চকরিয়া ঢেমুশিয়ার কোনাখালীতে চাঁদার দাবীতে দীর্ঘ ৫৫ বছরের ভোগদখলীয় জায়গা জবর দখল নিতে মরিয়া এক ভুমিদস্যু সেন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেট স্বৈরাচার সাবেক এমপি জাফর প্রকাশ বাইট্যা জাফরের দুসর। তারা স্বৈরাচার আমলে চাঁদাবাজী,ভুমি দখলসহ নানা অপকর্ম ছিল তাদের নিত্য নৈমত্তিক কাজ। তারা এখনও ফেলতে পারেনি পুরুনো অভ্যাস। তাদের ওই কাজের ধারাবাহিকতায় ১৯ অক্টোবর ঘটিয়েছে আরও একটি নতুন ঘটনা। ঢেমুশিয়া জমিদার পাড়ার লাল মিয়ার ছেলে ছৈয়দ মিয়া বাহীনি ১৫/২০ জনের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। ওই সিন্ডিকের মাধ্যমে তারা ভাড়াটিয়া হিসাবে কাজ করে। গত ১৯ অক্টোবর কোনাখালী এলাকার লতাবুনিয়া পাড়ায় রয়েছে জমিদার পাড়ার দেলোয়ার হোসেনের চেলে শফি উদ্দীন ও তার অপরাপর ভাইদের খরিদা খতিয়ানি দীর্ঘ ৫৫ বছরের ভোগদখলীয় জায়গা। যেখানে রয়েছে মাছের ঘের, পুকুর, খামার বাড়ি , বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছ। যে জায়গাটি অভিযোগকারী শফি উদ্দীন ও তার অপরাপর ভাইদের নামে খরিদা সুত্রে: রেজি: দলিল নং- ২৪৯৮, তাং- ২৯/০৬/১৯৯৮ইং, বেজি। দলিল নং- ২৯, তাং- ০২/০১/১৯৯৬ইং, রেজি: দলিল নং- ৫৯৬, তাং- ৩০/০১/১৯৯৭ইং
ঘটনাস্থলের মৎস্য প্রজেক্টের ভূমি শফি উদ্দীন ও অপরাপর ভাইদের নামীয় খরিদা জমি। দলিল নং- ২৪৯৮, তাং- মূলে খরিদা স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তি হয়। উক্ত ভূমিতে খরিদের পর ওই জমিতে ১টি খামার বাড়ি নির্মাণে ও সীমানার চতুর পার্শ্বে কাটা তারের ঘেরাও পূর্বক বিভিন্ন বনজ-ফলজ গাছপালা রোপনক্রমে এবং পুকুর। মৎস্য প্রজেক্ট স্থাপনে মৎস্য চাষে শান্তিপূর্ণ ও নিরবিচ্ছিন্নভাবে এলাকার সকলের জ্ঞাতসারে খরিদের পর হতে দীর্ঘ ৫৫ বছরের অধিককাল যাবৎ ভোগ দখলে রয়েছে। নামজারি জমাভাগ খতিয়ান সৃজন পূর্বক সন সন সরকারি খাজনাদিও পরিশোধ করেন। কিন্তু পূর্ব হতে অবৈধ ভাবে ওই সিন্ডিকেট ৩লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল জমির মালিক থেকে। জমির মালিক পক্ষ সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে অনিহা প্রকাশ করলে ছৈয়দ মিয়া বাহীনি ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত ভোগ দখলে বাধার সৃষ্টিসহ বিভিন্ন মুখি হাঁকাবকা ও হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করছেন। এমনকি শফি উদ্দীন ও তার ভাই তমিজ উদ্দিন, নাছির উদ্দিন ও জামাল হোসেন ঘটনাস্থলের মৎস্য প্রজেক্টের পুরাতন খামার ঘরটি মেরামত করাকালে লাল মিয়ার ছেলে ছৈয়দ মিয়া, তার ছেলে রমিজ উদ্দিন, ইসলামের ছেলে মো: রাজিব, সৈয়দ আহমদ,সাহাব উদ্দিন বাটু, মো. আলম, মোঃ সামনী, শাহাব উদ্দিনসহ আরও ১০/১২ জন লোক সন্ত্রাসী কায়দায় হাতে ধারালো কিরিচ, লোহার রড, লোহার হাতুড়ি ও লাঠি ইত্যাদি দেশীয় মারাত্মক অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে খামার ঘর মেরামতে বাধা প্রদান করে ৩লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। তারা প্রতিউত্তর করিলে, হামলা কারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে নির্মাণাধীন খামার ঘরের পাকা পিলার ও সীমানার চতুর পার্শ্বের কাটা তার এবং পাকা পিলার ভাংচুর করে অন্তত ৯০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। এতে বাধা দিলে হামলাকারীরা তাদের হাতে থাকা ধারালো কিরিচসহ মারাত্মক অবৈধ অস্ত্রশাস্ত্র দ্বারা গুরুতর জখম করিতে উদ্যত হলে । তাদের শোর চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে এসে হামলাকারীদের কবল থেকে রক্ষা পায়। উক্ত ঘটনায় শফি আলম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন বলে জানা যায়। এদিকে ভোক্তভোগী শফি উদ্দীন ও তার পরিবার সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্ট্রান্ত মুলক শাস্তির জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানান।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মনজুর কাদের জানান, এজাহার পেলে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।