নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মায়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩৪ বিজিবি'র ঘুমধুম বিওপি'র বিশেষ টহলদল অভিযান পরিচালনা করে ৪০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে।তাদেরকে বিপি-৩২ থেকে আনুমানিক ২শত গজ পশ্চিমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জলপাইতলীর জামালের মৎস্য ঘের নামক স্থান থেকে আটক করা হয়।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর ) সকাল ১১টার সময় কক্সবাজার ৩৪ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)'র দায়িদ্বপূর্ণ এলাকায় ঘুমধুম বিওপি'র বিশেষ টহল দল বিওপি থেকে উত্তর-পশ্চিমে বিওপি থেকে ৪শ'৫শ' মিটার পূর্বে এবং বিপি-৩২ থেকে আনুমানিক ২শত গজ পশ্চিম দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্তবর্তী জামালের ঘের নামক স্থান থেকে এসব ইয়াবা উদ্ধার এবং দুই মাদক পাচারকারীকে আটক করা হয়।
আটক মাদক পাচারকারীগণ হলেন,বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়ার কামাল হোসেনের পুত্র মোঃ রিয়াজ (১৮) ও কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জুমের ছড়ার নুর হোছাইনের পুত্র মোঃ মূশফিকুর রহমান (১৯)।
আটককৃতদের ইয়াবাসহ উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা যায়।
৩৪ বিজিবি'র প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী'র নেতেৃত্ব নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে বিওপির বিশেষ টহল দল এই অভিযান চালান। ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী বলেন, উদ্ধারকৃত মাদক সীমান্তের মাদক পাচারকারীগণ অবৈধ পন্থায় পাশ্ববর্তী মিয়ানমার থেকে এনে, অন্যত্রে পাচারের জন্য চেষ্ঠা করেছিল। বিজিবি'র অভিযান ও কঠোরতায় মাদক পাচারকারীগণ সফল হতে পারেনি।উদ্ধার করা ইয়াবা সহ মাদক পাচারকারীদ্ধয়কে উখিয়া থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।