১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিলংজার লিংকরোডে ছাত্রলীগের ক্যাডার শরীফের নেতৃত্বে জমি দখলে নিতে হামলা ও ভাংচুর

কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ (স ও জ) এর অব: উপসহকারী প্রকৌশলী ও ঝিলংজা লিংক রোডের স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা. আবদুর রশিদের দীর্ঘ দিনের ভোগদখলীয় জমি যুবলীগ— ছাত্র লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী কতৃক জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে জানা যায়, মুহুরীপাড়া এলাকার মৃত হোসেন আহমেদ সিকদারের পুত্র কুখ্যাত চাঁদাবাজ, বাঁকখালী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারী, যুবলীগের চিহ্নিত মাস্তান, সন্ত্রাসী মুবিনুল হক ও তার পুত্র নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্র লীগের সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সন্ত্রাসী শরীফ হোসেন সিকদার ও তার ভাই আশেক হোসেন এবং অজ্ঞাত ১০/১২জন রোহিঙ্গা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মিলে গত ১৭/০৯/২৪ইং তারিখ দুপুর ১২:০০ ঘটিকার সময় আবদুর রশিদের মালিকানাধীন শেখ হোমিও চিকিৎসালয়ে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা ও ভাংচুর করে। ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ বক্স করে নগদ ২০,০০০ টাকা লুট ও দোকান ভাংচুর করে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং দু’চারদিনের মধ্যে চাঁদা না দিলে বাড়ি ঘর ভাংচুর, হামলাসহ আরো অধিকতর ক্ষতিসাধন করবে এবং বসত গৃহ থেকে উচ্ছেদ করবে মর্মে হুমকি দিয়ে শাসিয়ে যায়।
তদুপরি ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য আবদুর রশিদের দুই ছেলে গিয়াসউদ্দিন ও সালাহ উদ্দীন কে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাডার শরীফ হোসেন ও তার ভাই আশেক হোসেন রামদা নিয়ে মারতে আসে। এমতাবস্থায় তারা দুই ভাই পালিয়ে কোন রকম ঘরের ভিতর ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলে সন্ত্রাসীরা দরজায় ধাক্কাধাক্কি ও ক্যাশবাক্স ভেঙে নগদ টাকা লুট ও দোকানের সাইনবোর্ড ভেঙে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে যায়। এরপর গত ২৩/০৯/২৪ইং তারিখ আনুমানিক সকাল ৫/৬ টার দিকে তারা দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিরীহ বাদিদের ঘুমন্ত অবস্থায় জীম্মি করে বাড়ির পূর্ব পাশে টিনের ঘেড়াবেড়া দেওয়া জায়গা দখল করে নেয়, ঘেড়াবেড়া ভাংচুর, ফলজ ও ঔষুধী বৃক্ষ কর্তন ও রীতিমতো সন্ত্রাসী তান্ডব চালায় এবং একাংশ দখল করে একটি পানের দোকান বসিয়ে চলে যায়। যাওয়ার সময় বিভিন্ন অশ্লীল গালিগালাজ এবং হাঁকাবকা করে এই বলে হুমকি দেয় যে, ওই পানের দোকানে কেউ হাত লাগালে বা সরানোর চেষ্টা করলে তার হাত কেটে নেয়া হবে। এতে আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর শেখ জামিল মো: গিয়াস উদ্দিন বাদি হয়ে মুবিনুল হক ও শরীফ হোসেন সিকদার এবং অজ্ঞাত নামা ১০/১২জনের বিরুদ্ধে ভূমি অপরাধ দমন ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর ৪(ক),(চ),৭(২),১০,১৬ ধারা মতে জবর দখল উচ্ছেদ মামলা করেন এবং ক্যাম্প কমান্ডার ১৭ ই সি বি ঝিলংজা কক্সবাজার বরাবর আবদুর রশিদ বাদি হয়ে উক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এতে প্রতিকার না পাওয়ায় গত ৯/১০/২৪ইং তারিখ আবদুর রশিদ বাদি হয়ে একটি এম .আর মামলা নং ৮২৬/২০২৪ইং দায়ের করেন।

এতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে অভিযুক্ত বিবাদীদের বিরোধীয় জমিতে কোন প্রকার গোলযোগ, স্থাপনা নির্মাণ কিংবা বাদিদের কোন প্রকার হাঁকাবকা না করার জন্য বারন করা হয়। এরপর ও অভিযুক্ত বিবাদি মুবিনুল হক ও তার ছেলে শরীফ হোসেন ও আশেক হোসেন বাদির ছেলেদের উদ্দেশ্য করে নিয়মিত সমানে গালিগালাজ ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এবং ৫ মিনিটে ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ ও সম্পূর্ণ বাড়ি ঘর দখল করবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি সম্পূর্ন বিনা উস্কানিতে বাদির সুপারী গাছ থেকে সুপারী কর্তনে গেলে সেখানেও বাধা দেয় এবং নারী, পুরুষ, শিশু—বৃদ্ধ সবাইকে শ্বাশরোধ করে হত্যা করবে মর্মে হুমকি দিয়ে যায়। এমতাবস্থায় বাদি ও বাদির ছেলেরা শান্তি প্রিয় এবং সমাজে হোমিও প্যাথিক ডাক্তার ও সজ্জন লোক হিসেবে এলাকায় পরিচিত হওয়ার কারনে এবং বিবাদীগণ চরম সন্ত্রাসী ও দস্যুপ্রকৃতির হওয়ায় বিবাদিদের সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ডের কারনে এলাকায় চরম শান্তি বিঘ্ন হয়ে বাদি ও বাদির ছেলেদের জীবন চরম নিরাপত্তা হীন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় তারা অনতিবিলম্বে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাত

ঝিলংজার লিংকরোডে ছাত্রলীগের ক্যাডার শরীফের নেতৃত্বে জমি দখলে নিতে হামলা ও ভাংচুর

প্রকাশিত সময় : ০১:৪৭:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ (স ও জ) এর অব: উপসহকারী প্রকৌশলী ও ঝিলংজা লিংক রোডের স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা. আবদুর রশিদের দীর্ঘ দিনের ভোগদখলীয় জমি যুবলীগ— ছাত্র লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী কতৃক জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে জানা যায়, মুহুরীপাড়া এলাকার মৃত হোসেন আহমেদ সিকদারের পুত্র কুখ্যাত চাঁদাবাজ, বাঁকখালী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারী, যুবলীগের চিহ্নিত মাস্তান, সন্ত্রাসী মুবিনুল হক ও তার পুত্র নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্র লীগের সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সন্ত্রাসী শরীফ হোসেন সিকদার ও তার ভাই আশেক হোসেন এবং অজ্ঞাত ১০/১২জন রোহিঙ্গা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মিলে গত ১৭/০৯/২৪ইং তারিখ দুপুর ১২:০০ ঘটিকার সময় আবদুর রশিদের মালিকানাধীন শেখ হোমিও চিকিৎসালয়ে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা ও ভাংচুর করে। ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ বক্স করে নগদ ২০,০০০ টাকা লুট ও দোকান ভাংচুর করে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং দু’চারদিনের মধ্যে চাঁদা না দিলে বাড়ি ঘর ভাংচুর, হামলাসহ আরো অধিকতর ক্ষতিসাধন করবে এবং বসত গৃহ থেকে উচ্ছেদ করবে মর্মে হুমকি দিয়ে শাসিয়ে যায়।
তদুপরি ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য আবদুর রশিদের দুই ছেলে গিয়াসউদ্দিন ও সালাহ উদ্দীন কে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাডার শরীফ হোসেন ও তার ভাই আশেক হোসেন রামদা নিয়ে মারতে আসে। এমতাবস্থায় তারা দুই ভাই পালিয়ে কোন রকম ঘরের ভিতর ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলে সন্ত্রাসীরা দরজায় ধাক্কাধাক্কি ও ক্যাশবাক্স ভেঙে নগদ টাকা লুট ও দোকানের সাইনবোর্ড ভেঙে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে যায়। এরপর গত ২৩/০৯/২৪ইং তারিখ আনুমানিক সকাল ৫/৬ টার দিকে তারা দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিরীহ বাদিদের ঘুমন্ত অবস্থায় জীম্মি করে বাড়ির পূর্ব পাশে টিনের ঘেড়াবেড়া দেওয়া জায়গা দখল করে নেয়, ঘেড়াবেড়া ভাংচুর, ফলজ ও ঔষুধী বৃক্ষ কর্তন ও রীতিমতো সন্ত্রাসী তান্ডব চালায় এবং একাংশ দখল করে একটি পানের দোকান বসিয়ে চলে যায়। যাওয়ার সময় বিভিন্ন অশ্লীল গালিগালাজ এবং হাঁকাবকা করে এই বলে হুমকি দেয় যে, ওই পানের দোকানে কেউ হাত লাগালে বা সরানোর চেষ্টা করলে তার হাত কেটে নেয়া হবে। এতে আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর শেখ জামিল মো: গিয়াস উদ্দিন বাদি হয়ে মুবিনুল হক ও শরীফ হোসেন সিকদার এবং অজ্ঞাত নামা ১০/১২জনের বিরুদ্ধে ভূমি অপরাধ দমন ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর ৪(ক),(চ),৭(২),১০,১৬ ধারা মতে জবর দখল উচ্ছেদ মামলা করেন এবং ক্যাম্প কমান্ডার ১৭ ই সি বি ঝিলংজা কক্সবাজার বরাবর আবদুর রশিদ বাদি হয়ে উক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এতে প্রতিকার না পাওয়ায় গত ৯/১০/২৪ইং তারিখ আবদুর রশিদ বাদি হয়ে একটি এম .আর মামলা নং ৮২৬/২০২৪ইং দায়ের করেন।

এতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে অভিযুক্ত বিবাদীদের বিরোধীয় জমিতে কোন প্রকার গোলযোগ, স্থাপনা নির্মাণ কিংবা বাদিদের কোন প্রকার হাঁকাবকা না করার জন্য বারন করা হয়। এরপর ও অভিযুক্ত বিবাদি মুবিনুল হক ও তার ছেলে শরীফ হোসেন ও আশেক হোসেন বাদির ছেলেদের উদ্দেশ্য করে নিয়মিত সমানে গালিগালাজ ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এবং ৫ মিনিটে ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ ও সম্পূর্ণ বাড়ি ঘর দখল করবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি সম্পূর্ন বিনা উস্কানিতে বাদির সুপারী গাছ থেকে সুপারী কর্তনে গেলে সেখানেও বাধা দেয় এবং নারী, পুরুষ, শিশু—বৃদ্ধ সবাইকে শ্বাশরোধ করে হত্যা করবে মর্মে হুমকি দিয়ে যায়। এমতাবস্থায় বাদি ও বাদির ছেলেরা শান্তি প্রিয় এবং সমাজে হোমিও প্যাথিক ডাক্তার ও সজ্জন লোক হিসেবে এলাকায় পরিচিত হওয়ার কারনে এবং বিবাদীগণ চরম সন্ত্রাসী ও দস্যুপ্রকৃতির হওয়ায় বিবাদিদের সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ডের কারনে এলাকায় চরম শান্তি বিঘ্ন হয়ে বাদি ও বাদির ছেলেদের জীবন চরম নিরাপত্তা হীন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় তারা অনতিবিলম্বে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছে।