০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুমধুমে বসতভিটি’র সীমানা বিরোধে যুবক নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের:৯জন আসামী

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে বসতভিটির সীমানা বিরোধে প্রতিপক্ষের হাতে যুবক নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৩ আগষ্ট নিহত যুবক জামাল উদ্দিনের পিতা আবুল কালাম বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় একজন নারী সহ ৬ জন এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরো ৩ জন সহ ৯ জনকে আসামী করেছে।মামলা নং- ৫৪/২৪,তারিখ-১৩/০৮/২০২৪ ইংরেজী।এজাহার নামীয় আসামীরা হলেন,
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের জলপাইতলী এলাকার আবদুল হাকিমের ছেলে আফলাতুন কাউসার, মৃত এরশাদ আলীর ছেলে আবদুল হাকিম,মৃত আনোয়ারুল হকের ছেলে শাহ কামাল,শাহ কামালের ছেলে শাকিবুল হাসান শিমু ও তামিম এবং আব্দুল হাকিমের স্ত্রী রাজিয়া বেগম।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই)পাভেল মল্লিক জানান,৬ জন এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরো ৩জন সহ ৯ জনকে আসামী করা হয়েছে।কোন আসামী গ্রেফতার নেই,তবে গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলছে।নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মো.আবদুল মান্নান বলেন,ঘুমধুমে জমি বিরোধের ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।যেকোন মুহুর্তে আসামী গ্রেফতারের খবর পাবেন।প্রসঙ্গত:স্থানীয় প্রত্যেক্ষদর্শী এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,জলপাইতলী এলাকার আবদুল হাকিম এবং শাহকামালের পরিবারের সাথে আবুল কালাম কলিমের বসতভিটির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।এ নিয়ে একাধিকবার উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হয়েছিল।এর জেরে ১১ আগষ্ট দিনের বেলায় আবুল কালাম কলিমের বসতভিটির জায়গার অংশে আবদুল হাকিমের পরিবার ঘেরাবেড়া ও সীমানা খুটি স্থাপন করে।১১ আগষ্ট দিনের শেষে রাত বারোটার দিকে আবুল কালাম কলিমের ছেলে জামাল উদ্দিন বাড়িতে ফিরলে বাবা-মা,স্ত্রী তাদের জায়গা দখল করে সীমানা খুটি স্থাপন ও ঘেরাবেড়া দেওয়ার কথা জানান ছেলে জামাল উদ্দিনকে।এ কথা শোনে জামাল উদ্দিন তাদের দখল করা বসতভিটির অংশ দেখতে রাত সাড়ে বারোটার দিকে ঘটনাস্থলে যান।ওই সময় পুর্ব থেকেই উৎপেতে থাকা আবদুল হাকিম,তার ছেলে আফলাতুন কায়সার,শাহকামাল, তার ছেলে শিমু ও তামিম রবি কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই জামাল উদ্দিন কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।জামাল উদ্দিনের সোরচিৎকারে তার বাবা আবুল কালাম কলিম এগিয়ে গেলে তাকেও বেধম পিঠিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন প্রতিপক্ষরা।ওই সময় স্থানীয় প্রতিবেশী লোকজন এগিয়ে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়।পিতা-পুত্রকে গুরুতর জখমাবস্থায় উদ্ধার করে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জামাল উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহতের স্বজন মাওলানা এনামুল হক ও মো.ছৈয়দুল জানান,জামাল উদ্দিন ও তার বাবা কলিমকে আবদুল হাকিম তার ছেলে ছেলে আফলাতুন কায়সার,শাহকামাল,তার ছেলে শিমু ও রবি সহ ১০/১২ জন লোক কুপিয়েছে।এতে জামাল উদ্দিন মারা গেছে।কলিমও গুরুতর আহত হন।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

কক্সবাজারে এক নারী মানষিক ভারসাম্যহীন হয়ে ফাঁস খেয়ে আত্মহত্যা

ঘুমধুমে বসতভিটি’র সীমানা বিরোধে যুবক নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের:৯জন আসামী

প্রকাশিত সময় : ০৩:২১:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে বসতভিটির সীমানা বিরোধে প্রতিপক্ষের হাতে যুবক নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৩ আগষ্ট নিহত যুবক জামাল উদ্দিনের পিতা আবুল কালাম বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় একজন নারী সহ ৬ জন এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরো ৩ জন সহ ৯ জনকে আসামী করেছে।মামলা নং- ৫৪/২৪,তারিখ-১৩/০৮/২০২৪ ইংরেজী।এজাহার নামীয় আসামীরা হলেন,
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের জলপাইতলী এলাকার আবদুল হাকিমের ছেলে আফলাতুন কাউসার, মৃত এরশাদ আলীর ছেলে আবদুল হাকিম,মৃত আনোয়ারুল হকের ছেলে শাহ কামাল,শাহ কামালের ছেলে শাকিবুল হাসান শিমু ও তামিম এবং আব্দুল হাকিমের স্ত্রী রাজিয়া বেগম।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই)পাভেল মল্লিক জানান,৬ জন এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরো ৩জন সহ ৯ জনকে আসামী করা হয়েছে।কোন আসামী গ্রেফতার নেই,তবে গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলছে।নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মো.আবদুল মান্নান বলেন,ঘুমধুমে জমি বিরোধের ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।যেকোন মুহুর্তে আসামী গ্রেফতারের খবর পাবেন।প্রসঙ্গত:স্থানীয় প্রত্যেক্ষদর্শী এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,জলপাইতলী এলাকার আবদুল হাকিম এবং শাহকামালের পরিবারের সাথে আবুল কালাম কলিমের বসতভিটির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।এ নিয়ে একাধিকবার উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হয়েছিল।এর জেরে ১১ আগষ্ট দিনের বেলায় আবুল কালাম কলিমের বসতভিটির জায়গার অংশে আবদুল হাকিমের পরিবার ঘেরাবেড়া ও সীমানা খুটি স্থাপন করে।১১ আগষ্ট দিনের শেষে রাত বারোটার দিকে আবুল কালাম কলিমের ছেলে জামাল উদ্দিন বাড়িতে ফিরলে বাবা-মা,স্ত্রী তাদের জায়গা দখল করে সীমানা খুটি স্থাপন ও ঘেরাবেড়া দেওয়ার কথা জানান ছেলে জামাল উদ্দিনকে।এ কথা শোনে জামাল উদ্দিন তাদের দখল করা বসতভিটির অংশ দেখতে রাত সাড়ে বারোটার দিকে ঘটনাস্থলে যান।ওই সময় পুর্ব থেকেই উৎপেতে থাকা আবদুল হাকিম,তার ছেলে আফলাতুন কায়সার,শাহকামাল, তার ছেলে শিমু ও তামিম রবি কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই জামাল উদ্দিন কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।জামাল উদ্দিনের সোরচিৎকারে তার বাবা আবুল কালাম কলিম এগিয়ে গেলে তাকেও বেধম পিঠিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন প্রতিপক্ষরা।ওই সময় স্থানীয় প্রতিবেশী লোকজন এগিয়ে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়।পিতা-পুত্রকে গুরুতর জখমাবস্থায় উদ্ধার করে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জামাল উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহতের স্বজন মাওলানা এনামুল হক ও মো.ছৈয়দুল জানান,জামাল উদ্দিন ও তার বাবা কলিমকে আবদুল হাকিম তার ছেলে ছেলে আফলাতুন কায়সার,শাহকামাল,তার ছেলে শিমু ও রবি সহ ১০/১২ জন লোক কুপিয়েছে।এতে জামাল উদ্দিন মারা গেছে।কলিমও গুরুতর আহত হন।