১১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুমধুমে লীজের জায়গা দখল:সীমানা খুটি-ঘেরাবেড়া উপড়ানো ও গাছ কেটে সাবাড়

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু এলাকায় সরকার কর্তৃক লীজ প্রাপ্ত জায়গা জবর দখলের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে দখলদার চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে। দখলদার চক্রের সদস্য হিসেবে মিয়ানমার পালানো পুরানো রোহিঙ্গাও রয়েছে ।চুক্তিনামা পর্যালোচনায় প্রাপ্ত তথ্যসুত্রে জানা যায়,বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ২৭১ নং তুমব্রু মৌজার ১১ নং সীটের ২০১২ নং দাগের ১৮.২৭ একর এবং ২০১৪ নং দাগের ৬.৭৩ একর সহ মোট ২৫ একর ৩য় শ্রেণীর জমি সরকার কর্তৃক লীজ প্রাপ্ত হন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের উত্তর কমলাপুরের কাজী জসিম উদ্দিন রোডের ৬৩/৪ নং হোল্ডিংয়ের বাসিন্দা এবিএম সাইফুল্লা চৌধুরীর কন্যা ডা: সুলতানা শামীমা চৌধুরী।যেটি ১৯৯৯/২০০০ অর্থসালে উক্ত জায়গা লীজপ্রাপ্ত হয়ে দখল সংরক্ষণে আছেন এবং বাগান সৃজন করেন ডা: সুলতানা শামীমা চৌধুরী।তুমব্রু পাহাড় পাড়া এলাকায় স্থীত উক্ত জায়গার অংশ বিশেষ জবর দখল করতে জায়গার সীমানা চৌহদ্দির অন্তত ২শতটি সীমানা খুটি ও ঘেরাবেড়া উপড়িয়ে ফেলেছেন এবং বেশ কিছু গাছ কেটে সাবাড় ও মাটি কেটে ভিটি শ্রেণি সৃষ্টি করেছেন দখলদার চক্রের সদস্য ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের তুমব্রু পশ্চিমকুলের পাহাড় পাড়ার বাসিন্দা আবদূর রহিমের ছেলে, ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের শীর্ষ ইয়াবা কারবারি ও চোরাকারবারি, ইয়াবা সহ গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর জেল খেটে সদ্য জামিয়ে বেরিয়ে আসা একরাম হোসেন একরাম,মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বসতি গড়ে তোলা বার্মাইয়া জমির হোছন,নবী হোছন ও মৃত আবদুল মজিদের ছেলে, ১ নং ওয়ার্ডের চৌকিদার মো: শরীফ,২ নং ওয়ার্ডের চৌকিদার আবদুল মালেকের জামাতা বহিরাগত আব্দুল মোনাফ ও তার স্ত্রী সফুরা খাতুন এবং বার্মাইয়া হোছন সহ ৮/১০ জন দখলদার।

৫ আগষ্টে দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পট পরিবর্তের পর একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় কতিপয় কয়েক নেতার ইশারা-ইংগিতে এমন দখল কর্মকান্ড চালাচ্ছে বলে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে।ওই বাগানের তত্বাবধায়ক ছৈয়দুল বশর জানান,এগুলো লীজপ্রাপ্ত জায়গা।ওই জায়গার আশপাশে গত কয়েক বছরে নতুন করে গড়ে তোলা লোকজনদের কাছে লীজের জায়গা রয়েছে।তাদের নিকট থেকে উক্ত জায়গা গুলো দখল উচ্ছেদ করা হয়নি।তার মাঝে গত কয়েকদিন ধরে নতুন করে জায়গার সীমানা খুটি, ঘেরাবেড়া উপড়িয়ে ফেলেছেন,গাছ কেটে নিয়েছেন। তারা নিজেরাই দখল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ঘেরাবেড়া দিচ্ছেন।দখল কাজে রাজনৈতিক দলের কোন নেতাকর্মী জড়িত কিনা প্রশ্নোত্তরে বলেন, না।স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মী দখলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান, দখল চেষ্টা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন দখলদারদের।

দালিলিক কোন প্রমাণপত্র আছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন দখলদারদের ?দখলদাররা বলেন,তাদের কোন কাগজপত্র নাই,দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখলে আছেন।নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মাসরুরুল হক এ প্রসঙ্গে জানান,এ ধরণের কোন খবর পায় নাই। কেউ লিখিত অভিযোগও দেয় নাই।অভিযোগ দিলে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

পৌর প্রশাসকের সাথে দেখা করে টমটম চালকরা কক্স-ক্যাপের নামে শ্রমিকদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে

ঘুমধুমে লীজের জায়গা দখল:সীমানা খুটি-ঘেরাবেড়া উপড়ানো ও গাছ কেটে সাবাড়

প্রকাশিত সময় : ০৮:৩৮:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু এলাকায় সরকার কর্তৃক লীজ প্রাপ্ত জায়গা জবর দখলের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে দখলদার চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে। দখলদার চক্রের সদস্য হিসেবে মিয়ানমার পালানো পুরানো রোহিঙ্গাও রয়েছে ।চুক্তিনামা পর্যালোচনায় প্রাপ্ত তথ্যসুত্রে জানা যায়,বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ২৭১ নং তুমব্রু মৌজার ১১ নং সীটের ২০১২ নং দাগের ১৮.২৭ একর এবং ২০১৪ নং দাগের ৬.৭৩ একর সহ মোট ২৫ একর ৩য় শ্রেণীর জমি সরকার কর্তৃক লীজ প্রাপ্ত হন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের উত্তর কমলাপুরের কাজী জসিম উদ্দিন রোডের ৬৩/৪ নং হোল্ডিংয়ের বাসিন্দা এবিএম সাইফুল্লা চৌধুরীর কন্যা ডা: সুলতানা শামীমা চৌধুরী।যেটি ১৯৯৯/২০০০ অর্থসালে উক্ত জায়গা লীজপ্রাপ্ত হয়ে দখল সংরক্ষণে আছেন এবং বাগান সৃজন করেন ডা: সুলতানা শামীমা চৌধুরী।তুমব্রু পাহাড় পাড়া এলাকায় স্থীত উক্ত জায়গার অংশ বিশেষ জবর দখল করতে জায়গার সীমানা চৌহদ্দির অন্তত ২শতটি সীমানা খুটি ও ঘেরাবেড়া উপড়িয়ে ফেলেছেন এবং বেশ কিছু গাছ কেটে সাবাড় ও মাটি কেটে ভিটি শ্রেণি সৃষ্টি করেছেন দখলদার চক্রের সদস্য ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের তুমব্রু পশ্চিমকুলের পাহাড় পাড়ার বাসিন্দা আবদূর রহিমের ছেলে, ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের শীর্ষ ইয়াবা কারবারি ও চোরাকারবারি, ইয়াবা সহ গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর জেল খেটে সদ্য জামিয়ে বেরিয়ে আসা একরাম হোসেন একরাম,মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বসতি গড়ে তোলা বার্মাইয়া জমির হোছন,নবী হোছন ও মৃত আবদুল মজিদের ছেলে, ১ নং ওয়ার্ডের চৌকিদার মো: শরীফ,২ নং ওয়ার্ডের চৌকিদার আবদুল মালেকের জামাতা বহিরাগত আব্দুল মোনাফ ও তার স্ত্রী সফুরা খাতুন এবং বার্মাইয়া হোছন সহ ৮/১০ জন দখলদার।

৫ আগষ্টে দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পট পরিবর্তের পর একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় কতিপয় কয়েক নেতার ইশারা-ইংগিতে এমন দখল কর্মকান্ড চালাচ্ছে বলে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে।ওই বাগানের তত্বাবধায়ক ছৈয়দুল বশর জানান,এগুলো লীজপ্রাপ্ত জায়গা।ওই জায়গার আশপাশে গত কয়েক বছরে নতুন করে গড়ে তোলা লোকজনদের কাছে লীজের জায়গা রয়েছে।তাদের নিকট থেকে উক্ত জায়গা গুলো দখল উচ্ছেদ করা হয়নি।তার মাঝে গত কয়েকদিন ধরে নতুন করে জায়গার সীমানা খুটি, ঘেরাবেড়া উপড়িয়ে ফেলেছেন,গাছ কেটে নিয়েছেন। তারা নিজেরাই দখল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ঘেরাবেড়া দিচ্ছেন।দখল কাজে রাজনৈতিক দলের কোন নেতাকর্মী জড়িত কিনা প্রশ্নোত্তরে বলেন, না।স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মী দখলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান, দখল চেষ্টা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন দখলদারদের।

দালিলিক কোন প্রমাণপত্র আছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন দখলদারদের ?দখলদাররা বলেন,তাদের কোন কাগজপত্র নাই,দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখলে আছেন।নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মাসরুরুল হক এ প্রসঙ্গে জানান,এ ধরণের কোন খবর পায় নাই। কেউ লিখিত অভিযোগও দেয় নাই।অভিযোগ দিলে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন