ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে পাহাড় কেটে অন্যের বসতভিটায় মাটি ফেলে ঘরের টিনের ছাল ও ঘর ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শহরের ০৯ নং ওয়ার্ডের ঘোনারপাড়ার পেয়ারাবাগান এলাকায়। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় শফি প্রকাশ তেইল্যাচুরার মেয়ে জেসমিন আকতার বেবি ও ভাই যুবদল নেতা দেলোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে উঁচু একটি পাহাড় রাতের আঁধারে কেটে মাটিগুলো পার্শ্ববর্তী নিচু জায়গায় বসবাসকারী দেলোয়ার মিস্ত্রীর বসভিটায় ফেলছে। এতে করে পাহাড় কাটা মাটি স্থানীয় বিএনপি নেতা দেলোয়ার মিস্ত্রীর ঘরের টিনের ছাল ও বেড়া ভেঙ্গে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়। তখন বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে বেশ কয়েবার সালিশ বৈঠকও করা হয়। কিন্তু প্রভাবশালী বেবি ও যুবদল নেতা দেলোয়ার ক্ষমতা দেখিয়ে বার বার পাহাড় কাটা মাটি একই জায়গায় ফেলতে থাকে।
এতে অসহায় দেলোয়ার মিস্ত্রী নিরুপায় হয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন সুরার পায়নি। অভিযুক্তরা টাকা আর ক্ষমতার জোর দেখিয়ে বারবার পাহাড় কেটে মাটিগুলো অসহায় দেলোয়ার মিস্ত্রীর জায়গাতে ফেলতে থাকেন।এতে বাঁধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা অসহায় দেলোয়ার মিস্ত্রীরির পরিবারের উপর হামলা পর্যন্ত করে। সর্বশেষ গত ২৩ অক্টোবর রাতে আবারও পাহাড় কেটে মাটি ভুক্তভোগী দেলোয়ার মিস্ত্রীরির বসতবাড়িতে ফেলে ঘরের ছাল ভেঙ্গে ফেললে দেলোয়ার মিস্ত্রীরির পরিবার জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে সদর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।তখন পুলিশ টিমের নেতৃত্বে দেওয়ার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক সৌরভ বড়ুয়া উভয়কে স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে বসে সুরাহা করার জন্য বলা হলেও ক্ষমতার প্রভাবকাটিয়ে দেলোয়ার ও তার বোন বেবি কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত দেলোয়ার মিস্ত্রী ও তার বড় ছেলে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যুবদল নেতা দেলোয়ার ও তার বোন বেবি আমাদের ঘরের পাশে বিশাল আকারের একটি পাহাড় কেটে মাটিগুলো আমাদের জায়গায় ফেলছে। এতে আমাদের ঘরের ছালে পড়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষমতা দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এমন কাজ করলেও বেশ কয়বার শালিশ বৈঠকেও তারা কোন কিছু পাত্তা দিচ্ছে না৷ তারা আমাদের পারিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত।
দ্রুত প্রশাসনে হস্তক্ষেপ কামনা করছি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইতিপূর্বেও এমন ঘটনার সংবাদ সংগ্রহে গেলে সংবাদ কর্মীদেরকে লাঞ্চিত করার মত ঘটনাও ঘটিয়েছে অভিযুক্ত বেবি ও তার ভাই দেলোয়ার।ক্ষতিগ্রস্তরা গত ২৩ অক্টোবর রাতে ৯৯৯ এ কল দিলে সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম আসলে পাহাড় কাটার জড়িত দেলোয়ার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে বৈঠক করে সমাধান করার কথা দিলেও এখনো পর্যন্ত কোন বৈঠকে বসেনি৷ উল্টো ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ার কারনে ক্ষতিগ্রস্তদের কে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। অভিযুক্ত দেলোয়ারকে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।