ শতাংশ বাড়ি-ঘর ইতোমধ্যেই ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া গাজার ৭৫ শতাংশের বেশি জনসংখ্যাই এখন বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে। সেখানকার লোকজন এখনও জানেন না যে, সংঘাত কবে শেষ হবে।

প্রায় ৬ মাস ধরে গাজায় তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেখানকার বাড়ি-ঘর, মসজিদ, হাসপাতালসহ কোনো স্থাপনাই ইসরায়েলি হামলা থেকে বাদ পড়েনি। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে ৩৩ হাজার ৩৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৫ হাজার ৬৬৮ জন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সৈন্যদের হামলায় প্রতিদিনই সেখানে শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছে।

জাতিসংঘ বলছে, গাজায় ৫০ হাজারেরও বেশি শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। এদিকে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি রয়েছে দুই হাজারের বেশি শিশু।

 

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

‘স্টেপ ডাউন ইউনুস’পোস্ট করে আটক হলেন যুবক!

গাজায় ৬০ শতাংশের বেশি বাড়ি-ঘর ধ্বংস করেছে ইসরায়েল

প্রকাশিত সময় : ১০:২০:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪

গাজায় সংঘাত শেষ হলেও অনেকেই আর নিজেদের বাড়ি-ঘরে ফিরতে পারবেন না। কারণ সেখানকার বেশিরভাগ বাড়ি-ঘর এবং স্থাপনাই ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার এমন কোনো স্থান নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী আগ্রাসন চালায়নি। ফলে সেখানকার কোনো স্থানই এখন আর নিরাপদ নয়। খবর আল জাজিরার।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার অনেক মানুষেরই ফিরে যাওয়ার জন্য আর কোনো নিরাপদ স্থান থাকবে না। সেখানকার ৬২ শতাংশ বাড়ি-ঘর ইতোমধ্যেই ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া গাজার ৭৫ শতাংশের বেশি জনসংখ্যাই এখন বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে। সেখানকার লোকজন এখনও জানেন না যে, সংঘাত কবে শেষ হবে।

প্রায় ৬ মাস ধরে গাজায় তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেখানকার বাড়ি-ঘর, মসজিদ, হাসপাতালসহ কোনো স্থাপনাই ইসরায়েলি হামলা থেকে বাদ পড়েনি। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে ৩৩ হাজার ৩৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৫ হাজার ৬৬৮ জন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সৈন্যদের হামলায় প্রতিদিনই সেখানে শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছে।

জাতিসংঘ বলছে, গাজায় ৫০ হাজারেরও বেশি শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। এদিকে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি রয়েছে দুই হাজারের বেশি শিশু।