রোজারিও-আর্জেন্টাইন সমর্থকদের সবচেয়ে প্রিয় শহর। কারণ এ শহর তাদের দিয়েছে বর্তমান সময়ের বিশ্ব ফুটবলের দুই মহাতারকা। একজন লিওনেল মেসি, যার হাত ধরে ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপ উৎসবে মাতে আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। অন্যজন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, যিনি সাম্প্রতিক সময়ে আর্জেন্টিনার সব বড় সাফল্যের অন্যতম পার্শ্বনায়ক।
গত বছর মার্চে সেই শহরেই হত্যার হুমকি পান লিওনেল মেসি। এর ঠিক এক বছর পর, এবার হত্যার হুমকি পেলেন ডি মারিয়া। আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তারা জানিয়েছে রোজারিওতে ফিরলে পরিবারের সকল সদস্যদের সঙ্গে ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকি দিয়েছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।
বর্তমানে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকায় খেলছেন আর্জেন্টাইন তারকা। গত সপ্তাহে তিনি শৈশবের ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি। জানান এই ক্লাব থেকে শেষ করতে চান নিজের ফুটবল ক্যারিয়ার। এরপরই হত্যার হুমকি পেলেন ডি মারিয়া।
দুই তারকার জন্ম শহরের বাইরেও আরও একটি পরিচয় রয়েছে আর্জেন্টিনার উত্তর অঞ্চলের এই শহরটির। যদিও তা মোটেও ভালো পরিচয় নয়। সান্তা ফে প্রদেশের এই শহরটির মাদকসংক্রান্ত সহিংসতার জন্য কুখ্যাত।
এই শহরে নিরাপত্তাবেষ্টিত আবাসিক এলাকায় বাড়ি ডি মারিয়ার। আর্জেন্টিনায় আসলে পরিবারসহ তিনি সেখানেই ওঠেন। সোমবার ভোরে এই এলাকাতেই কিছু অচেনা লোককে হুমকিসংবলিত কাগজ ছুড়ে ফেলতে দেখা যায়।
ধূসর রঙের একটি গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলা সেই কাগজের লেখাগুলো ডি মারিয়ার পরিবারকে উদ্দেশ করে। সেই কাগজে লেখা, ‘আর্জেন্টাইন তারকা যদি শহরে ফেরেন, তাহলে প্রাদেশিক গভর্নরও ডি মারিয়াদের নিরাপদে রাখার নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।’
ঠিক কী হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা, পুলিশের বরাত দিয়ে সেই বার্তা প্রকাশ করেছে আর্জেন্টিনার একটি গণমাধ্যম। ইনফোবে নামক নিউজ পোর্টালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অ্যাঞ্জেলোকে বলো রোজারিওতে না ফিরতে। সে যদি ফেরে, পরিবারের যেকোনো একজন সদস্যকে খুন করা হবে। গর্ভনরও বাঁচাতে পারবে না। তারা শুধু কাগুজে বার্তাই ফেলে যায় না, বুলেট দিয়ে লাশও ফেলে যায়।’
এর আগে গত বছর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসির স্ত্রীর পরিবারের সুপারমার্কেটে বন্দুক হামলা করেছিল অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। সেখানেও একটি কাগজ ফেলে যায় সেই সন্ত্রাসীরা।
সেই কাগজে লেখা ছিল, ‘মেসির জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। রোজারিওর মেয়র পাবলো ইয়াভকিন নিজেই মাদক চোরাচালানকারী।’