০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চকরিয়ার মাতামুহুরি নদীতে ভেসে এলো যুবকের লাশ

চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নের বটতলী ৫ নং ওয়ার্ডে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর রূপন দে(৪০) নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত ১১ টার সময় লোটনী ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় মাতামুহুরি নদী থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রূপন দে কাকারা বটতলী এলাকার শুভাষ চন্দ্র দে’র ছেলে। নিহতের পিতা শুভাষ চন্দ্র দৈনিক সমুদ্রকন্ঠকে জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার সময় হাতে যন্ত্রপাতি সহ কাজের উদ্দেশ্যে বের হন রূপন দে। দুপুর ২টার সময় দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য তার স্ত্রী ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে রূপন আর বাড়ি ফিরেনি। খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

পরে শুক্রবার বিকাল ৫ টার সময় লোটনী ৫ নং ওয়ার্ড এলাকায় মাতামুহুরি নদীতে তাঁর লাশ ভাসতে দেখতে পায় নদীপাড়ে খেলতে যাওয়া শিশুরা। পরে উক্ত এলাকার ইউপি সদস্য হারুন নিহতের পরিবারকে অবগত করেন।পরে নৌ-পুলিশে খবর দেয়া হলে রাত ১১টার সময় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় রাত ৩টার সময়। এই নিউজ লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় চকরিয়া থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলমান বলে জানান নিহতের পিতা।

এই বিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী জানান মাতামুহুরি নদীতে রূপন দে নামের এক যুবকের লাশ ভেসে এসেছে এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তবে এই বিষয়ে বদরখালী নৌ-পুলিশ আইনগত ব্যবস্তা নিয়েছে। অতিশীঘ্রই তারা ঘটনার আসল রহস্য উম্মোচন করবে।

এদিকে নিহতের পরিবারের স্বজনরা দাবী করেন রূপনকে হত্যার পর লাশ মাতামুহুরি নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। তারা এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করেন।
নিহত রূপন এসি/ফ্রীজ মেরামতের কাজ করতো বলে জানা যায়। তার ২ সন্তান, বড় মেয়ের বয়স ১২ বছর এবং ছোটো ছেলের বয়স ৯ বছর।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

চকরিয়ায় বসতভিটা ও দোকান দখলের জন্য হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট: আহত ৫

চকরিয়ার মাতামুহুরি নদীতে ভেসে এলো যুবকের লাশ

প্রকাশিত সময় : ০৮:৪৪:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নের বটতলী ৫ নং ওয়ার্ডে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর রূপন দে(৪০) নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত ১১ টার সময় লোটনী ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় মাতামুহুরি নদী থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রূপন দে কাকারা বটতলী এলাকার শুভাষ চন্দ্র দে’র ছেলে। নিহতের পিতা শুভাষ চন্দ্র দৈনিক সমুদ্রকন্ঠকে জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার সময় হাতে যন্ত্রপাতি সহ কাজের উদ্দেশ্যে বের হন রূপন দে। দুপুর ২টার সময় দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য তার স্ত্রী ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে রূপন আর বাড়ি ফিরেনি। খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

পরে শুক্রবার বিকাল ৫ টার সময় লোটনী ৫ নং ওয়ার্ড এলাকায় মাতামুহুরি নদীতে তাঁর লাশ ভাসতে দেখতে পায় নদীপাড়ে খেলতে যাওয়া শিশুরা। পরে উক্ত এলাকার ইউপি সদস্য হারুন নিহতের পরিবারকে অবগত করেন।পরে নৌ-পুলিশে খবর দেয়া হলে রাত ১১টার সময় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় রাত ৩টার সময়। এই নিউজ লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় চকরিয়া থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলমান বলে জানান নিহতের পিতা।

এই বিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী জানান মাতামুহুরি নদীতে রূপন দে নামের এক যুবকের লাশ ভেসে এসেছে এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তবে এই বিষয়ে বদরখালী নৌ-পুলিশ আইনগত ব্যবস্তা নিয়েছে। অতিশীঘ্রই তারা ঘটনার আসল রহস্য উম্মোচন করবে।

এদিকে নিহতের পরিবারের স্বজনরা দাবী করেন রূপনকে হত্যার পর লাশ মাতামুহুরি নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। তারা এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করেন।
নিহত রূপন এসি/ফ্রীজ মেরামতের কাজ করতো বলে জানা যায়। তার ২ সন্তান, বড় মেয়ের বয়স ১২ বছর এবং ছোটো ছেলের বয়স ৯ বছর।