০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুমধুম সীমান্তের পাচারযজ্ঞের হোতা আবু বক্কর ইয়াবাসহ ৪ সহযোগী নিয়ে গ্রেফতার!

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম পয়েন্ট দিয়ে উভয় মুখী পাচারযজ্ঞের চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু বক্কর আরো ৪জন সহযোগী নিয়ে ইয়াবা সহ গ্রেফতার হয়েছে।১৩ আগষ্ট রাত ৮ টার দিকে ৩০ বিজিবি’র রামুর মরিচ্যা চেকপোস্টে তারা গ্রেফতার হন। বিজিবি সুত্র জানায়,মরিচ্যা চেকপোস্ট এলাকায় নিয়মিত গাড়ী তল্লাশীকালে কক্সবাজার মুখী একটি যাত্রীবাহী সিএনজি গাড়ী’কে থামানোর সংকেত দিলে পালানোর চেষ্টাকালে গাড়ীটি আটক করে তল্লাশী করা হয়।এসময় সিএনজি গাড়ীর পিছনের সীটে বসা যাত্রীদের দেখানো মতে ৭হাজার ৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার এবং ৫ টি মোবাইলও জব্দ করা হয়।এসব ইয়াবা ও মোবাইলের মুল্য ২২ লাখ ১৬ হাজার টাকা।এ সময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বেতবনিয়া এলাকার মৃত হোছন আহমদ ও ফাতেমা বেগম দম্পতির ছেলে আবু বক্কর(৪২),টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া গ্রামের মৃত জহির আহামদ ও মৃত রশিদা খাতুন দম্পতির ছেলে মো.নুরুল আবছার

(৩০),উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বালুখালী গ্রামের নুরুল কবির ও গুলজার বেগম দম্পতির ছেলে নুরুল মোস্তফা

(২৯),উখিয়ার কুতুপালং ৬নং ক্যাম্পের ই/৩ ব্লকের, শেড মাঝি নুর মোহাম্মদ, হেড মাঝি মো.আয়াজের অধীনস্থ মৃত নুর আহমদ ও আমিনা খাতুন দম্পতির ছেলে আবদুর রহিম(৫০)।যার এফসিএন নং-১৫২২৮৫ ও টেকনাফ পৌরসভার  ১নং ওয়ার্ডের নাইক্ষ্যং পাড়ার মৃত সিদ্দিক ও মৃত আলমাস খাতুনের ছেলে কালু মিয়া(৪২)কে গ্রেফতার করা হয়।

ধৃতদের রামু থানায় সোপর্দ করে নিয়মিত মামলা রুজু করেছে বিজিবি।রামু থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) ইমন কান্তি চৌধুরী জানান,

৭ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবা বহন-পাচারে জড়িত ৫ জনের নামে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।ধৃতদের কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।আবু বক্কর ঘুমধুম সীমান্তের চিহ্নিত চোরাকারবারি।তাদের চোরাই কারবারের বিশাল সিন্ডিকেট রয়েছে।

তাদের সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে বিএনপি নেতা,যুবলীগ নেতা,মুক্তিযোদ্ধার চোরাকারবারি নাতি সহ অন্তত ৬০ জন চোরাকারবারি রয়েছে।কালো টাকার জোরে বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় তারা।আবু বক্কর সহ তাদের সিন্ডিকেটের অপরাপর সদস্যরা মিয়ানমারের কাটা তাঁর মাড়িয়ে মিয়ানমারে জ্বালানী তেল সহ প্রয়োজনীয় সব পণ্যসামগ্রী পাচারের ভিডিও চিত্র এ প্রতিবেদকের সংরক্ষণে রয়েছে।তাদের পাচার যজ্ঞ নিয়ে জাতীয়,আঞ্চলিক ও স্থানীয় প্রিন্ট ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যবহুল সংবাদ প্রচার হয়।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

কক্সবাজারে এক নারী মানষিক ভারসাম্যহীন হয়ে ফাঁস খেয়ে আত্মহত্যা

ঘুমধুম সীমান্তের পাচারযজ্ঞের হোতা আবু বক্কর ইয়াবাসহ ৪ সহযোগী নিয়ে গ্রেফতার!

প্রকাশিত সময় : ০৮:৪৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম পয়েন্ট দিয়ে উভয় মুখী পাচারযজ্ঞের চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু বক্কর আরো ৪জন সহযোগী নিয়ে ইয়াবা সহ গ্রেফতার হয়েছে।১৩ আগষ্ট রাত ৮ টার দিকে ৩০ বিজিবি’র রামুর মরিচ্যা চেকপোস্টে তারা গ্রেফতার হন। বিজিবি সুত্র জানায়,মরিচ্যা চেকপোস্ট এলাকায় নিয়মিত গাড়ী তল্লাশীকালে কক্সবাজার মুখী একটি যাত্রীবাহী সিএনজি গাড়ী’কে থামানোর সংকেত দিলে পালানোর চেষ্টাকালে গাড়ীটি আটক করে তল্লাশী করা হয়।এসময় সিএনজি গাড়ীর পিছনের সীটে বসা যাত্রীদের দেখানো মতে ৭হাজার ৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার এবং ৫ টি মোবাইলও জব্দ করা হয়।এসব ইয়াবা ও মোবাইলের মুল্য ২২ লাখ ১৬ হাজার টাকা।এ সময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বেতবনিয়া এলাকার মৃত হোছন আহমদ ও ফাতেমা বেগম দম্পতির ছেলে আবু বক্কর(৪২),টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া গ্রামের মৃত জহির আহামদ ও মৃত রশিদা খাতুন দম্পতির ছেলে মো.নুরুল আবছার

(৩০),উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বালুখালী গ্রামের নুরুল কবির ও গুলজার বেগম দম্পতির ছেলে নুরুল মোস্তফা

(২৯),উখিয়ার কুতুপালং ৬নং ক্যাম্পের ই/৩ ব্লকের, শেড মাঝি নুর মোহাম্মদ, হেড মাঝি মো.আয়াজের অধীনস্থ মৃত নুর আহমদ ও আমিনা খাতুন দম্পতির ছেলে আবদুর রহিম(৫০)।যার এফসিএন নং-১৫২২৮৫ ও টেকনাফ পৌরসভার  ১নং ওয়ার্ডের নাইক্ষ্যং পাড়ার মৃত সিদ্দিক ও মৃত আলমাস খাতুনের ছেলে কালু মিয়া(৪২)কে গ্রেফতার করা হয়।

ধৃতদের রামু থানায় সোপর্দ করে নিয়মিত মামলা রুজু করেছে বিজিবি।রামু থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) ইমন কান্তি চৌধুরী জানান,

৭ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবা বহন-পাচারে জড়িত ৫ জনের নামে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।ধৃতদের কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।আবু বক্কর ঘুমধুম সীমান্তের চিহ্নিত চোরাকারবারি।তাদের চোরাই কারবারের বিশাল সিন্ডিকেট রয়েছে।

তাদের সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে বিএনপি নেতা,যুবলীগ নেতা,মুক্তিযোদ্ধার চোরাকারবারি নাতি সহ অন্তত ৬০ জন চোরাকারবারি রয়েছে।কালো টাকার জোরে বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় তারা।আবু বক্কর সহ তাদের সিন্ডিকেটের অপরাপর সদস্যরা মিয়ানমারের কাটা তাঁর মাড়িয়ে মিয়ানমারে জ্বালানী তেল সহ প্রয়োজনীয় সব পণ্যসামগ্রী পাচারের ভিডিও চিত্র এ প্রতিবেদকের সংরক্ষণে রয়েছে।তাদের পাচার যজ্ঞ নিয়ে জাতীয়,আঞ্চলিক ও স্থানীয় প্রিন্ট ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যবহুল সংবাদ প্রচার হয়।