কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার জলেয়ারমারঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) বিভাগের মুহাম্মদ তোয়াহার উদ্দিনের বিরুদ্ধে নানান অনিয়মসহ জাল বাংলা সনদ উপস্থাপন করে এমপিওভুক্তির আওতায় আসার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক জানান, জেএম ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুহাম্মদ তোয়াহার উদ্দিন সমাজ বিজ্ঞানের নিবন্ধনধারী। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ফাঁকি দিয়ে জাল ও ভুয়া বাংলা নিবন্ধন সনদ উপস্থাপন করে এমপিওভুক্তির আওতায় আসে। পরবর্তীতে এব্যাপারে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে জানাজানি হলে ওই শিক্ষককে ০৭ (সাত) দিনের কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। তৎপরবর্তীতে উক্ত ভুয়া, জাল বাংলা সনদ উপস্থানকারী সহকারী শিক্ষক মুহাম্মদ তোয়াহার উদ্দিন নোটিশের কোন প্রকার উত্তার না দিয়ে বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ অনুপস্থিত রয়েছে। তার অনুপস্থিতির জন্যও অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি বৈঠক করলে, উক্ত বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। উক্ত ভুঁয়া নিবন্ধন সনদ উপস্থাপনকারী শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিন সে থেকে অত্র বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সে একের এক পর সাংবাদিকদের দিয়ে মোটা অংকের উৎকোচের মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। এই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিনের এমন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয়রা জোর প্রতিবাদ জানালেও সে কোনভাবেই ক্ষান্ত হচ্ছে না। উল্টো এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিন শুধু এতেই ক্ষান্ত নই, বিদ্যালয়ের পড়ালেখার মান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার জন্যও নানান ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। শাপলাপুর ইউনিয়নের জেএম ঘাট এলাকার কিছু অসাধু চাঁদাবাজ, চোর—ছিনতাইকারী, সন্ত্রাসীদের হাতে নিয়ে এ ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় উক্ত বিদ্যালয়ের জালিয়াতকারী শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিনসহ ওইসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমসহ সামাাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। যার ফলে উক্ত জালিয়াতকারী শিক্ষক আরো বেপরোয়া হয়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক—কর্মচারী ও ম্যানেজিং কমিটির চরম মানক্ষুন্ন করা হয়েছে। তাই উক্ত ষড়যন্ত্র ও জালিয়াতকারী শিক্ষক মুহাম্মদ তোয়াহার উদ্দিনের অপসারণ চেয়ে বিভিন্ন দপ্তর—পরিদপ্তরে ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় ও অত্র বিদ্যালয়ের অভিভাবকবৃন্দরা।