০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘোষণাতেই শেষ, নেই তদারকি

ঘোষণাতেই শেষ সরকারনির্ধারিত বাজারমূল্য। অভিযান জরিমানা করেও কোনোভাবে দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। রাজধানীর বেশির ভাগ পণ্যই সরকারনির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না। আগের মতোই বেশি দামে সব পণ্য বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি সরকারের নির্ধারণ করা মূল্য ১৭৫ টাকা হলেও বাজারে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে ২২০ টাকা। কাঁচামরিচ সরকার ৬০ টাকা নির্ধারণ করলেও বাজারে তার দ্বিগুণ দামে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এভাবেই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব পণ্য। ফলে এই রমজানেও স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা। গত ১৫ মার্চ ২৯ পণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করে কৃষি বিপণন অধিদফতর। এতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত যেন নতুন দামে পণ্য কেনাবেচা করা হয়। দাম নির্ধারণের পর তদারকি করার কথা ঢাকা জেলা কৃষি বিপণন অফিসের। দাম বেঁধে দেওয়ার পর রাজধানীর বাজারে তদারকি করতে দেখা যায়নি।

গতকাল সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের সঙ্গে চলমান বাজার দরের কোনো মিল নেই। নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী মুগ ডালের খুচরা দাম ১৬৫ দশমিক ৪১ টাকা কেজি। কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। মাষকলাই ১৬৬ দশমিক ৪১ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। ছোলার (আমদানিকৃত) দাম ৯৮ দশমিক ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। মসুর ডাল (উন্নত) দাম ১৩০ দশমিক ৫০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। মসুর ডাল (মোটা) ১০৫ দশমিক ৫০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। খেসারির ডাল ৯২ দশমিক ৬১ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা দরে। পাঙ্গাশ (চাষের মাছ) ১৮০ দশমিক ৮৭ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। কাতল (চাষের মাছ) ৩৫৩ দশমিক ৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকায়। গরুর মাংসের কেজি ৬৬৪ দশমিক ৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। ছাগলের মাংস ১০০৩ দশমিক ৫৬ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ দশমিক ৩০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা দরে। ডিম প্রতি পিস ১০ দশমিক ৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকার ওপরে। দেশি পিঁয়াজ কেজি খুচরা ৬৫ দশমিক ৪০ টাকা নির্ধারণ হলে বর্তমানে কিছু কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। দেশি রসুন কেজি খুচরা ১২০ দশমিক ৮১ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা। আমদানিকৃত আদা খুচরা বাজারে ১৮০ দশমিক ২০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা। শুকনো মরিচ কেজি খুচরা ৩২৭ দশমিক ৩৪ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। কাঁচামরিচ কেজি ৬০ দশমিক ২০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। খুচরায় বাঁধাকপি কেজি ২৮ দশমিক ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। ফুলকপি কেজি ২৯ দশমিক ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। বেগুন ৪৯ দশমিক ৭৫ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। শিম খুচরায় ৪৮ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। আলু ২৮ দশমিক ৫৫ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা। টমেটো ৪০ দশমিক ২০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। মিষ্টি কুমড়া ২৩ দশমিক ৩৮ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। জাহিদি খেজুর ১৮৫ দশমিক ০৭ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।

মোটা চিঁড়া ৬০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। লাল চিঁড়া বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। সাগর কলা হালি ২৯ দশমিক ৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। বেসন ১২১ দশমিক ৩০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে অ্যাংকরের বেসন ১২০ টাকা কেজি আর ভুট্টার বেসন ১৬০ টাকা কেজি।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

ঘোষণাতেই শেষ, নেই তদারকি

প্রকাশিত সময় : ০২:৫৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

ঘোষণাতেই শেষ সরকারনির্ধারিত বাজারমূল্য। অভিযান জরিমানা করেও কোনোভাবে দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। রাজধানীর বেশির ভাগ পণ্যই সরকারনির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না। আগের মতোই বেশি দামে সব পণ্য বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি সরকারের নির্ধারণ করা মূল্য ১৭৫ টাকা হলেও বাজারে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে ২২০ টাকা। কাঁচামরিচ সরকার ৬০ টাকা নির্ধারণ করলেও বাজারে তার দ্বিগুণ দামে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এভাবেই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব পণ্য। ফলে এই রমজানেও স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা। গত ১৫ মার্চ ২৯ পণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করে কৃষি বিপণন অধিদফতর। এতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত যেন নতুন দামে পণ্য কেনাবেচা করা হয়। দাম নির্ধারণের পর তদারকি করার কথা ঢাকা জেলা কৃষি বিপণন অফিসের। দাম বেঁধে দেওয়ার পর রাজধানীর বাজারে তদারকি করতে দেখা যায়নি।

গতকাল সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের সঙ্গে চলমান বাজার দরের কোনো মিল নেই। নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী মুগ ডালের খুচরা দাম ১৬৫ দশমিক ৪১ টাকা কেজি। কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। মাষকলাই ১৬৬ দশমিক ৪১ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। ছোলার (আমদানিকৃত) দাম ৯৮ দশমিক ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। মসুর ডাল (উন্নত) দাম ১৩০ দশমিক ৫০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। মসুর ডাল (মোটা) ১০৫ দশমিক ৫০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। খেসারির ডাল ৯২ দশমিক ৬১ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা দরে। পাঙ্গাশ (চাষের মাছ) ১৮০ দশমিক ৮৭ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। কাতল (চাষের মাছ) ৩৫৩ দশমিক ৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকায়। গরুর মাংসের কেজি ৬৬৪ দশমিক ৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। ছাগলের মাংস ১০০৩ দশমিক ৫৬ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ দশমিক ৩০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা দরে। ডিম প্রতি পিস ১০ দশমিক ৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকার ওপরে। দেশি পিঁয়াজ কেজি খুচরা ৬৫ দশমিক ৪০ টাকা নির্ধারণ হলে বর্তমানে কিছু কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। দেশি রসুন কেজি খুচরা ১২০ দশমিক ৮১ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা। আমদানিকৃত আদা খুচরা বাজারে ১৮০ দশমিক ২০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা। শুকনো মরিচ কেজি খুচরা ৩২৭ দশমিক ৩৪ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। কাঁচামরিচ কেজি ৬০ দশমিক ২০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। খুচরায় বাঁধাকপি কেজি ২৮ দশমিক ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। ফুলকপি কেজি ২৯ দশমিক ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। বেগুন ৪৯ দশমিক ৭৫ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। শিম খুচরায় ৪৮ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। আলু ২৮ দশমিক ৫৫ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা। টমেটো ৪০ দশমিক ২০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। মিষ্টি কুমড়া ২৩ দশমিক ৩৮ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। জাহিদি খেজুর ১৮৫ দশমিক ০৭ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।

মোটা চিঁড়া ৬০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। লাল চিঁড়া বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। সাগর কলা হালি ২৯ দশমিক ৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। বেসন ১২১ দশমিক ৩০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে অ্যাংকরের বেসন ১২০ টাকা কেজি আর ভুট্টার বেসন ১৬০ টাকা কেজি।