০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চার দফা দাবিতে আন্দোলনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত আইওএম-এনরুট কর্মীরা

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের শরণার্থী ক্যাম্পে ইন্টারন্যাশনাল অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)’র অধিনস্ত ছয়টি প্রজেক্টে কর্মরত প্রায় ৬ শতাধিক এনরুট কর্মীরা চার দফা দাবীতে ১৬ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতি পালন পরবর্তী আন্দোলন শুরু করেছে।
তথ্যসূত্র ও কর্মীদের দেওয়া বক্তব্যে জানা যায়, ২০১৭ সালে ঢালাওভাবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর থেকে আইওএম বৃহৎ পরিসরে কার্যক্রম শুরু করে। আইওএম’র মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া ও বেতন প্রদান করা হলেও ৬মাস পর আইওএম কর্মীদের এনরুট ইন্টারন্যাশনাল’র অধিনে চুক্তিবদ্ধ করা হয়। চুক্তিবদ্ধের পর থেকে প্রায় ৬ শতাধিক কর্মী আইওএম’র অধিনে বড় প্রজেক্ট সম্পন্ন করে আসলেও গত সাড়ে ৭ বছর বেতন-ভাতাদি সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেনি এনরুট-আইওএম।৬০০ শতাধিক কর্মী বিভিন্ন সময় এনরুট-আইওএম’র উপরস্থ কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি সহ চারটি দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করলেও কোন সন্তোষজনক জবাব দেয়নি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে দৈনিক বাজারের দাম চড়া, তাছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার সামগ্রী, ঔষুধপথ্য, বাসা ভাড়া সবকিছু উর্দ্ধহারে। সে বিবেচনায় বেতন বৃদ্ধি সহ প্রাপ্য দাবী দাওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার বৈঠকে বসেও সমাধান না পাওয়ায় আইওএম-এনরুট’র ৬ ডিপার্টমেন্টের ৬০০ কর্মী গত ১৬ নভেম্বর থেকে শান্তিপূর্ণ কর্ম বিরতি পালন করে আসছে। তবে এখনো পর্যন্ত আইওএম-এনরুট’র পক্ষ থেকে কোন ধরনের আশ্বাস পায়নি বলে জানান কর্ম-বিরতি পালনকারী কর্মীরা। এদিকে কর্মবিরতি পালনকালে প্রায় ৬০-৭০জন কর্মীকে টার্মিনেশন লেটার পাঠিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে অনেকেই।

আইওএম-এনরুট’র কর্মবিরতি পালনকারী কর্মীদের ৪ দাবিগুলো হল ১. ন্যায্য শ্রম আইন অনুসরণের মাধ্যমে বেতন সমন্বয়, ২.সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজের প্রতিদান, ৩. চাকরির নিরাপত্তা-প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন, ৪. বৈষম্যহীন কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা। এই কর্মসূচিগুলো সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং জনশৃঙ্খলার প্রতি সম্মান রেখে পরিচালিত হবে বলে জানান তারা। কর্মবিরতি পালনকারীরা আরো জানান,আমাদের উদ্দেশ্য হল সমস্যাগুলো তুলে ধরা এবং এনরুট কর্মীদের সম্মুখীন হিয়া সমস্যাগুলো গঠনমূলক সমাধান চাওয়া। দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
৬০০ কর্মীর দাবি দাওয়া ও কর্মবিরতির বিষয়ে জানতে এনরুট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, সব দাবি একসাথে পূরণ করা সম্ভব নয়, তবে আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। তবে কর্মবিরতি’র বিষয়ে আইওএম কর্তৃপক্ষের কেন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

জমে উঠেছে বৃহত্তর বাদশাঘোনা সমাজ পরিচালনা কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা

চার দফা দাবিতে আন্দোলনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত আইওএম-এনরুট কর্মীরা

প্রকাশিত সময় : ০৩:২১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের শরণার্থী ক্যাম্পে ইন্টারন্যাশনাল অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)’র অধিনস্ত ছয়টি প্রজেক্টে কর্মরত প্রায় ৬ শতাধিক এনরুট কর্মীরা চার দফা দাবীতে ১৬ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতি পালন পরবর্তী আন্দোলন শুরু করেছে।
তথ্যসূত্র ও কর্মীদের দেওয়া বক্তব্যে জানা যায়, ২০১৭ সালে ঢালাওভাবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর থেকে আইওএম বৃহৎ পরিসরে কার্যক্রম শুরু করে। আইওএম’র মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া ও বেতন প্রদান করা হলেও ৬মাস পর আইওএম কর্মীদের এনরুট ইন্টারন্যাশনাল’র অধিনে চুক্তিবদ্ধ করা হয়। চুক্তিবদ্ধের পর থেকে প্রায় ৬ শতাধিক কর্মী আইওএম’র অধিনে বড় প্রজেক্ট সম্পন্ন করে আসলেও গত সাড়ে ৭ বছর বেতন-ভাতাদি সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেনি এনরুট-আইওএম।৬০০ শতাধিক কর্মী বিভিন্ন সময় এনরুট-আইওএম’র উপরস্থ কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি সহ চারটি দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করলেও কোন সন্তোষজনক জবাব দেয়নি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে দৈনিক বাজারের দাম চড়া, তাছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার সামগ্রী, ঔষুধপথ্য, বাসা ভাড়া সবকিছু উর্দ্ধহারে। সে বিবেচনায় বেতন বৃদ্ধি সহ প্রাপ্য দাবী দাওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার বৈঠকে বসেও সমাধান না পাওয়ায় আইওএম-এনরুট’র ৬ ডিপার্টমেন্টের ৬০০ কর্মী গত ১৬ নভেম্বর থেকে শান্তিপূর্ণ কর্ম বিরতি পালন করে আসছে। তবে এখনো পর্যন্ত আইওএম-এনরুট’র পক্ষ থেকে কোন ধরনের আশ্বাস পায়নি বলে জানান কর্ম-বিরতি পালনকারী কর্মীরা। এদিকে কর্মবিরতি পালনকালে প্রায় ৬০-৭০জন কর্মীকে টার্মিনেশন লেটার পাঠিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে অনেকেই।

আইওএম-এনরুট’র কর্মবিরতি পালনকারী কর্মীদের ৪ দাবিগুলো হল ১. ন্যায্য শ্রম আইন অনুসরণের মাধ্যমে বেতন সমন্বয়, ২.সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজের প্রতিদান, ৩. চাকরির নিরাপত্তা-প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন, ৪. বৈষম্যহীন কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা। এই কর্মসূচিগুলো সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং জনশৃঙ্খলার প্রতি সম্মান রেখে পরিচালিত হবে বলে জানান তারা। কর্মবিরতি পালনকারীরা আরো জানান,আমাদের উদ্দেশ্য হল সমস্যাগুলো তুলে ধরা এবং এনরুট কর্মীদের সম্মুখীন হিয়া সমস্যাগুলো গঠনমূলক সমাধান চাওয়া। দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
৬০০ কর্মীর দাবি দাওয়া ও কর্মবিরতির বিষয়ে জানতে এনরুট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, সব দাবি একসাথে পূরণ করা সম্ভব নয়, তবে আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। তবে কর্মবিরতি’র বিষয়ে আইওএম কর্তৃপক্ষের কেন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।