ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আরও দুটি হাসপাতাল ঘেরাও করে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এ সময় বন্দুকের মুখে স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীদের হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। রোববার (২৪ মার্চ) ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
নতুন করে অবরোধের শিকার হাসপাতাল দুটি হলো আল-আমল ও আল-নাসর হাসপাতাল। এর আগে গাজার প্রধান হাসপাতাল আল-শিফা অবরোধ করে ৪৮০ জন হামাস যোদ্ধাকে আটকের দাবি করেছিল ইসরায়েল।
ইসরায়েল বলছে, পাঁচ মাস ধরে যুদ্ধে জর্জরিত গাজার হাসপাতালগুলোকে সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতকামী সংগঠন হামাস। এমন দাবির সাফাই গেয়ে বেশকিছু ভিডিও ও ছবি প্রকাশ করেছে দেশটি। তবে হামাস ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা ইসরায়েলের এমন দাবি অস্বীকার করে আসছেন।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, তুমুল বোমাবর্ষণের মধ্যে ইসরায়েলি ট্যাংক হঠাৎ করে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের আল-আমাল ও নাসের হাসপাতালের আশেপাশের এলাকায় ঢুকে পড়লে তাদের এক কর্মী নিহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে সংগঠনটি আরও বলেছে, ইসরায়েলি সাঁজোয়া বাহিনী আল-আমাল হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে। এর আশপাশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। আমাদের দলের সব সদস্য এই মুহূর্তে চরম বিপদে রয়েছে। তারা কোনোভাবে চলাচল করতে পারছে না।
ইসরায়েলি বাহিনী এখন আল আমালের প্রাঙ্গণ থেকে কর্মী, রোগী ও বাস্তুচ্যুত মানুষকে সম্পূর্ণভাবে সরে যেতে বলেছে। তাদের সরিয়ে দিতে মানুষের দিকে স্মোক বোমা ছুড়ে মারছে বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে হামাস যোদ্ধারা আল-আমাল এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য বেসামরিক অবকাঠামো ব্যবহার করছে। এ জন্য তাদের সেনারা আল-আমল হাসপাতালে অভিযান শুরু করেছে।